নিউক্লিয়ার শক্তি কি – What is nuclear energy

এই শক্তি দুটি প্রধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন করা হয়: নিউক্লিয়ার ফিশন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন।

নিউক্লিয়ার ফিশন:

এই প্রক্রিয়ায়, একটি ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস (যেমন ইউরেনিয়াম-235) একটি নিউট্রন দ্বারা আঘাত করা হয়।

এর ফলে নিউক্লিয়াস ভেঙে দুটি হালকা নিউক্লিয়াসে (যেমন বেরিয়াম এবং ক্রিপ্টন) পরিণত হয় এবং বিপুল পরিমাণ তাপ শক্তি নির্গত হয়।

এই তাপ শক্তি পানি উত্তপ্ত করতে ব্যবহৃত হয়, যা বাষ্প তৈরি করে। এই বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।

ফিশন প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য, নিউট্রন উৎপাদনকারী কিছু নিউক্লিয়াস (যেমন ইউরেনিয়াম-238) ব্যবহার করা হয়।

ফিশন প্রক্রিয়াটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া নামে পরিচিত।

উদাহরণ:

• রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, ইউরেনিয়াম-235 ফিশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

নিউক্লিয়ার ফিউশন:

• এই প্রক্রিয়ায়, দুটি হালকা পরমাণুর নিউক্লিয়াস (যেমন হাইড্রোজেন) একত্রিত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস (যেমন হিলিয়াম) তৈরি করে।
• এই প্রক্রিয়াতেও বিপুল পরিমাণ তাপ শক্তি নির্গত হয়।
• সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের শক্তি উৎপাদন করে।
• পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রিত ফিউশন প্রক্রিয়া এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি।

উদাহরণ:

• ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার ফিউশন এক্সপেরিমেন্ট (ITER) হল একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প যা নিয়ন্ত্রিত ফিউশন প্রযুক্তি বিকাশের চেষ্টা করছে।

নিউক্লিয়ার শক্তির ব্যবহার:

• বিদ্যুৎ উৎপাদন: বেশিরভাগ নিউক্লিয়ার শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• চিকিৎসা: নিউক্লিয়ার শক্তি চিকিৎসায় ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং ইমেজিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• শিল্প: নিউক্লিয়ার শক্তি বিভিন্ন শিল্প প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়, যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্টেরিলাইজেশন।
• গবেষণা: নিউক্লিয়ার শক্তি বিভিন্ন ধরণের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

নিউক্লিয়ার শক্তির সুবিধা:

• কার্বন-মুক্ত: নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদন জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর মতো গ্রিনহাউস গ্য