Description
সংলাপ লেখার নিয়ম ।
সংলাপ লেখার নিয়ম:
১. বাস্তবসম্মত ভাষা:
- সংলাপে প্রতিদিনের কথাবার্তার ভাষা ব্যবহার করুন।
- চরিত্রের বয়স, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির সাথে মানানসই ভাষা ব্যবহার করুন।
- আঞ্চলিকতা, স্থানীয় বলি, লোককথা ইত্যাদি ব্যবহার করে সংলাপকে আরও সমৃদ্ধ করুন।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
২. সংক্ষিপ্ততা:
- অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে সংলাপকে সংক্ষিপ্ত করুন।
- মূল বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।
- চরিত্রের মনোভাব ও উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলুন।
৩. স্বাভাবিকতা:
- কথোপকথনে স্বাভাবিকতা আনতে বিরতি, হাসি, কান্নার মতো অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করুন।
- প্রশ্ন, উত্তর, মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সংলাপকে প্রাণবন্ত করে তুলুন।
- চরিত্রের মধ্যে বিতর্ক, মতবিরোধ, ঝগড়া ইত্যাদি উপস্থাপন করুন।
৪. পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য:
- সংলাপ যেখানে হচ্ছে সেই পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করুন।
- সময়কাল, স্থান, আবহাওয়া ইত্যাদির সাথে মানানসই সংলাপ রচনা করুন।
- প্রয়োজনে পরিবেশের বর্ণনা সংযুক্ত করে সংলাপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন।
৫. উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা:
- সংলাপের মাধ্যমে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলুন।
- চরিত্রের মধ্যেকার সম্পর্ক, তাদের চিন্তাভাবনা, আবেগ ইত্যাদি সংলাপের মাধ্যমে তুলে ধরুন।
- পাঠকের মনে রস ও কৌতূহল জাগিয়ে তুলুন।
উপরোক্ত নিয়মগুলি ছাড়াও, সংলাপ লেখার সময় আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:
- চরিত্রের সংখ্যা: অতিরিক্ত চরিত্র ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন অনুযায়ী চরিত্র সংযুক্ত করুন।
- ভাষার প্রবাহ: সংলাপে একঘেয়েমি এড়িয়ে চলুন। ভাষার প্রবাহকে সাবলীল ও আকর্ষণীয় রাখুন।
- বানান ও ব্যাকরণ: সংলাপে বানান ও ব্যাকরণগত ভুল এড়িয়ে চলুন।
- পরিমার্জন: সংলাপ রচনা শেষে ভালো করে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পরিমার্জন করুন।
সংলাপ লেখার অনুশীলন:
- বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করুন।
- নাটক, সিনেমা, উপন্যাস ইত্যাদিতে ব্যবহৃত সংলাপগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- নিজেরা বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপ রচনার চেষ্টা করুন।
**সংলাপ লেখার মাধ্যমে আপনি পাঠকের মনে আবেগ জাগিয়ে তুল
সংলাপ লেখার নিয়ম: বিস্তারিত আলোচনা
১. বাস্তবসম্মত ভাষা:
- প্রতিদিনের ভাষা: সংলাপে এমন ভাষা ব্যবহার করুন যা প্রতিদিনের কথোপকথনে ব্যবহৃত হয়। কৃত্রিম বা অতিশয় আনুষ্ঠানিক ভাষা এড়িয়ে চলুন।
- চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: চরিত্রের বয়স, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির সাথে মানানসই ভাষা ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি একজন শিক্ষিত ব্যক্তির চেয়ে ভিন্ন ভাষায় কথা বলবে।
- আঞ্চলিকতা: যদি সংলাপ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটে থাকে, তাহলে সেই এলাকার আঞ্চলিক ভাষা ও বলি ব্যবহার করুন। এতে সংলাপ আরও বাস্তবসম্মত ও আকর্ষণীয় হবে।
- লোককথা: কথোপকথনে লোককথা, প্রবাদ, বাঁধানো কথা ইত্যাদি ব্যবহার করে সংলাপকে আরও সমৃদ্ধ করুন।
উদাহরণ:
- প্রতিদিনের ভাষা:
- “এই বইটা তুই পড়েছিস?”
- “কালকে কি অফিস যাবি?”
- “আজ বাইরে বেশ গরম আছে!”
- চরিত্রের বৈশিষ্ট্য:
- অশিক্ষিত ব্যক্তি: “আমার ছেলেটা এখন স্কুলে যায়।”
- শিক্ষিত ব্যক্তি: “আমার পুত্রবৎসল বর্তমানে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।”
- আঞ্চলিকতা:
- ঢাকাইয়া: “আই যাবো না।”
- চট্টগ্রামীয়া: “আমি যাব না।”
- লোককথা:
- “এই ছেলেটা বুদ্ধিমান, কিন্তু সে তার ভাগ্যের সাথে লড়াই করছে।”
২. সংক্ষিপ্ততা:
- অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ: দীর্ঘ বাক্য ও অপ্রয়োজনীয় বিবরণ এড়িয়ে চলুন। সরাসরি মূল বিষয়ে আসুন।
- মূল বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ: কথোপকথনের মূল বিষয় কী তা স্পষ্ট রাখুন এবং সেই বিষয়ের উপর আলোচনাকে কেন্দ্রীভূত করুন।
- চরিত্রের উদ্দেশ্য: চরিত্র কথোপকথনের মাধ্যমে কী অর্জন করতে চায় তা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলুন।
উদাহরণ:
- অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ:
- দীর্ঘ বাক্য: “আমি আজ সকালে বাজারে গিয়েছিলাম এবং সেখানে অনেক লোক ছিল এবং আমি কিছু শাকসবজি ও মাছ কিনেছি।”
- সংক্ষিপ্ত বাক্য: “আজ সকালে বাজারে শাকসবজি ও মাছ কিনেছি।”
- মূল বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ:
- বিষয়: পরীক্ষার প্রস্তুতি
- কথোপকথন:
- “তুমি কি পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা শুরু করেছো?”
- “হ্যাঁ, শুরু করেছি।
৩. স্বাভাবিকতা:
- অনুপ্রাণিত বক্তব্য: সংলাপে চরিত্রগুলো যেন স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে তা নিশ্চিত করুন। কথোপকথন যেন রোবটের মতো না লাগে।
- অনুভূতি প্রকাশ: চরিত্রগুলোর আবেগ ও অনুভূতি সংলাপের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন।
- হাস্যরস: উপযুক্ত হলে, সংলাপে হাস্যরসের ব্যবহার করুন। তবে, অতিরিক্ত হাস্যরস এড়িয়ে চলুন।
উদাহরণ:
- অনুপ্রাণিত বক্তব্য:
- “আমি তোমাকে কাল রাতে দেখেছিলাম। তুমি কি সিনেমায় গিয়েছিলে?”
- “হ্যাঁ, গিয়েছিলাম। সিনেমাটা বেশ ভালো ছিল।”
- অনুভূতি প্রকাশ:
- “আমি তোমাকে খুব মিস করছি।”
- “আমিও তোমাকে মিস করছি।”
- হাস্যরস:
- “এই ছেলেটা এত বোকা যে সে নিজের পা দিয়ে নিজের পা ধরে ফেলেছে!”
৪. পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য:
- সময়: সংলাপ যেন সেই সময়ের সাথে মানানসই হয় যে সময়ে ঘটনাটি ঘটছে।
- স্থান: সংলাপ যেন সেই স্থানের সাথে মানানসই হয় যেখানে ঘটনাটি ঘটছে।
- সামাজিক প্রেক্ষাপট: সংলাপ যেন সেই সমাজের সাথে মানানসই হয় যেখানে ঘটনাটি ঘটছে।
উদাহরণ:
- সময়:
- আধুনিক সময়: “তুমি কি ফেসবুকে আছো?”
- ঐতিহাসিক সময়: “তুমি কি রাজার প্রাসাদে গেছো?”
- স্থান:
- শহর: “এই শহরে অনেক গাড়ি আছে!”
- গ্রাম: “এই গ্রামে অনেক গাছপালা আছে!”
- সামাজিক প্রেক্ষাপট:
- উচ্চবিত্ত সমাজ: “আমাদের নতুন গাড়িটা এসেছে।”
- নিম্নবিত্ত সমাজ: “আমাদের আজ রাতে খাবার নেই।”
৫. চরিত্র চিত্রায়ণ:
- চরিত্রের ব্যক্তিত্ব: সংলাপের মাধ্যমে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিত্ব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলুন।
- চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য: বিভিন্ন চরিত্র যেন একই রকম না কথা বলে। প্রত্যেকের নিজস্ব ভাষা ও বক্তব্যধারা থাকা উচিত।
- চরিত্রের বিকাশ: সংলাপের মাধ্যমে চরিত্রগুলোর বিকাশ ও পরিবর্তন তুলে ধরুন।
উদাহরণ:
- চরিত্রের ব্যক্তিত্ব:
- সাহসী: “আমি ভয় পাই না!”
- ভীতু: “আমি একা যেতে ভয় পাই।”
- চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য:
- বয়স্ক: “আমার সময়ে এমন কিছু হতো না।”
- তরুণ: “এখনকার দিনগুলো অনেক
hsc সংলাপ লেখার নিয়ম
সংলাপ হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন। লেখার ক্ষেত্রে, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র, পরিবেশ, ঘটনাপ্রবাহ, এবং ভাব প্রকাশ করা সহজ হয়। এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সংলাপ লেখার উপর প্রশ্ন আসে।
এইচএসসি সংলাপ লেখার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
১. বিষয় নির্বাচন:
- প্রশ্নের নির্দেশিকা অনুসারে বিষয় নির্বাচন করতে হবে।
- বিষয়টি হতে হবে আকর্ষণীয় এবং সমসাময়িক।
- চরিত্র ও ঘটনার সাথে পরিচিতি থাকা প্রয়োজন।
২. চরিত্র সৃষ্টি:
- সংলাপে যারা কথা বলে তাদের চরিত্র স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত হতে হবে।
- চরিত্রের বয়স, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান, ভাষা, আচার-আচরণ ইত্যাদি বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে।
- চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য থাকা আবশ্যক।
৩. ঘটনাপ্রবাহ:
- সংলাপের মাধ্যমে একটি সুগঠিত ঘটনাপ্রবাহ তৈরি করতে হবে।
- ঘটনাগুলি যুক্তিসঙ্গত ও ক্রমবর্ধমান হতে হবে।
- উত্তেজনা ও নাটকীয়তা থাকা উচিত।
৪. ভাষা ব্যবহার:
- সংলাপে চরিত্রের উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
- চরিত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, বয়স ইত্যাদির সাথে ভাষার সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
- সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করা উচিত।
৫. ব্যাকরণ ও বানান:
- সংলাপে ব্যাকরণ ও বানানের ভুল থাকা যাবে না।
- লিপিবিদ্যার নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৬. সময়:
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংলাপ সম্পূর্ণ করতে হবে।
এইচএসসি সংলাপ লেখার জন্য কিছু টিপস:
- বিভিন্ন ধরণের সংলাপ পড়ুন ও বিশ্লেষণ করুন।
- নিজের মনে মনে সংলাপ অনুশীলন করুন।
- বন্ধুবান্ধবের সাথে সংলাপ রচনা করে আলোচনা করুন।
- নিয়মিত অনুশীলন করুন।
এই নিয়মগুলি মেনে চললে আপনি এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন।
শুভকামনা রইল।
এইচএসসি সংলাপ লেখার নিয়ম:
সংজ্ঞা:
সংলাপ হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন। লেখায় সংলাপ ব্যবহার করে আমরা চরিত্র, পরিবেশ, ঘটনাপ্রবাহ, এবং ভাবাবেগ প্রকাশ করতে পারি।
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সংলাপ লেখার নিয়ম:
- বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংলাপ অবশ্যই নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার প্রশ্নে যে বিষয় দেওয়া হবে, সংলাপ তার উপর ভিত্তি করে লিখতে হবে।
- চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি চরিত্রের বৈশিষ্ট্য, বয়স, শিক্ষা, পেশা, ভাষাগত দক্ষতা, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে তাদের ভাষা ও বক্তব্য নির্বাচন করতে হবে।
- প্রাসঙ্গিকতা: প্রতিটি বাক্য ও বক্তব্য অবশ্যই আগের বক্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
- সংক্ষিপ্ততা: সংলাপ অবশ্যই সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে মূল বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
- ভাষাগত সাবলীলতা: সংলাপে ব্যবহৃত ভাষা অবশ্যই সাবলীল ও সঠিক হতে হবে। ব্যাকরণগত ভুল এড়িয়ে চলতে হবে।
- চিহ্ন ব্যবহার: উক্তিচিহ্ন, বিরামচিহ্ন, এবং অঙ্গভঙ্গি বোঝানোর জন্য উপযুক্ত চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
- সৃজনশীলতা: সংলাপ আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল হতে হবে। চরিত্রদের মধ্যে বিতর্ক, রসবোধ, এবং আবেগ প্রকাশের মাধ্যমে সংলাপকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়।
কিছু টিপস:
- সংলাপ লেখার আগে বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝে নিন।
- চরিত্রদের কথা কল্পনা করে তাদের মনে হতে পারে এমন কথা লিখুন।
- সংলাপ পাঠ করার সময় চরিত্রদের ভাবপ্রকাশ অনুভব করার চেষ্টা করুন।
- প্রয়োজনে বন্ধু বা শিক্ষকের কাছে সংলাপটি পড়ে মতামত নিন।
উদাহরণ:
বিষয়: দুই বন্ধুর মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আলোচনা
চরিত্র:
- রিপন: বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র
- সোহাগ: বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র
(স্কুলের বাইরে রিপন ও সোহাগ দেখা করলো)
রিপন: আরে সোহাগ, কেমন লাগলো রে পরীক্ষার ফলাফল?
সোহাগ: আহা, কি আর বলবো! ভালোই মনে হচ্ছে। তোর ফলাফল কেমন?
রিপন: আমারো মোটামুটি ভালো। তুই কি বিজ্ঞানে A পেয়েছিস?
সোহাগ: হ্যাঁ, পেয়েছি। তুই?
রিপন: আমি
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.