নারী পুরুষের নামাজের পার্থক্য – The difference between male and female prayers

 নিয়ত:

• পুরুষ: “নিজের উপর ফরজ নামাজ আদায় করছি।”
• মহিলা: “আল্লাহুর রিজা লাভের জন্য ফরজ নামাজ আদায় করছি।”

উল্লেখ্য:

• পুরুষেরা সাধারণত কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকায় তাদের উপর নামাজ আদায়ের বাধ্যবাধকতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই তারা “নিজের উপর ফরজ” বলে উল্লেখ করে তাদের কর্তব্যবোধকে জোর দেয়।
• মহিলাদের ক্ষেত্রে, ঘরের কাজ ও সন্তান লালনের কারণে তাদের নামাজ আদায়ে কিছুটা সুবিধা থাকে। তাই তারা “আল্লাহুর রিজা লাভের জন্য” বলে উল্লেখ করে তাদের আন্তরিক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়।

ইহরাম:

• পুরুষ: নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা।
• মহিলা: পুরো শরীর ছাড়া মুখ ও হাত ঢাকা।

উল্লেখ্য:

• পুরুষদের ইহরামের ক্ষেত্রে সতর কম হওয়ার কারণ হল পুরুষদের সাধারণত বাইরে বেশি কাজ করতে হয়।
• মহিলাদের জন্য পুরো শরীর ঢাকা বাধ্যতামূলক কারণ তাদের লাজ্জাস্থান পুরুষদের তুলনায় বেশি।
• মহিলারা চাইলে পাতলা ও স্বচ্ছ পোশাক পরে ইহরাম করতে পারেন, তবে তা যেন পুরুষদের উত্তেজনা না জাগায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তাকবীরে তাহরীমা:

• পুরুষ: কানের পেছনে হাত তুলে। “আল্লাহু আকবর” বলে।
• মহিলা: বুকের উপর হাত রেখে। “আল্লাহু আকবর” বলে।

উল্লেখ্য:

• তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত তোলার পদ্ধতিতে পার্থক্যের কারণ হল পুরুষদের শারীরিক গঠন মহিলাদের তুলনায় ভিন্ন।
• পুরুষদের জন্য কানের পেছনে হাত তোলা সহজ ও সুন্দর দেখায়,
• মহিলাদের জন্য বুকের উপর হাত রাখা বেশি সুন্দর ও নম্র ভাব প্রকাশ করে।
• মহিলারা তাকবীরে তাহরীমার সময় “আল্লাহু আকবর” বলার সময় কণ্ঠস্বর নিচু রাখে।

রুকু:

• পুরুষ: পুরোপুরি বাঁকা। “সুবহানা রব্বিয়া-ল-‘আলা” বলে।
• মহিলা: হালকা বাঁকা। “সুবহানা রব্বি” বলে।

উল্লেখ্য:

• রুকুর সময় পুরুষদের পুরোপুরি বাঁকা হওয়ার কারণ হল তাদের শারীরিক শক্তি বেশি।
• মহিলাদের জন্য হালকা বাঁকা হওয়া নির্দেশিত কারণ তাদের শারীরিক গঠন তুলনামূলকভাবে স্পর্শকাতর।
• রুকুর সময় মহিলারা “