রসায়ন ও শক্তি – Chemistry and energy

রাসায়নিক শক্তি:

সংজ্ঞা: পরমাণু ও অণুর মধ্যে আকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে সঞ্চিত শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি বলে।

উৎস: জীবাশ্ম জ্বালানী, খাদ্য, বায়োম্যাস ইত্যাদি।

উদাহরণ:

• • খাবার খাওয়ার পর আমাদের শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে যা আমাদের শক্তি দেয়।
  • কাঠ, কয়লা পোড়ানোর ফলে তাপ উৎপন্ন হয়।
  • ব্যাটারিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির পরিবর্তন:

তাপোৎপাদী বিক্রিয়া: যেসব বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।

• • উদাহরণ: কাঠ পোড়ানো, খাবার হজম করা।

তাপহারী বিক্রিয়া: যেসব বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।

• • • উদাহরণ: বরফ গলে পানিতে পরিণত হওয়া, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দ্রবীভূত হওয়া।

রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার:

বিদ্যুৎ উৎপাদন: জীবাশ্ম জ্বালানী, পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

যানবাহন চালানো: গাড়ি, মোটরসাইকেল ইত্যাদিতে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করে চালানো হয়।

শিল্পে ব্যবহার: রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, ওষুধ, সার ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়।

রান্না: খাবার রান্না করার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিক শক্তির নেতিবাচক প্রভাব:

বায়ু দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষিত হয়।

জল দূষণ: শিল্পকারখানার বর্জ্য জলে মিশে জল দূষিত করে।

জলবায়ু পরিবর্তন: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে।

উপসংহার:

রাসায়নিক শক্তি আমাদের জীবনে অপরিহার্য। তবে, রাসায়নিক শক্তির অপব্যবহার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের রাসায়নিক শক্তির নবায়নযোগ্য উৎস ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।