লভ্য কার্যকর শক্তি কি – What is the available effective power

অন্য কথায় বলতে গেলে, কোন ইঞ্জিন বা যন্ত্র থেকে আমরা কতটা কাজ পেতে পারি তাই হলো লভ্য কার্যকর শক্তি।

গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:

• কাজ: বলের প্রভাবে বস্তুর স্থানান্তরের ফলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে কাজ বলে।
• শক্তি: কোন বস্তু কাজ করার ক্ষমতাকে শক্তি বলে।
• মোট সরবরাহকৃত শক্তি: ইঞ্জিন বা যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির পরিমাণ।
• কর্মদক্ষতা: মোট সরবরাহকৃত শক্তির কতটা অংশ কাজে ব্যবহার করা যায় তার পরিমাণ।

সূত্র:

লভ্য কার্যকর শক্তি = মোট সরবরাহকৃত শক্তি * কর্মদক্ষতা

উদাহরণ:

• ধরুন, একটি বিদ্যুৎ মোটর 50N ওজনের একটি বস্তুকে 5m উঁচুতে তুলতে 400J শক্তি ব্যবহার করে।
• এই ক্ষেত্রে, মোট সরবরাহকৃত শক্তি হলো 400J।
• কিন্তু, কিছু শক্তি ঘর্ষণ, তাপ ইত্যাদির কারণে নষ্ট হয়ে যাবে।
• ধরা যাক, মোট 20% শক্তি নষ্ট হয়েছে।
• তাহলে, লভ্য কার্যকর শক্তি হবে 400J – (400J * 20%) = 320J।

আরও উদাহরণ:

বিদ্যুৎ কেন্দ্র: বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন জ্বালানি (যেমন, কয়লা, গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি) ব্যবহার করে তাপ উৎপন্ন করা হয়। এই তাপ টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে। টারবাইনের ঘূর্ণনই হলো লভ্য কার্যকর শক্তি।

সৌর কোষ: সৌর কোষ সূর্যের আলোকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।

গাড়ি: গাড়ির ইঞ্জিন জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে শক্তি তৈরি করে। এই শক্তি চাকাকে ঘুরিয়ে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যায়। চাকার ঘূর্ণনই হলো লভ্য কার্যকর শক্তি।

লভ্য কার্যকর শক্তির উপর প্রভাব ফেলার বিষয়:

• ইঞ্জিন বা যন্ত্রের নকশা: ভালো নকশা করা ইঞ্জিন বা যন্ত্রে শক্তির অপচয় কম হয় এবং লভ্য কার্যকর শক্তি বেশি থাকে।
• ব্যবহৃত উপকরণ: উন্নত মানের উপকরণ ব্যবহার করলে ইঞ্জিন বা যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং লভ্য কার্যকর শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
• ব্যবহারের অবস্থা: ইঞ্জিন বা যন্ত্র যথাযথভাবে ব্যবহার করা হলে এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে লভ্য কার্যকর শক্তি বৃদ্ধি পায়।