Description
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস । মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল: নিয়মিত বাহিনী, গণবাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামরিক সংগঠন।
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস
পটভূমি:
- ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তানের অংশ হয়।
- পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাঙালিদের উপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য নীতি চাপিয়ে দেয়।
- ভাষা আন্দোলন (১৯৫২) ও ছয় দফা আন্দোলন (১৯৬৬) পূর্ব বাঙালিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে তোলে।
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাকিস্তানের শাসকদের কাছে অস্বীকার্য ছিল।
- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন জেনোসাইড’ শুরু করে, যার ফলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনা:
- ২৫ মার্চ: ‘অপারেশন জেনোসাইড’ শুরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার।
- ৭ এপ্রিল: মুজিবনগর সরকার গঠন।
- ২১-২৫ মে: জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রথম প্রশিক্ষণ শিবির ভারতে স্থাপিত।
- জুন-নভেম্বর: যুদ্ধের তীব্র পর্যায়, সারা দেশে গেরিলা যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ।
- ৩ ডিসেম্বর: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু।
- ১৬ ডিসেম্বর: ‘সার্রেন্ডার ডে’, ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- ২১ ডিসেম্বর: জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন।
মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল:
- স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন।
- ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন ও গ্রহণ।
- দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সূচনা।
তাৎপর্য:
- বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
- স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা।
- জাতীয় ঐক্য ও সংহতির মূল্যবোধ জাগ্রত।
- তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা।
স্মরণ:
- প্রতি বছর ২৫ মার্চ শহীদ দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
- মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বীরশ্রেষ্ঠদের সমাধি নির্মাণ করা হয়েছে।
- শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও কবিতা রচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিস্তারিত ইতিহাস:
পটভূমি:
- ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তানের অংশ হয়।
- পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাঙালিদের উপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য নীতি চাপিয়ে দেয়।
- ভাষা আন্দোলন (১৯৫২) ও ছয় দফা আন্দোলন (১৯৬৬) পূর্ব বাঙালিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে তোলে।
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাকিস্তানের শাসকদের কাছে অস্বীকার্য ছিল।
- নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন জেনোসাইড’ শুরু করে, যার ফলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনা:
২৫ মার্চ:
- ‘অপারেশন জেনোসাইড’ শুরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা পার্কে গণহত্যা।
- সারা দেশে ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের প্রতিহত প্রতিরোধ।
৭ এপ্রিল:
- মুজিবনগর সরকার গঠন, যা ভারতের মেঘনা নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত হয়।
- অস্থায়ী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২১-২৫ মে:
- জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রথম প্রশিক্ষণ শিবির ভারতে স্থাপিত হয়।
- প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ শুরু করে।
জুন-নভেম্বর:
- যুদ্ধের তীব্র পর্যায়।
- সারা দেশে গেরিলা যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ।
- উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ: জয়পুরহাটের যুদ্ধ, আখাউড়ার যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিসৌধের স্থানে অবস্থিত গরীবের বাজার যুদ্ধ, শ্যামপুরের যুদ্ধ, কমলাপুর যুদ্ধ ইত্যাদি।
- মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল: নিয়মিত বাহিনী, গণবাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামরিক সংগঠন।
৩ ডিসেম্বর:
- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু।
- ভারতীয় সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় দ্রুত অগ্রসর হতে থাকে।
১৬ ডিসেম্বর:
- ‘সার্রেন্ডার ডে’, ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়ে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিস্তারিত ইতিহাস
পটভূমি:
- ঔপনিবেশিক শোষণ: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে, পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। পশ্চিমবঙ্গ (বর্তমান ভারত) শিল্পায়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এই অসম অর্থনৈতিক নীতি পূর্ব বাঙালিদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
- ভাষাগত বৈষম্য: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর, উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব বাঙালিরা তাদের ভাষাগত অধিকার আদায় করে।
- রাজনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পূর্ব বাঙালিদের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না।
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্পদের বেশিরভাগই ব্যয় করা হত পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব বাংলা উন্নয়নের জন্য অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা হত।
প্রধান ঘটনা:
- ২৫ মার্চ: অপারেশন জেনোসাইড শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হন।
- ৭ এপ্রিল: মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা।
- ২১-২৫ মে: ভারতে জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রথম প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপিত হয়।
- জুন-নভেম্বর: যুদ্ধের তীব্র পর্যায়। সারা দেশে গেরিলা যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ। উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ:
- জয়পুরহাটের যুদ্ধ: মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম উল্লেখযোগ্য বিজয়।
- আশুগঞ্জের যুদ্ধ: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধের জয়।
- সিলেটের যুদ্ধ: মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ ও তীব্র যুদ্ধের মাধ্যমে সিলেট মুক্তি।
- ফেনীর যুদ্ধ: মুক্তিযোদ্ধাদের গণযুদ্ধের মাধ্যমে ফেনী মুক্তি।
- ৩ ডিসেম্বর: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়।
- ১৬ ডিসেম্বর: ‘সার্রেন্ডার ডে’। ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- ২১ ডিসেম্বর: জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন।
পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
আরও পড়ুন: মেয়েদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের নাম
আরও পড়ুন: ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ
Reviews
There are no reviews yet.