Description
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারণ ।
একেবারে সত্যি!
মানুষের জীবনের মূল্য তার বয়সে নয়, বরং তার কর্মে। যে ব্যক্তি জীবনে অর্থপূর্ণ কিছু করে, সমাজের জন্য অবদান রাখে,
তাদের জীবন সার্থক বলে বিবেচিত হয়। পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারণ
বয়স কেবল একটি সংখ্যা, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়ে। কিন্তু কর্মের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতি চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।
কর্মের মাধ্যমে মানুষ:
- জ্ঞান অর্জন করে: জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে মানুষ নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করে। এই জ্ঞান তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
- অভিজ্ঞতা লাভ করে: কর্মের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় এবং সেগুলো মোকাবেলা করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে দিকনির্দেশনা দেয়।
- সমাজের জন্য অবদান রাখে: নিজেদের কর্মের মাধ্যমে মানুষ সমাজের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। তাদের অবদান সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
- নিজেদের উন্নত করে: কাজের মাধ্যমে মানুষ তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করে। এতে করে তারা নিজেদের আরও উন্নত করে তুলতে পারে।
বয়সের সাথে সাথে মানুষের শারীরিক শক্তি কমে যেতে পারে, কিন্তু তার মানসিক শক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের আলোকে তরুণ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
সুতরাং, বয়সের চেয়ে কর্মকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
কিছু উক্তি যা এই ধারণাকে সমর্থন করে:
- “কর্মই জীবনের প্রাণ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কর্মফল ভোগে যারা, কর্ম করে যারা।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- “শ্রমই জীবনের সৌন্দর্য।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আপনার কি এই বিষয়ে আরও কিছু জানার আছে?
মানুষ বয়সে নয়, কর্মে বাঁচে: একটি বিস্তারিত আলোচনা
ভূমিকা:
মানুষের জীবনের মূল্য কী? এই প্রশ্নটি বহুকাল ধরে দার্শনিক, লেখক এবং চিন্তাবিদদের দ্বারা বিবেচিত হয়ে আসছে।
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে জীবনের মূল্য হল সুখ, অন্যরা বিশ্বাস করেন যে এটি অর্থ বা খ্যাতি।
আবার অন্যরা বিশ্বাস করেন যে জীবনের মূল্য হল জ্ঞান অর্জন বা বিশ্বে একটি পার্থক্য তৈরি করা।
এই প্রশ্নের অনেক উত্তর থাকলেও, একটি বিষয় স্পষ্ট: মানুষ বয়সে নয়, কর্মে বাঁচে।
বয়স বনাম কর্ম:
বয়স কেবল একটি সংখ্যা। এটি সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় এবং শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কর্মের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতি চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। একজন মানুষ তাদের জীবদ্দশায় যা করে তাই তাদের সংজ্ঞায়িত করে, তাদের বয়স নয়।
কর্মের মাধ্যমে মানুষ কী অর্জন করে:
- জ্ঞান অর্জন: জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে মানুষ নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করে। এই জ্ঞান তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
- অভিজ্ঞতা লাভ: কর্মের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় এবং সেগুলো মোকাবেলা করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে দিকনির্দেশনা দেয়।
- সমাজের জন্য অবদান রাখে: নিজেদের কর্মের মাধ্যমে মানুষ সমাজের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। তাদের অবদান সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
- নিজেদের উন্নত করে: কাজের মাধ্যমে মানুষ তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করে। এতে করে তারা নিজেদের আরও উন্নত করে তুলতে পারে।
উদাহরণ:
- মাদার টেরেসা: তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সেবা করেছেন। তার কর্মের মাধ্যমে তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে আলো এনেছেন। বয়সে তিনি বৃদ্ধা হলেও, তার কর্ম তাকে অমর করে রেখেছে।
- আইনস্টাইন: তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। তার এই আবিষ্কার বিশ্বকে চিরতরে বদলে দিয়েছে। বয়সে তিনি মারা গেলেও, তার কর্ম তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
- নেলসন ম্যান্ডেলা: তিনি একজন বিপ্লবী এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বয়সে তিনি মারা গেলেও, তার কর্ম তাকে একজন আইকনে পরিণত করেছে।
উপসংহার: মানুষ বয়সে নয়, কর্মে বাঁচে
আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি যে, মানুষের জীবনের মূল্য তার বয়সে নয়, বরং তার কর্মে নিহিত।
বয়স কেবল একটি সংখ্যা, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়ে এবং শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কর্মের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতি চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।
যে ব্যক্তি জীবনে অর্থপূর্ণ কিছু করে, সমাজের জন্য অবদান রাখে, তাদের জীবন সার্থক বলে বিবেচিত হয়।
তারা তাদের কর্মের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে, অভিজ্ঞতা লাভ করে, সমাজের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে এবং নিজেদের উন্নত করে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই অসংখ্য মানুষ যারা তাদের কর্মের মাধ্যমে অমর হয়ে আছেন।
মাদার টেরেসা, আইনস্টাইন, নেলসন ম্যান্ডেলা – এঁরা সকলেই তাদের জীবদ্দশায় এমন কিছু করেছেন যা বিশ্বকে একটি উন্নত স্থানে পরিণত করেছে।
তাদের বয়স যতই হোক না কেন, তাদের কর্ম তাদের চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
সুতরাং, আসুন আমরা সকলেই এমনভাবে জীবনযাপন করি যাতে আমাদের কর্মের মাধ্যমে বিশ্বে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়।
বয়সের দিকে তাকিয়ে না থেকে, আমাদের উচিত আমাদের সময় ও শক্তি ব্যবহার করে এমন কিছু করার চেষ্টা করা যা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা ও সাহায্য হিসেবে কাজ করবে।**
এইভাবেই আমরা আমাদের জীবনকে সার্থক করে তুলতে পারব এবং মৃত্যুর পরেও পৃথিবীতে আমাদের চিহ্ন রেখে যেতে পারব।
মনে রাখবেন:
- কর্মই জীবনের প্রাণ।
- কর্মফল ভোগে যারা, কর্ম করে যারা।
- শ্রমই জীবনের সৌন্দর্য।
আপনার জীবনকে সার্থক করে তোলার জন্য শুভকামনা!
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.