আন্তর্জাতিক নারী দিবস রচনা – International Women’s Day Essay

ইতিহাসের বিস্তারিত:

১৯০৮ সালে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রায় ১৫,০০০ নারী শ্রমিক শ্রমিক অধিকার ও ভোটাধিকারের দাবিতে করে।

১৯০৯ সালে: সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রথম নারী সম্মেলনে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও জার্মানির নারী প্রতিনিধিরা প্রতি বছর একটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন।

১৯১১ সালে: আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পালিত হয়।

১৯৭৫ সালে: জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনকে স্বীকৃতি দেয় এবং সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এটি পালনের জন্য উৎসাহিত করে।

উদাহরণ সহ নারীর অধিকার ও সমাজের অগ্রগতি:

শিক্ষা:

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে, মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পেতে শুরু করে।

আজ, বিশ্বব্যাপী মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি স্কুলে ভর্তি হয়।

শিক্ষিত নারীরা তাদের সন্তানদের আরও ভালভাবে শিক্ষিত করতে পারে, যা দারিদ্র্য বিমোচনে সাহায্য করে।

কর্মসংস্থান:

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, নারীরা কারখানা, অফিস এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে শুরু করে।

আজ, নারীরা বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তির অর্ধেকেরও বেশি।

নারীর কর্মসংস্থান তাদের পরিবারের আয় বৃদ্ধি করে এবং অর্থনীতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।

স্বাস্থ্যসেবা:

নারীদের এখন আরও ভালো প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃস্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা রয়েছে।এর ফলে শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং নারীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।

সম্পত্তির অধিকার:

অনেক দেশে, নারীরা এখন সম্পত্তি অধিকার করতে পারে, উত্তরাধিকারী হতে পারে এবং তাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এর ফলে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজনৈতিক অংশগ্রহণ:

নারীরা এখন ভোট দিতে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং রাজনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারে।