Description
মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল । মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য।
মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন জেনোসাইড’ নামক একটি পরিকল্পনা চালু করে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন শুরু করে। এর প্রতিবাদে বাঙালিরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধের পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ ছিল:
- রাজনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানকে উপনিবেশের মত শাসন করত। ক্ষমতা ও সম্পদের বন্টনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বঞ্চিত ছিল।
- অর্থনৈতিক শোষণ: পাকিস্তানের অর্থনীতি পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হত। পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুণ্ঠন করে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পায়ন করা হয়েছিল।
- সাংস্কৃতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দু ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাংলা ভাষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের ভাষাগত অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম শুরু করে। এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সাহসী যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত যুদ্ধে যোগদান করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- এটি ছিল একটি জনযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, নিয়মিত বাহিনী সকলেই অংশগ্রহণ করে।
- এটি ছিল একটি ন্যায়যুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধ ছিল অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই।
- এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক বিজয়: মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক বিজয়।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গৌরবময় অধ্যায়। এই যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মূল্যবোধ অর্জন করেছি।
মুক্তিযুদ্ধ কেবল একটি ঘটনা নয়, এটি ছিল দীর্ঘদিন ধরে চলা বঞ্চনা, শোষণ, অবিচার এবং রাজনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক প্রতিবাদের ফসল।
মুক্তিযুদ্ধের পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
राजনৈতিক কারণ:
- অসম প্রতিনিধিত্ব: পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব ছিল অত্যন্ত কম।
- কেন্দ্রীভূত শাসন: পাকিস্তানের সরকার ছিল অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত, এবং পূর্ব পাকিস্তানের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল শক্তিশালী।
- ভাষা নীতি: পাকিস্তান উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, যা বাংলাভাষীদের জন্য অস্বীকার্য ছিল।
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তানের অর্থনীতি ছিল পশ্চিম পাকিস্তান কেন্দ্রিক, এবং পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ শোষণ করা হত। মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল
অর্থনৈতিক কারণ:
- অর্থনৈতিক বৈষম্য: পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি সম্পদশালী ছিল, কিন্তু তারা সেই সম্পদের সুফল ভোগ করতে পারত না।
- শোষণ: পাকিস্তানি শাসক শ্রেণি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে শোষণ করত এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করত।
- অনাহার: পূর্ব পাকিস্তানে প্রায়শই খাদ্য ঘাটতি দেখা দিত, যার ফলে অনাহার ও মৃত্যু ঘটত।
সাংস্কৃতিক কারণ:
- ভাষা: বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পাকিস্তানের শাসকদের দ্বারা অবজ্ঞা করা হত।
- ধর্ম: পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ ছিল মুসলিম, কিন্তু পাকিস্তানের শাসক শ্রেণি ছিল ইসলামের একটি রক্ষণশীল ব্যাখ্যা অনুসারী।
এই সকল কারণ মিলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মনে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের সৃষ্টি করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় এই অসন্তোষকে আরও তীব্র করে তোলে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি, যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর নির্মম হামলা চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য একটি দীর্ঘ ও রক্তাক্ত সংগ্রাম। এই যুদ্ধে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিহত হন ।
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বেশ কিছু কারণের সমন্বয়ে।
প্রধান কারণগুলো ছিল:
- রাজনৈতিক বৈষম্য: পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। ক্ষমতা ও সম্পদের বন্টনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বঞ্চিত হতেন।
- অর্থনৈতিক শোষণ: পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুণ্ঠন করে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে ব্যয় করত।
- সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর হামলা: পাকিস্তান উর্দু ভাষা ও সংস্কৃতিকে জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়। বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়ে।
- রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চনা: নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়াও আরও কিছু কারণ ছিল:
- ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে আত্মসচেতনতা ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে।
- ছয় দফা দাবি: শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবি পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জোরালো ভূমিকা পালন করে।
- গণহত্যা ও নির্যাতন: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়।
এই সকল কারণ মিলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি হয়।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম। ৯ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
Reviews
There are no reviews yet.