Description
মুক্তিযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া যার মূলে বেশ কিছু কারণ অন্তর্নিহিত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
রাজনৈতিক কারণ:
- অসাম্য: পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) বঞ্চিত ছিল।
- ভাষাগত বৈষম্য: উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদের অধিকাংশ পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হতো।
- রাজনৈতিক বঞ্চনা: পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব কম ছিল।
অর্থনৈতিক কারণ:
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদের অধিকাংশ পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হতো।
- শোষণ: পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা শোষিত হত।
- দারিদ্র্য: পূর্ব পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার ছিল অনেক বেশি।
সাংস্কৃতিক কারণ:
- ভাষাগত বৈষম্য: উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
- সাংস্কৃতিক পরিচয় হুমকির মুখে: বাঙালি সংস্কৃতি ধীরে ধীরে মুছে ফেলা হচ্ছিল।
অন্যান্য কারণ:
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়: এই বিজয় পাকিস্তানি শাসকদের কাছে হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
- গণহত্যা ও নির্যাতন: নির্বাচনের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়।
মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল ছিলো ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী।
প্রধান ফলাফল:
- স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয়: ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন: মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
অন্যান্য ফলাফল:
- মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের কারণ:
দীর্ঘমেয়াদী কারণ:
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের অর্থনীতিতে পূর্ব পাকিস্তানের অবদান বেশি ছিল, কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনকালের নীতিমালা অনুযায়ী, বেশিরভাগ সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যেত।
- রাজনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বকে উপেক্ষা করত।
- সাংস্কৃতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের শাসক শ্রেণী উর্দু ভাষা ও সংস্কৃতিকে জোর করে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল।
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শুরু হওয়া ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের জাগরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
অল্পমেয়াদী কারণ:
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়: নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।
- জাগ্রত বাঙালি জাতীয়তাবাদ: নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও সামরিক শাসন জারি করার ফলে বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়।
- অপারেশন ‘জেনোসাইড’: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণহত্যা শুরু করে।
ফলাফল:
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
- মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হয়।
- বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গ্রহণ করা হয়।
- একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন শুরু হয়।
- মুক্তিযুদ্ধের বীরদের ত্যাগ ও কুরবানিকে জাতীয় সম্মান দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব:
- বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্তিশালীকরণ: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে।
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ: মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ ঘটেছে।
- সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতিষ্ঠার লড়াই ।
মুক্তিযুদ্ধের কারণ:
দীর্ঘমেয়াদী কারণ:
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি সম্পদ উৎপাদন করত। কিন্তু সেই সম্পদের বেশিরভাগই পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হত। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখা দেয়।
- রাজনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানে ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে তেমন কোন ভূমিকা ছিল না।
- সাংস্কৃতিক বৈষম্য: পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভিন্ন ছিল। পাকিস্তান সরকার উর্দু ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চায়, যা বাঙালিদের মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি করে।
- শোষণ ও বঞ্চনা: পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর নিয়মিতভাবে শোষণ ও বঞ্চনা চালাত।
তৎক্ষণাত্মক কারণ:
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে।
- জাতীয় পরিষদের বৈঠক বন্ধ: ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বৈঠক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
- ঘোষণা ৭ই মার্চ: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
- গণহত্যা ও সামরিক অভিযান: পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণহত্যা ও সামরিক অভিযান শুরু করে।
মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল:
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা: ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
- পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয়: পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
- শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি: শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
- বাংলাদেশে একটি নতুন সরকার গঠন: শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হয়।
- মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা: মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের জন্য সম্মান প্রদান করা হয় ।
পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া
আরও পড়ুন: লম্বা হওয়ার দোয়া, যে দোয়ার মাধ্যমে লম্বা হওয়া যায়
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
Reviews
There are no reviews yet.