Description
মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর দু’জন উপ প্রধান সেনাপতি ছিলেন:
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন
১) মেজর জেনারেল (অবসর) এম. এ. রব:
- তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেনাপতি এবং সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা।
- ১৯৭১ সালের ৭ই এপ্রিল তাকে মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
- ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই তাকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।
- তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সামরিক কৌশলবিদ এবং তার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে জয়লাভ করে।
- স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম প্রধান সেনাপতি হন।
২) গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অবসর) এ. কে. খন্দকার:
- তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর বিমান বাহিনীর প্রধান।
- তাকে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক (বিমান) হিসেবে মনোনীত করা হয়।
- তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমান বাহিনীর গঠন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান হন।
উল্লেখ্য যে:
- মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মুক্তিবাহিনীর কোন স্পষ্ট কমান্ড গঠন ছিল না।
- বিভিন্ন সেক্টরে স্থানীয় নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পরিচালনা করতেন।
- ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের একটি সরকার গঠিত হয়।
- এই সরকার মুক্তিবাহিনীর একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড গঠন করে এবং এম. এ. রবকে এর উপ-সর্বাধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করে।
মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের বিস্তারিত জীবনী
পরিচয়:
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রাথমিক জীবন ও কর্মজীবন:
- ১৯২৫ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৯৪৩ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর অংশ হিসেবে বার্মা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
- ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।
- ১৯৬৬ সালে স্কোয়াড্রন লিডার পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:
- ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।
- ১১ জুলাই ১৯৭১ সালে তাকে মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
- তিনি বিভিন্ন যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- বিশেষ করে, তিনি কেন্দ্রীয় মুখ্য সদর দপ্তর (সিসিএইচকিউ) স্থাপন ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধি দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর:
- মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৭৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
- ২০০২ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখযোগ্য অবদান:
- মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সংগঠন ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
- বিভিন্ন যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
- মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহিতকরণ।
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গঠন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
মূল্যায়ন:
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দক্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অসামান্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা অপরিসীম।
মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
পরিচয়:
- নাম: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
- পদবী: মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি
- জন্ম: ১৯২৫ সাল
- মৃত্যু: ১৯৯৯ সাল
- উল্লেখযোগ্য পদবী:
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান (১৯৭১-১৯৭৩)
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:
- ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।
- ১১ জুলাই ১৯৭১ সালে তাকে মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
- তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- উল্লেখযোগ্য অবদান:
- মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমান বাহিনীর গঠন ও পরিচালনা
- ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় সাধন
- যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
- মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অনুপ্রেরণা
বীরত্ব ও সম্মাননা:
- মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহস ও দক্ষতার জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধি দেওয়া হয়।
- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে আরও বেশ কিছু সম্মাননা দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর:
- মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৭৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
- অবসর জীবনে তিনি একজন সমাজসেবী হিসেবে কাজ করেন।
উত্তরাধিকার:
- গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের একজন জাতীয় নায়ক।
- মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অমূল্য এবং চিরস্মরণীয়।
- তিনি আজও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।
পড়ুন: লম্বা হওয়ার দোয়া, যে দোয়ার মাধ্যমে লম্বা হওয়া যায়
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
আরও পড়ুন: মেয়েদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের নাম
Reviews
There are no reviews yet.