Description
ভাবসম্প্রসারণ শৈবাল দিঘিরে বলে । ভাবসম্প্রসারণ: এই কবিতাটিতে কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বর্ণনা করেছেন। একটি শৈবালে ঢাকা দীঘির চিত্র তুলে ধরেছেন। দীঘির ধারে ঘাসে শিশির ভেজা, আর সেখানে ফুটেছে রঙিন ফুল। এই মনোরম দৃশ্য দেখে কবি মুগ্ধ হয়েছেন এবং তার মন ভরে উঠেছে।
ভাবসম্প্রসারণ শৈবাল দিঘিরে বলে
কবিতা:
শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
শিশিরে ভেজা ঘাসে ফুটেছে ফুল,
কত রঙের আভা, মন হয়েছে ভুল।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনইক্লিক করুন
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
- প্রথম পংক্তি: “শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির” – এই লাইনে কবি শৈবালে ঢাকা দীঘির প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। দীঘির সৌন্দর্য্য তাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে সে তার মাথা উঁচু করে দীঘির প্রশংসা করছে।
- দ্বিতীয় পংক্তি: “লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির” – এই লাইনে কবি দীঘির ধারে ঘাসে ভেজা শিশিরের কথা উল্লেখ করেছেন। সে যেন চায় এই মনোরম দৃশ্য চিরকাল ধরে মনে রাখতে।
- তৃতীয় পংক্তি: “শিশিরে ভেজা ঘাসে ফুটেছে ফুল” – এই লাইনে কবি দীঘির ধারে শিশিরে ভেজা ঘাসে ফোটে থাকা রঙিন ফুলের কথা বলেছেন। ফুলের রঙের আভা কবির মনকে মুগ্ধ করেছে।
- চতুর্থ পংক্তি: “কত রঙের আভা, মন হয়েছে ভুল” – এই লাইনে কবি ফুলের রঙের আভার বর্ণনা করেছেন। ফুলের রঙ এতটাই সুন্দর যে কবির মন ভুলে গেছে সবকিছু।
উপসংহার:
এই কবিতাটিতে কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের প্রতি তার অপার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। দীঘির, শিশির,
এবং ফুলের মনোরম দৃশ্য কবিকে মুগ্ধ করেছে এবং তার মনে এক অপার্থিব আনন্দ জাগিয়ে তুলেছে।
কবিতাটির রস:
এই কবিতাটির রস হল শৃঙ্গার রস। কারণ কবিতাটিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বর্ণনার মাধ্যমে পাঠকের মনে এক অপার্থিব আনন্দ জাগিয়ে তোলা হয়েছে।
অন্যান্য বিষয়:
- এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত।
- এটি একটি ছোটো কবিতা, মাত্র চার লাইনের।
- কবিতাটির ভাষা সরল ও সাবলীল।
- কবিতাটিতে প্রতীকাল্পনের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।
আশা করি এই ভাবসম্প্রসারণটি আপনার কাজে লেগেছে।
“শৈবাল দিঘিরে বলে” কবিতার ভাবসম্প্রসারণ:
কবিতাটির বিষয়বস্তু:
এই কবিতাটিতে, কবি এক শৈবাল আচ্ছন্ন দিঘির বর্ণনা দিচ্ছেন। দিঘির চারপাশে সবুজ শৈবালের সমারোহ, যা দিঘির জলকে সবুজ রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। দিঘির তীরে নারকেল, তাল, আম, জাম, বেদানা, লেবু, কাঁঠাল গাছের সমারোহ। দিঘির জলে শাপলা, কচুরপানা, জলকুম্বি ভেসে বেড়াচ্ছে। দিঘির ধারে পাখিরা ডানা মেলে গান গাইছে। এই মনোরম পরিবেশে কবি মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন।
কবিতার ভাব:
এই কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা ও মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। শৈবাল আচ্ছন্ন দিঘির সৌন্দর্য কবির মনে বিস্ময় ও আনন্দ জাগিয়ে তুলেছে। দিঘির চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ কবির মনে এক অপার্থিব আনন্দ জাগিয়ে তুলেছে। কবি এই মনোরম পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন।
কবিতার শিল্পতত্ত্ব:
এই কবিতায় কবি বিভিন্ন রঙ, শব্দ ও চিত্র ব্যবহার করে দিঘির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। “সবুজ শৈবালে ঢাকা”, “জল সবুজ”, “নারকেল, তাল, আম, জাম”, “শাপলা, কচুরপানা, জলকুম্বি”, “পাখিরা ডানা মেলে গান গায়” ইত্যাদি বর্ণনা দিঘির মনোরম পরিবেশের চিত্র তুলে ধরে। কবিতার ভাষা সরল ও সাবলীল। ছন্দ ও লয় মিষ্টি ও সুন্দর।
কবিতার তাৎপর্য:
এই কবিতা আমাদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারি। প্রকৃতির সাথে মানুষের এক অটুট সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।
উপসংহার:
“শৈবাল দিঘিরে বলে” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। এই কবিতাটি প্রকৃতিপ্রেমী
মানুষের মনে বিশেষভাবে আবেদন রাখে।
“শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির”** – এই কবিতাটির ভাবসম্প্রসারণ :
প্রথম পংক্তি:
- শৈবাল দীঘিরে বলে: কবি শৈবালে আচ্ছন্ন দীঘিকে সম্বোধন করেছেন। শৈবাল দীঘি মানে শৈবালে পূর্ণ দীঘি।
- উচ্চ করি শির: দীঘির প্রতি কবির অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এই বাক্যটি প্রকাশ করে। দীঘিকে সে মাথার উপরে তুলে ধরেছে।
- লিখে রেখো: কবি দীঘির সৌন্দর্য তার মনে গেঁথে রাখতে চায়।
- এক ফোঁটা দিলেম শিশির: কবি দীঘিতে এক ফোঁটা শিশির ছিটিয়ে দিয়েছে। এই শিশিরবিন্দু দীঘির সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।
সামগ্রিক ভাব:
এই কবিতার মাধ্যমে কবি প্রকৃতির প্রতি তার অপার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। শৈবালে আচ্ছন্ন দীঘির সৌন্দর্য কবিকে মুগ্ধ করেছে। তিনি দীঘির সৌন্দর্য তার মনে চিরকাল ধরে রাখতে চান।
কবিতাটির বিশেষত্ব:
- প্রতীক: শৈবাল দীঘি প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতীক।
- উপমা: শিশিরবিন্দুকে দীঘির সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
- ভাষার সরলতা: কবিতার ভাষা সরল ও সাবলীল।
- লয় ও ছন্দ: কবিতার লয় ও ছন্দ মনোরম।
উপসংহার:
“শৈবাল দীঘিরে বলে” কবিতাটি বাংলা কবিতার এক অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে এই কবিতা অতুলনীয়।
“শৈবাল দীঘিরে বলে” কবিতাটির আরও বিস্তারিত ভাবসম্প্রসারণ:
ভূমিকা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত “শৈবাল দীঘিরে বলে” কবিতাটি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের এক অপূর্ব চিত্র তুলে ধরে। মাত্র চার লাইনের এই কবিতাটিতে কবি একটি শৈবালে ঢাকা দীঘির মনোরম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। দীঘির ধারে ঘাসে ভেজা শিশির এবং রঙিন ফুলের সৌন্দর্য্য কবিকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে তিনি এই দৃশ্য চিরকাল মনে রাখতে চান।
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
প্রথম পংক্তি:
“শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির” – এই লাইনে কবি শৈবালে ঢাকা দীঘির প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। দীঘির সৌন্দর্য্য তাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে সে তার মাথা উঁচু করে দীঘির প্রশংসা করছে। এখানে কবি শুধু দীঘির প্রশংসা করছেন না, বরং প্রকৃতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাও প্রকাশ করছেন।
দ্বিতীয় পংক্তি:
“লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির” – এই লাইনে কবি দীঘির ধারে ঘাসে ভেজা শিশিরের কথা উল্লেখ করেছেন। শিশিরের ফোঁটা যেন মুক্তার মতো চকচকে। কবি যেন চায় এই মনোরম দৃশ্য চিরকাল ধরে মনে রাখতে। এখানে কবি শুধু শিশিরের বর্ণনা করছেন না, বরং প্রকৃতির স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করছেন।
তৃতীয় পংক্তি:
“শিশিরে ভেজা ঘাসে ফুটেছে ফুল” – এই লাইনে কবি দীঘির ধারে শিশিরে ভেজা ঘাসে ফোটে থাকা রঙিন ফুলের কথা বলেছেন। ফুলের রঙের আভা কবির মনকে মুগ্ধ করেছে। এখানে কবি শুধু ফুলের বর্ণনা করছেন না, বরং প্রকৃতির বর্ণিলতাকে ফুটিয়ে তুলছেন।
চতুর্থ পংক্তি:
“কত রঙের আভা, মন হয়েছে ভুল” – এই লাইনে কবি ফুলের রঙের আভার বর্ণনা করেছেন। ফুলের রঙ এতটাই সুন্দর যে কবির মন ভুলে গেছে সবকিছু। এখানে কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের প্রতি তার অভূতপূর্ব মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
উপসংহার:
“শৈবাল দীঘিরে বলে” কবিতাটি প্রকৃতিপ্রেমী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অমূল্য রচনা। এই কবিতাটিতে কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন। দীঘি, শিশির, এবং ফুলের মনোরম দৃশ্য কবিকে মুগ্ধ করেছে এবং তার মনে এক অপার্থিব আনন্দ জাগিয়ে তুলেছে।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.