Description
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা । ১৯৭১ সালের 25 মার্চ থেকে 16 ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকামী মানুষের অক্লান্ত সংগ্রাম ও বীরত্বের এক অসাধারণ অধ্যায়।
পড়ুন: ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা
ভূমিকা:
১৯৭১ সালের 25 মার্চ থেকে 16 ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকামী মানুষের অক্লান্ত সংগ্রাম ও বীরত্বের এক অসাধারণ অধ্যায়। পাকিস্তানের শোষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে ৯ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে অসংখ্য শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পটভূমি:
1947 সালে ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলা (তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্ব প্রান্ত) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি সকল ক্ষেত্রেই বিরাজমান ছিল বৈষম্য ও শোষণ। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাঙালিদের উপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা:
1970 সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল জয় পাকিস্তানের শাসকদের হতাশ করে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা হস্তান্তর না করে তারা সামরিক শাসন জারি করে। এর প্রতিবাদে সারা পূর্ব বাংলায় শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। 1971 সালের 25 মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালিদের উপর গণহত্যা শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
- 7 মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ঐক্য ঘোষণা।
- 25 মার্চ: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ ও নিরীহ জনগণের উপর গণহত্যা।
- 26 মার্চ: স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।
- 11 এপ্রিল: মুজিবনগর সরকার গঠন।
- সেপ্টেম্বর: মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরাসরি সহায়তা।
- 16 ডিসেম্বর: বিজয় দিবস ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা।
মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল:
- স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা।
- পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ।
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি।
- বাঙালি জাতির মর্যাদা ও ঐক্যের প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস:
ভূমিকা:
১৯৭১ সালের 25 মার্চ থেকে 16 ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য একটি দীর্ঘ ও রক্তাক্ত সংগ্রাম। পাকিস্তানের শোষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছিল বাংলার মানুষ।
পটভূমি:
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য সংগ্রাম ছিল মুক্তিযুদ্ধের পূর্বসূচী।
- ছয় দফা: ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি পেশ করেন যা পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি করে।
- ১৯৭০ সালের নির্বাচন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হয় কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে।
মুক্তিযুদ্ধ:
- 25 মার্চ: অপারেশন ‘জেনোসাইড’ শুরু হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর গণহত্যা চালায়।
- মুক্তিযুদ্ধের সূচনা: মুক্তিযোদ্ধারা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ভারতের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ: জয়পুরহাট, গরীবপুর, উখড়া, ভদ্রা, বঙ্গবন্ধু নগর (সিলেট) ইত্যাদি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের পরিচয় দেয়।
- মিত্রবাহিনীর প্রবেশ: ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে।
- স্বাধীনতা ঘোষণা: 1971 সালের 16 ডিসেম্বর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল:
- স্বাধীন বাংলাদেশ: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- পাকিস্তানের পরাজয়: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব: শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে গৃহীত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য:
- স্বাধীনতার অর্জন: বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি ঐতিহাসিক বিজয়।
- জাতীয় ঐক্য: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে।
- মানবাধিকার রক্ষা: মুক্তিযুদ্ধ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ছিল।
- বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান: মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
ভূমিকা:
১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি নবজাগরণের যুদ্ধ, যেখানে বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই নয় মাসের যুদ্ধ ছিল রক্ত, আত্মত্যাগ এবং অসাধারণ সাহসের এক মহাকাব্য।
পটভূমি:
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর, পূর্ব বাংলা (তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্ব প্রান্ত) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (তৎকালীন পাকিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত) দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও একটি রাষ্ট্র গঠন করে। ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে বৈষম্যের কারণে শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজমান ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা:
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় এবং পাকিস্তান সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা হস্তান্তর না করার নীতি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন জেনোসাইড’ শুরু করে, যার ফলে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ব্যাপক হত্যাযায্ঞা ও গণহত্যা শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনা:
- ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ
- ২৫ মার্চ: অপারেশন জেনোসাইড শুরু, নিরস্ত্র জনগণের উপর নির্মম হত্যা
- ২৬ মার্চ: বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা
- ৭ এপ্রিল: মুক্তিযুদ্ধের সূচনা, মুক্তিবাহিনীর গঠন
- ১৬ ডিসেম্বর: ভারতের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়
ফলাফল:
- স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- সর্বাত্মক উন্নয়নের লক্ষ্যে: নতুন রাষ্ট্র গঠন, সংবিধান প্রণয়ন এবং দেশের সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য:
- বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
পড়ুন: লম্বা হওয়ার দোয়া, যে দোয়ার মাধ্যমে লম্বা হওয়া যায়
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
আরও পড়ুন: মেয়েদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের নাম
Reviews
There are no reviews yet.