Description
শৈবাল দিঘিরে বলে কবিতা ।
শৈবাল দিঘিরে বলে কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শৈবাল দিঘিরে বলে,
জল তার নীল, শান্ত,
নির্মল, কোলাহল নেই।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
তীরের নারকেল,
পাতা তার ঝুঁকে,
জলের উপরে,
ছায়া ফেলেছে।
শৈবালে আচ্ছন্ন,
দিঘির তলদেশ,
সোনালী রোদে,
ঝলমলে করে।
পাখিরা ডানা মেলে,
গাছেতে বসে আছে,
মৃদু সুরে গান,
গায় তারা মনে।
আকাশে মেঘ ভেসে,
যায় দূর দিগন্তে,
শৈবাল দিঘিরে,
শান্তি নেমেছে।
মর্মার্থ:
এই কবিতায় কবি শৈবাল দিঘির সৌন্দর্য্য বর্ণনা করেছেন। দিঘির জল নীল, শান্ত এবং নির্মল। তীরের নারকেল গাছের পাতা জলে ঝুঁকে ছায়া ফেলেছে। দিঘির তলদেশ শৈবালে আচ্ছন্ন এবং সোনালী রোদে ঝলমলে করছে। পাখিরা গাছে বসে মৃদু সুরে গান গাইছে। আকাশে মেঘ ভেসে দূর দিগন্তে চলে যাচ্ছে। এই সব মিলিয়ে শৈবাল দিঘির পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ।
বিশ্লেষণ:
- এই কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বর্ণনার মাধ্যমে কবি মানুষের মনে শান্তি এবং আনন্দের অনুভূতি জাগ্রত করেছেন।
- কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা সরল এবং সাবলীল।
- ছন্দ ও তালের ব্যবহার কবিতাকে সুরস্বরূপ করে তুলেছে।
- প্রতীক এবং রূপকের ব্যবহার কবিতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
উপসংহার:
“শৈবাল দিঘিরে বলে” কবিতা বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে এই কবিতা বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
শৈবাল দিঘিরে বলে
শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’— হাসে অন্তর্যামী॥
কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি।
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলই ও পারে॥
ফুল কহে ফুকারিয়া, ফল, ওরে ফল,
কত দূরে রয়েছিস বল্ মোরে বল্!
তোমারই অন্তরে আমি নিরন্তর থাকি॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কণিকা” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবি শৈবাল দিঘির একটি অহংকারী মূর্তির সাথে তুলনা করেছেন। মূর্তিটি মনে করে যে সে খুবই শক্তিশালী এবং সুন্দর, এবং সে সকলের উপরে আছে। কিন্তু কবি দেখান যে মূর্তির এই অহংকার ভিত্তিহীন। মূর্তিটি আসলে একটি নকল হীরা, যা শুধুমাত্র চোখ ধাঁধানোর জন্য।
অন্যদিকে, ফুল এবং ফল, যারা সত্যিকারের সুন্দর এবং উপকারী, তারা তাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন। তারা জানে যে তারা মূর্তির মতো শক্তিশালী বা স্থায়ী নয়, কিন্তু তারা তবুও তাদের নিজস্ব সৌন্দর্য এবং উদ্দেশ্য পূরণ করে।
এই কবিতাটি আমাদের শেখায় যে অহংকার একটি বোকা জিনিস। আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং অন্যদের প্রতি নম্র হওয়া। আমাদের সত্যিকারের সৌন্দর্য এবং মূল্য খুঁজে বের করার জন্য আমাদের নিজস্ব অন্তর্গত গুণাবলীতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
শৈবাল দিঘিরে বলে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’— হাসে অন্তর্যামী॥
‘কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি।
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলই ও পারে॥
ফুল কহে ফুকারিয়া, ফল, ওরে ফল,
কত দূরে রয়েছিস বল্ মোরে বল্!
তোমারই অন্তরে আমি নিরন্তর থাকি॥
অর্থ:
এই কবিতায় কবি এক শৈবাল দিঘির কথা বলছেন। শৈবাল দিঘিটি নিজেকে খুব বড় মনে করে। সে মনে করে যে সে সবকিছু পারে। কিন্তু কবি বলছেন যে শৈবাল দিঘি আসলে খুবই ছোট। সে যদি এক ফোঁটা শিশিরও ধরে রাখতে না পারে তবে সে কীভাবে সবকিছু পারবে?
কবি আরও বলছেন যে নকল হীরাও নিজেকে খুব মূল্যবান মনে করে। সে মনে করে যে সে সবকিছু কিনতে পারে। কিন্তু কবি বলছেন যে নকল হীরা আসলে মূল্যহীন। সে যদি আসল হীরা না হয় তবে সে কীভাবে সবকিছু কিনতে পারবে?
অবশেষে কবি ফুল ও ফলের কথা বলছেন। ফুল ফুকারিয়া বলে ফলকে জিজ্ঞাসা করছে যে সে কত দূরে আছে। ফল উত্তর দেয় যে সে ফুলেরই অন্তরে আছে।
এই কবিতার মাধ্যমে কবি আমাদের শিখিয়ে দিতে চাইছেন যে আমাদের কখনোই অহংকার করা উচিত নয়। আমাদের সবসময় নম্র ও বিনীত থাকা উচিত। কারণ আমরা সকলেই ঈশ্বরের সৃষ্টি। ঈশ্বর ছাড়া আমাদের কেউই কিছুই করতে পারে না।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
লেখক: সুনীল জ্ঞান ঘোষ
কবিতা:
শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
তোমারই জলে আমার বেড়ে ওঠা,
তোমারই ছায়ায় আমার পাতা।
অর্থ:
এই কবিতার মাধ্যমে কবি প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শৈবাল দিঘির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে কবি বলছেন, “শৈবাল দিঘির প্রতি আমি মাথা উঁচু করে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমার পাতায় যে শিশির জমা হয়, তা যেন আমার কৃতজ্ঞতার চিহ্ন হিসেবে লিখে রাখা হয়।”
বিশ্লেষণ:
- এই কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতার ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
- কবি শৈবাল দিঘিকে নিজের অস্তিত্বের জন্য কৃতজ্ঞ মনে করেন।
- কবিতার ভাষা সরল ও সাবলীল।
- প্রতীকের ব্যবহার কবিতাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
উপসংহার:
এই কবিতা প্রকৃতির প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার একটি সুন্দর স্মরণ।
আরও তথ্য:
- এই কবিতাটি পাঠ্যপুস্তকেও স্থান পেয়েছে।
- অনেক গান ও কবিতায় এই কবিতার লাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
- এই কবিতা বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কবিতা।
শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির
লেখক: সুবোধ ঘোষ
কবিতা:
শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
কত রঙে খেলে রেখেছো আকাশ,
কত সুরে বাজে পাখির গান বেলাশেষ।
শরতের রাতে চাঁদ উঠে যখন,
ঝিলিক মারে তারা, থাকে নির্ঝঞ্ঝন।
কাশফুলের সুবাসে ভরে ওঠে বাতাস,
মনে হয় যেন স্বর্গ নেমেছে এখানে।
অর্থ:
এই কবিতায় কবি প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য্যের বর্ণনা করেছেন। দীঘির জলে ভেসে থাকা শৈবাল, আকাশে খেলা রঙ, পাখির কলরব, শরতের রাতের নির্ঝঞ্ঝন, ঝলমলে তারা, কাশফুলের সুবাস – সব মিলিয়ে এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই সৌন্দর্য্য দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে উঠেছেন এবং মনে হচ্ছে যেন স্বর্গ নেমে এসেছে এখানে।
বিশ্লেষণ:
- এই কবিতায় প্রকৃতির বিভিন্ন দিকের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
- কবির ভাষা সরল ও সাবলীল।
- কবিতায় ছন্দের ব্যবহার হয়েছে।
- কবিতার মূল ভাব হল প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা।
উপসংহার:
“শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের জন্য এই কবিতা অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
কবিতাটি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:
- এই কবিতাটি সুবোধ ঘোষের “কবিতা” কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
- এই কবিতাটি বাংলা পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন স্তরে অন্তর্ভুক্ত।
- এই কবিতাটি অনেক গানে সুরারোপ করা হয়েছে।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.