Description
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাব সম্প্রসারণ । “কীর্তিমানের মৃত্যু নেই” – এই বাক্যটি একটি সুপরিচিত বাংলা প্রবাদ যা বহু অর্থ বহন করে। এই প্রবাদের মাধ্যমে আমরা কী বোঝাতে চাই, এবং এর প্রাসঙ্গিকতা কী, তা আলোচনা করা যাক:
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই: ভাব সম্প্রসারণ
১) কর্মের অমরত্ব:
- কীর্তিমান: যারা তাদের জীবদ্দশায় সাহসী, উদার, পরোপকারী, সৃজনশীল কাজ করে সমাজে অবদান রেখেছেন, তাদের কর্ম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।
- উদাহরণ:
- বৈজ্ঞানিক: আইনস্টাইন, নিউটন, মেরি কিউরি
- বীর মুক্তিযোদ্ধা: যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের কীর্তি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাদের সাহস ও ত্যাগ স্বাধীন বাংলার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
- সাহিত্যিক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, শেক্সপিয়ার
- শিল্পী, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী: যারা তাদের শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানবসভ্যতার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, তাদের কাজ সমাজে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
- সমাজে প্রভাব: তাদের কর্মের মাধ্যমে তারা সমাজের উন্নয়নে, পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। তাদের চিন্তাভাবনা, দর্শন, আবিষ্কার আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
২) অনুপ্রেরণার উৎস:
- কীর্তিমানদের জীবনী: তাদের জীবন, সংগ্রাম, সাফল্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
- নিজের জীবনে প্রয়োগ: তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে আমরাও আমাদের জীবনে অর্থ খুঁজে পেতে, ভালো কাজ করতে प्रेरित হতে পারি।
- সমাজের পরিবর্তন: সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক অন্যায় দূরীকরণ, মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা
৩) সৎ ও ন্যায়ের বিজয়:
- ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা: যারা সত্য, ন্যায়, অহিংসার পথে লড়াই করে বিজয়ী হন, তাদের কাহিনী অমর হয়ে থাকে।
- উদাহরণ:
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন মহান নেতা। তার সৎ ও ন্যায়বোধের জন্য তিনি আজও মানুষের কাছে শ্রদ্ধেয়।
- মহাত্মা গান্ধী: তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিখ্যাত নেতা, যিনি অহিংস প্রতিরোধের নীতিতে বিশ্বাস করতেন। তার নীতি আজও বিশ্বজুড়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
- নেल्सন ম্যান্ডেলা: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী বিপ্লবী
- অনুপ্রেরণা: তাদের দৃঢ়তা, ত্যাগ, সাহস আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে प्रेरित করে।
৪) মৃত্যুর অতীত জীবন: বিশ্বাস ও সমালোচনা
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই প্রবাদের চতুর্থ দিক হল মৃত্যুর পরবর্তী জীবন। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, শারীরিক মৃত্যুর পরেও আত্মা অমর থাকে এবং পুনর্জন্ম লাভ করে।
কীর্তিমানদের আত্মা:
- পুণ্যকর্মের ফলে: তাদের পুণ্যকর্মের ফলে তাদের আত্মা মুক্তি লাভ করে এবং শুভ গতিতে পুনর্জন্ম লাভ করে।
- স্বর্গ: স্বর্গে চিরস্থায়ী সুখ ভোগ করে।
ধর্মীয় বিশ্বাস:
- হিন্দুধর্ম: কর্ম ও পুনর্জন্ম
- বৌদ্ধধর্ম: কর্ম ও মোক্ষ
- ইসলাম: আখেরাত ও জান্নাত
সমালোচনা:
- বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব: পুনর্জন্ম অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ অপ্রতুল।
- ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: পূর্ববর্তী জীবনের স্মৃতি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল।
- ধর্মীয় বিশ্বাস: পুনর্জন্ম বিশ্বাস বেশিরভাগ ধর্মের সাথে জড়িত যা ব্যক্তি বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
উপসংহার:
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই প্রবাদের এই দিকটি ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও ধর্মীয় অনুশীলনের উপর নির্ভর করে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব থাকলেও, কীর্তিমানদের কর্ম মানুষের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।
মনে রাখবেন:
- এই বিষয়টি বিতর্কিত এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
- শ্রদ্ধাশীল আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া গুরুত্বপূর্ণ।
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
Reviews
There are no reviews yet.