ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় গল্প । ভাব সম্প্রসারণ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়: এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প

এক ছোট্ট গ্রামে রহিম নামে এক ছেলে থাকতো। সে খুবই দরিদ্র ছিলো। তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়ে গেলে সে তার দাদা-দাদীর সাথে থাকতো। রহিম చాలా পড়াশোনা করতে চাইতো, কিন্তু তার দাদা-দাদীর পক্ষে তাকে স্কুলে পাঠানো সম্ভব ছিলো না।

পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

রহিম প্রতিদিন স্কুলের পাশ দিয়ে যেতো এবং স্কুলের বাচ্চাদের খেলাধুলা করতে দেখতো। সে তাদের মতো পড়াশোনা করে জ্ঞানী হতে চাইতো। রহিম জানতো যে, শিক্ষা ছাড়া তার জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

একদিন রহিম স্কুলের পাশে বসে দুঃখিত মনে বই পড়ছিলো। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রহিমকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি স্কুলে পড়তে চাও?” রহিম মাথা নিচু করে বললো, “হ্যাঁ স্যর, কিন্তু আমার দাদা-দাদীর পক্ষে আমাকে স্কুলে ভর্তি করানো সম্ভব নয়।”

প্রধান শিক্ষক রহিমের ইচ্ছাশক্তি দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি রহিমকে বললেন, “তুমি যদি মনযোগী হয়ে পড়াশোনা করো, তাহলে আমি তোমার স্কুলের ফি মওয়াফ করে দেবো।” রহিম খুশিতে আত্মহারা হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো।

রহিম মনযোগী হয়ে পড়াশোনা করতে লাগলো। সে খুব দ্রুতই তার সহপাঠীদের থেকে এগিয়ে গেলো। রহিম ক্লাসের সেরা ছাত্র হয়ে উঠলো। প্রধান শিক্ষক রহিমের প্রতিভা দেখে তাকে আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করলেন।

রহিম ঢাকায় এসে একটি বিখ্যাত কলেজে ভর্তি হলো। সে কলেজেও তার মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সকলের মন জয় করলো। রহিম উচ্চশিক্ষা শেষ করে একটি ভালো চাকরি পেলো। সে তার দাদা-দাদীকে ঢাকায় নিয়ে এসে তাদের জন্য একটি সুন্দর বাড়ি কিনে দিলো।

রহিমের গল্প আমাদের শেখায় যে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। যদি আমাদের মধ্যে জ্ঞান অর্জনের প্রবল ইচ্ছা থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো বাধা অতিক্রম করে সফল হতে পারি। রহিমের মতো আমাদেরও উচিত আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা।

এই গল্পের নীতিশিক্ষা:

• জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকা জরুরি।
• কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
• হতাশ না হয়ে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

**রহিমের গল্প আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়: এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প

এক ছোট্ট গ্রামে রহিম নামে এক ছেলে থাকত। সে খুবই দরিদ্র ছিল। তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়ে গেলে সে তার দাদার সাথে থাকত। রহিমের দাদা ছিলেন একজন দরিদ্র কৃষক।

রহিম చాలా পড়াশোনা করতে চাইত। কিন্তু তার কাছে স্কুলে যাওয়ার মতো পোশাক, বই, বা খাতা ছিল না। তার দাদাও তাকে স্কুলে পাঠাতে পারতেন না কারণ তাকে জমিতে কাজ করতে হত।

রহিম প্রতিদিন স্কুলের বাচ্চাদের খেলা দেখত। সে খুবই ইচ্ছে করত যে সেও একদিন স্কুলে যাবে।

একদিন রহিম স্কুলের শিক্ষকের সাথে দেখা করল। শিক্ষক রহিমের আগ্রহ দেখে তাকে স্কুলে বিনামূল্যে ভর্তি করে নিলেন। রহিম খুবই খুশি হল।

রহিম খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করত। সে তার ক্লাসের সেরা ছাত্র হয়ে ওঠে।

রহিমের দাদা খুবই গর্বিত ছিলেন তার নাতির উপর।

রহিম যখন বড় হল, সে একজন ডাক্তার হল। সে তার গ্রামের মানুষের চিকিৎসা করত।

রহিম তার জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছিল কারণ তার মধ্যে ছিল প্রবল ইচ্ছাশক্তি। সে সবসময় বিশ্বাস করত যে “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়”।

এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা পাই:

• যদি আমাদের মধ্যে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকে, আমরা জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারি।
• দারিদ্র্য বা অন্য কোনো বাধা আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না।
• আমাদের সর্বদা আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং কখনো হাল ছাড়তে হবে না।

গল্পের নীতিবোধ:

• কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব।
• শিক্ষা জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি।
• আমাদের সকলের উচিত আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করা এবং আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা।

এই গল্পটি আপনাকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছে?

আপনি কি কখনও এমন কোনো লক্ষ্য অর্জন করেছেন যার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে? আপনার গল্প অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।

এই গল্প থেকে আমরা আরও কিছু শিক্ষা পেতে পারি:

• শিক্ষার গুরুত্ব: রহিম বুঝতে পারল যে, শিক্ষা ছাড়া সে তার জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই সে শিক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করল।
• কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব: রহিম শুধু স্বপ্ন দেখেনি, সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে।
• আশাবাদের গুরুত্ব: রহিম যখন হতাশ বোধ করত, তখন সে আশা ছেড়ে দেয়নি। সে বিশ্বাস করেছিল যে, একদিন সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।

ভাব সম্প্রসারণ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়