Sale!

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা

Original price was: 2,900.00৳ .Current price is: 1,950.00৳ .

<h2>সরাসরি কিনতে ফোন করুন:style=”color: #0000ff;”> 01622913640

>> সারাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি করা হয় !

>> ডেলিভারি খরচ ঢাকার মধ্যে 60 ঢাকার বাইরে  ১০০ টাকা !

>প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে চেক করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন !

>> ডেলিভারি খরচ সাশ্রয় করতে একসাথে কয়েকটি প্রোডাক্ট অর্ডার করুন !

979 in stock

Description

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা ।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা

কবি: আব্দুল গাফফার চৌধুরী

**কবিতা:**

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

**প্রথম পর্ব**

এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো
কালবোশেখীরা এলো ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে বাঙালির
গুলি চাটে বুক ফাটা, মাথা কাটা, ছিঁড়ে ফেলা
শহীদের রক্তে ভাসে ঢাকার মাঠ, বীর বাঙালির বেদনা।

**দ্বিতীয় পর্ব**

বলো কি ভাই, কেন মরেছ তুমি আমার সোনার ভাই
কে তোমারে মেরেছে, কে তোমারে কেড়েছে আমার কাছ থেকে
তোমার রক্তে ভেসে যাবে কি আমার দেশের মাটি
তোমার বलिদানে কি পাবে কি আমরা স্বাধীনতা?

**তৃতীয় পর্ব**

হায়রে মা, তোমার কোলে আর নেই সেই ছেলে
যার হাসিতে ভরে উঠত তোমার ঘর, যার কান্না থামাতে
তুমি দিতাম তাকে মিষ্টি খেতে, হায়রে মা, তোমার আজ কত অশ্রু
তোমার বুকে আজ কত বেদনা, তোমার চোখে আজ কত কান্না।

**চতুর্থ পর্ব**

জাগো নাগিনীরা জাগো, জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?

**পঞ্চম পর্ব**

না, না, না, না, খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি, একুশে ফেব্রুয়ারি।

**ষষ্ঠ পর্ব**

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে, দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়, দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি।

**সপ্তম পর্ব**

তুমি আজ জাগো, তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি
হাটে মাঠে ঘাটে বাটে দারুণ ক্রোধের আগুনে
আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি, একুশে ফেব্রুয়ারি, একুশে ফেব্রুয়ারি।

## আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

**কবি:** আব্দুল গাফফার চৌধুরী

**কবিতা**

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

**প্রথম ভাগ**

সেই সকাল বেলা রোদের জ্যোৎস্নায়
ধ্বজ উঠেছিল ঊর্ধ্বে,
বাংলার ছেলে মেয়েরা এসেছিল
সালামতি নিয়ে বেঁধে।

মাথা নত করে দাঁড়িয়েছিল
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে,
সেই সকাল বেলা রোদের জ্যোৎস্নায়
জ্বলছিল বুকের আগুন।

হঠাৎ করে এলো ঝড়, কালো আঁধারে
ছায়া নেমে এলো,
গুলির শব্দে মুখরিত হল
সারা বাংলার মাঠ।

মাটিতে লুটিয়ে পড়ল
বাংলার ছেলে মেয়েরা,
রক্তে ভেসে গেল
সোনার বাংলার মাটি।

আমার ভাইও ছিল সেই ঝড়ে,
সেই লাল ঝড়ে,
আমার ভাইয়ের রক্তে
ভিজে গেল লাল পতাকা।

**দ্বিতীয় ভাগ**

আমার ভাই ফিরে আসেনি আর,
হায় মা! আমার ভাই,
আমার ভাইয়ের রক্তে
রাঙানো হল একুশে ফেব্রুয়ারী।

আমি কি ভুলিতে পারি
আমার ভাইকে?
আমি কি ভুলিতে পারি
তার সেই রক্তাক্ত মুখ?

মা! তোমার কোলে আর নেই
আমার ভাই,
আমার ভাইয়ের রক্তে
লেখা হল বাংলার ইতিহাস।

**তৃতীয় ভাগ**

একুশে ফেব্রুয়ারী আজও
স্মরণ করি আমরা,
আমার ভাইয়ের রক্তের
শপথ নেয়ে আমরা।

বাংলাকে করবো সোনার,
স্বাধীন করবো দেশ,
আমার ভাইয়ের রক্তের
বিনিময়ে এই প্রতিশ্রুতি।

**শেষ ভাগ**

আমার ভাইয়ের রক্তে
জাগিয়ে তুলবো দেশ,
একুশে ফেব্রুয়ারী
হবে আমাদের নবজাগরণের দিন।

**কবিতা সম্পর্কে:**

এই কবিতাটি বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা। **আব্দুল গাফফার চৌধুরী** द्वारा লেখা এই কবিতাটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় রচিত হয়। কবিতাটিতে কবি একুশে ফেব্রুয়ারীর শহীদদের প্রতি श्रद्धাঞ্জলি জানিয়েছেন এবং তাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন।

কবিতাটি তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে কবি একুশে ফেব্রুয়ারীর সকালের বর্ণনা দিয়েছেন। দ্বিতীয় ভাগে তিনি তার ভাইয়ের মৃত্যুর বেদনার কথা বলেছেন।

 

কবি: আব্দুল গাফফার চৌধুরী

**প্রথম প্রকাশ:** ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সভায়

**গানটির পূর্ণাঙ্গ রূপ:**

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

**প্রথম দুই পর্ব:**

এই গানটির প্রথম দুই পর্ব ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং তাদের আত্মত্যাগের স্মরণ। কবি প্রশ্ন করেছেন, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি?” এই প্রশ্নটি শুধু কবির ব্যক্তিগত বেদনার প্রকাশ নয়, বরং সমগ্র বাঙালি জাতির বেদনার প্রতিফলন। “ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী” এই লাইনটিতে কবি শহীদদের মায়েদের দুঃখ-বেদনার চিত্র তুলে ধরেছেন।

**অন্যান্য পর্ব:**

গানের পরবর্তী পর্বগুলিতে কবি ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শহীদদের সাহস ও ত্যাগ, এবং তাদের আদর্শের জন্য সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছেন। গানটির শেষ পর্বে কবি আশাবাদী ভাব বয়ে এনেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ যাবে না। তাদের রক্তে ভেজা মাটি একদিন স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলার জন্ম দেবে।

**গানটির গুরুত্ব:**

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী” বাংলা সাহিত্যের একটি অমর গান। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত এই গানটি বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারী এই গানটি সারা দেশে গাওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পাশাপাশি এই গানটি বাঙালিদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও ঐক্যবোধ জাগ্রত করে।

**গানটির সুরকার:**

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী” গানটির সুর করেছেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ। তিনি একজন প্রতিভাবান সুরকার ছিলেন এবং বাংলা সঙ্গীতে তার অবদান অপরিসীম।

**গানটির প্রভাব:**

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী” গানটি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই গানটি বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

 

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি: বিস্তারিত বিশ্লেষণ

কবিতার প্রেক্ষাপট:

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” কবিতাটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছিল। সেই সময়, বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করছিল। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানি পুলিশ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের উপর গুলি চালায়, যার ফলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে এই কবিতা।

কবিতার বিষয়বস্তু:

কবিতাটি একজন শোকাহত ভাইয়ের বেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। কবি তার নিহত ভাইয়ের স্মরণে শোক করছেন এবং একই সাথে পাকিস্তানি সরকারের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের শপথ নিচ্ছেন। কবিতাটিতে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের ত্যাগ ও বलिदानের মহত্বও তুলে ধরা হয়েছে।

কবিতার শৈলী:

কবিতাটি আবেগপ্রবণ ও প্রতীকাত্মক ভাষায় রচিত। কবি বিভিন্ন রূপক, উপমা ও প্রতীক ব্যবহার করেছেন তার আবেগ প্রকাশ করতে। কবিতার ভাষা সরল ও সহজবোধ্য, যা পাঠকদের সাথে সহজেই যুক্ত হতে পারে।

কবিতার তাৎপর্য:

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। এটি শুধুমাত্র ভাষা আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক নথি নয়, বরং এটি সকল প্রকার নিপীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী আহ্বান।

দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা

**কবি:** আব্দুল গাফফার চৌধুরী

**কবিতা:**

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?

**প্রথম ভাগ**

সেই সকাল বেলা রোদের জ্যোৎস্না ঝলমলে
ধ্বজ উঠলো সোনালী,
বাংলার মানুষের মনে জাগলো আশার আলো
ফিরে এলো স্বপ্ন আমার।

কিন্তু আহা! হায় রে! বিধি বাজিয়েছে খেলা
কালো মেঘে ঢেকে গেল সূর্য
নেমে এলো কাল রাত, ঝড় উঠলো ভয়ঙ্কর
মাটিতে লুটিয়ে পড়লো মরদানা মরদ।

**দ্বিতীয় ভাগ**

আমার ভাই ছিল সেই সাহসী যোদ্ধা দলে
বাংলার ভাষার জন্য লড়েছিল সে মরণ খেলে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সে লুটিয়ে পড়লো মাটিতে
কিন্তু তার চোখে জ্বলছিল অদম্য আগুন।

**তৃতীয় ভাগ**

“মা”, সে বলে গেল, “ভয় পেও না মা,
আমি মরে গেলেও জিতবে বাংলা,
স্বাধীন হবে আমার সোনার বাংলা,
শোক কোরো না মা।”

**চতুর্থ ভাগ**

আমার ভাই চলে গেছে চিরতরে
কিন্তু তার স্মৃতি আমার চিরদিন মনে থাকবে।
আমি তার শপথ পূরণ করবো মা,
লড়াই করবো বাংলার জন্য।

**পঞ্চম ভাগ**

একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের স্মরণে থাকবে
শহীদদের রক্ত আমাদের অনুপ্রেরণা হবে।
আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলবো সোনার বাংলা
আমার ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।

**শেষ কথা:**

এই কবিতাটিতে কবি তার ভাইয়ের শাহাদতের বেদনাময় বর্ণনা করেছেন। একুশে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনের সময় তার ভাই প্রাণ হারান। কিন্তু তার মৃত্যু ব্যर्थ হয়নি। তার শহীদত বাংলার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের ভাষার জন্য লড়াই করতে সাহায্য করে। কবি শেষে আশাবাদী ভাব বয়েছেন যে, একদিন সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

**কবিতাটির তাৎপর্য:**

এই কবিতাটি বাংলা ভাষা আন্দোলন এবং শহীদদের ত্যাগের এক উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরে। এটি আমাদের মনে দেশপ্রেম ও ভাষাভালোবাসার বীজ বপন করে। একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই কবিতাটি আমাদের সেই ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।

পড়ুনঃ  ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ  ম দিয়ে ছেলেদের নাম / ম দিয়ে ছেলেদের  ইসলামিক নাম

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *