Description
মুক্তিযুদ্ধের কারণ । মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জটিল ঘটনা যার একাধিক কারণ ছিল। কিছু প্রধান কারণ নিম্নরূপ:
মুক্তিযুদ্ধের কারণ:
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
রাজনৈতিক কারণ:
- বৈষম্য: পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করত। রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থনৈতিক সম্পদ, এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান বঞ্চিত ছিল।
- অপ্রতিনিধিত্ব: পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব পেত না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পরও, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে।
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে।
অর্থনৈতিক কারণ:
- শোষণ: পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতির শোষণ করত। পূর্ব পাকিস্তান থেকে কৃষিজাত পণ্য ও অন্যান্য সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হত, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য তেমন অর্থ বরাদ্দ করা হত না।
- অসমতা: পূর্ব পাকিস্তানে দারিদ্র্য ও অসমতার হার ছিল অনেক বেশি। পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জীবনযাত্রার মান অনেক নিম্ন ছিল।
সাংস্কৃতিক কারণ:
- সংস্কৃতির উপর আক্রমণ: পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের সংস্কৃতির উপর আক্রমণ চালায়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে দমন করার চেষ্টা করা হয়।
- জাতীয় পরিচয়: পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তাদের নিজস্ব জাতীয় পরিচয় গড়ে তুলতে শুরু করে। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, এবং ইতিহাস তাদের জাতীয়তাবোধের ভিত্তি তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক কারণ:
- শীতল যুদ্ধ: শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধকে প্রভাবিত করে। ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন করেছিল।
উল্লেখ্য যে, উপরে উল্লেখিত কারণগুলি ছাড়াও আরও অনেক কারণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য দায়ী ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের কারণ:
মুক্তিযুদ্ধ ছিলো এক দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়ার পরিণতি যার মূলে ছিলো বহুমুখী কারণ।
প্রধান কারণগুলো হলো:
রাজনৈতিক বৈষম্য:
- পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অংশগ্রহণ ছিলো নিতান্তই কম।
- পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিলো এবং পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ শোষণ করে তাদের নিজস্ব অঞ্চলের উন্নয়ন সাধন করতো।
- আইন প্রণয়ন, ভাষা নীতি, অর্থনৈতিক নীতি, শিক্ষা নীতি, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ছিলো।
অর্থনৈতিক শোষণ:
- পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি ছিলো কৃষি নির্ভর, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শিল্প-কলার উন্নয়নে পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ ব্যবহার করতো।
- পূর্ব পাকিস্তান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে পশ্চিম পাকিস্তানে ব্যয় করা হতো।
- পূর্ব পাকিস্তানের তৈরি জিনিসপত্রের উপর উচ্চ কর আরোপ করা হতো, যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতো না।
সাংস্কৃতিক বৈষম্য:
- পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দু ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো।
- বাংলা ভাষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো এবং বাংলা ভাষাভাষীদের উপর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছিলো।
১৯৭০ সালের নির্বাচন ও তার পরিণাম:
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
- নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সামরিক অভিযান শুরু করে।
- মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
অন্যান্য কারণ:
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
- ছয় দফা দাবি
- আইয়ুব খানের সামরিক শাসন
- মুজিবনগর সরকারের প্রতিষ্ঠা
মুক্তিযুদ্ধ ছিলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য নয়, বরং
- সামাজিক ন্যায়বিচার
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন
- সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা
- মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও ছিলো।
মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য এক দীর্ঘ ও গৌরবময় সংগ্রাম।
মুক্তিযুদ্ধের কারণ:
মুক্তিযুদ্ধ ছিলো এক দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া, যা একাধিক কারণের সমন্বয়ে ঘটেছিল।
প্রধান কারণগুলো হলো:
রাজনৈতিক বৈষম্য:
- পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানকে উপনিবেশ হিসেবে শাসন করতো।
- রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বন্টনে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব ছিল অত্যন্ত কম।
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু জারি করা হয়েছিল, যা বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রহণযোগ্য ছিল।
- আইনসভা ও প্রশাসনে পূর্ব পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ছিল নিতান্তই অপর্যাপ্ত।
অর্থনৈতিক শোষণ:
- পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে ব্যয় করা হতো।
- পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প-কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প-কারখানাগুলো বাজার দখল করতে পারে।
- পূর্ব পাকিস্তানের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে ফসল কেনা হতো না।
- কর ও রাজস্বের বেশিরভাগই পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যেতো।
সাংস্কৃতিক বৈষম্য:
- পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পশ্চিম পাকিস্তানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জোর করে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল।
- বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
- পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে আচরণ করা হতো।
১৯৭০ সালের নির্বাচন:
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
- নির্বাচনের পর, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং পূর্ব পাকিস্তানের উপর সামরিক শাসন জারি করে।
- এর ফলে, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়।
অন্যান্য কারণ:
- মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ভূমিকা রেখেছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যাতে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন অনেক শহীদ।
- ছয় দফা দাবি, যা পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিল।
- মুজিবনগর সরকার গঠন, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিকল্প সরকার হিসেবে কাজ করেছিল।
- ভারতের সহায়তা, যা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
পড়ুন: লম্বা হওয়ার দোয়া, যে দোয়ার মাধ্যমে লম্বা হওয়া যায়
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
আরও পড়ুন: মেয়েদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের নাম
Reviews
There are no reviews yet.