Description
নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা । “নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা” এই পঙক্তিটি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “মেঘদূত” কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের।
নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা
এই পঙক্তিতে কবি ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। কবির মতে, স্বদেশী ভাষা ছাড়া কোন আশাই পূর্ণ হতে পারে না।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং কল্পনা প্রকাশের মাধ্যম।
স্বদেশী ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। এটি আমাদের মায়ের কোলে শেখা ভাষা। এই ভাষার মাধ্যমেই আমরা আমাদের আবেগ, অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা সবচেয়ে সাবলীলভাবে প্রকাশ করতে পারি।
আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন স্বদেশী ভাষা । এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে।
স্বদেশী ভাষা ছাড়া আমরা আমাদের জাতীয় পরিচয় হারিয়ে ফেলি।
অতএব, কবি মনে করেন “নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা”।
এই পঙক্তির তাৎপর্য হল:
- স্বদেশী ভাষা আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ।
- স্বদেশী ভাষা ছাড়া আমরা পূর্ণ মানুষ হতে পারি না।
- স্বদেশী ভাষা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির জন্য অপরিহার্য।
- সকলের উচিত তাদের স্বদেশী ভাষা শেখা ও চর্চা করা।
উল্লেখ্য, এই পঙক্তিটি বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরে। তবে, সকল ভাষাই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের জ্ঞান ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করে।
নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা
“নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা”
এই লাইনটি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “মেঘদূত” কাব্যের পঞ্চম সর্গ থেকে উদ্ধৃত।
এই লাইনের মাধ্যমে কবি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কেবল স্বদেশী ভাষা জানা যথেষ্ট নয়,
বরং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষা জানাও আশা করার মতো বিষয়।
কারণ:
- বিশ্ব জ্ঞান অর্জনের জন্য: বিভিন্ন দেশের ভাষা জানার মাধ্যমে
- আমরা সেই দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারি।
- আন্তর্জাতিক যোগাযোগ: বিশ্বায়নের এই যুগে বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন দেশের ভাষা জানলে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ করতে পারবো এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবো।
- ব্যবসা-বাণিজ্য: আজকের বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
- বিভিন্ন দেশের ভাষা জানলে আমরা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবো এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।
- সমৃদ্ধ জীবন: বিভিন্ন দেশের ভাষা জানলে আমাদের জীবন হয়ে ওঠে আরও সমৃদ্ধ ও বর্ণিল।
- আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারি এবং বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারি।
তাই, কেবল স্বদেশী ভাষাতেই সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষা শেখা উচিত।
মনে রাখতে হবে:
- ভাষা শেখা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। তাই ধৈর্য ধরে অনুশীলন করতে হবে।
- ভাষা শেখার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন: বই, অডিও, ভিডিও, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
- ভাষা শেখার জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেমন: বিদেশীদের সাথে কথা বলা, বিদেশী চলচ্চিত্র ও গান শোনা ইত্যাদি।
শেষ কথা:
“নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা” এই লাইনটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ভাষা শেখা কেবল
জ্ঞান অর্জনের উপায় নয়, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হওয়ার এবং সমৃদ্ধ জীবনযাপনেরও একটি মাধ্যম।
“নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা” এই লাইনটি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কবিতা
“মেঘদূত” থেকে উদ্ধৃত।
এই লাইনের মাধ্যমে কবি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন: স্বদেশী ভাষা ছাড়া কি আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন সম্ভব?
কবির মতে, স্বদেশী ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয়ের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং আবেগ প্রকাশের মাধ্যম। স্বদেশী ভাষা ছাড়া আমরা আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে পারি না এবং সমাজের সাথে সঠিকভাবে যুক্ত হতে পারি না।
কবি আরও বিশ্বাস করেন, বিভিন্ন ভাষা শেখা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু স্বদেশী ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন ভাষা আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে এবং বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু স্বদেশী ভাষা আমাদের মূল ধারণ করে রাখে এবং আমাদের নিজস্বতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সুতরাং, কবির মতে, স্বদেশী ভাষা আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি ছাড়া আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন সম্ভব নয়।
এই লাইনের তাৎপর্য আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা অনেক সময় বিদেশী ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হই এবং স্বদেশী ভাষাকে অবহেলা করি। কিন্তু মনে রাখা উচিত, স্বদেশী ভাষা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত করে রাখে। এটি আমাদের পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং, আমাদের সকলের উচিত স্বদেশী ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং এটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করা।
“নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা” এই পঙ্ক্তিটি বিখ্যাত বাঙালি কবি রামনিধি গুপ্ত রচিত “ইতিহাস মালিকা” কাব্যগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত। এই পঙ্ক্তির মাধ্যমে কবি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, স্বদেশী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষাই আমাদের পূর্ণ আশা পূরণ করতে পারে না।
এই উক্তির ব্যাখ্যা:
- নানান দেশের নানান ভাষা: বিশ্বে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষা রয়েছে।
- বিনা স্বদেশী ভাষা: কিন্তু আমাদের নিজস্ব ভাষা, যা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয়ের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত,
- তার চেয়ে অন্য কোন ভাষাই গুরুত্বপূর্ণ নয়।
- পুরে কি আশা: শুধুমাত্র অন্য ভাষা শিখে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারলেও, আমাদের আবেগ প্রকাশ, নিজের চিন্তাভাবনা স্পষ্টভাবে বলা এবং আমাদের সংস্কৃতি ধারণ করতে আমাদের স্বদেশী ভাষার প্রয়োজন।
স্বদেশী ভাষার গুরুত্ব:
- সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের載体: স্বদেশী ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য, লোককাহিনী এবং গানবাজনার মাধ্যমে ধারণ করে।
- চিন্তাভাবনার মাধ্যম: আমরা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে এবং সহজে আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি আমাদের স্বদেশী ভাষাতেই।
- জাতীয় ঐক্য: একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য একটি ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ব্যক্তিত্ব গঠন: স্বদেশী ভাষা আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে এবং আমাদের পরিচয় বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপসংহার:
রামনিধি গুপ্তের এই উক্তি আমাদের স্বদেশী ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল হওয়ার এবংそれを保護 ও উন্নয়নের জন্য কাজ করার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। শুধুমাত্র অন্য ভাষা শেখাই নয়, বরং আমাদের নিজস্ব ভাষা চর্চা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা হস্তান্তর করা আমাদের কর্তব্য।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.