ভাবসম্প্রসারণ । গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ

ঠিক আছে, ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে আরও বিস্তৃতভাবে জানা যাক।

ভাবের গভীরে ডুব দেওয়া: মূল ভাব বুঝা

ভাবসম্প্রসারণের প্রাথমিক ধাপ হলো দেওয়া লেখাটির মর্মার্থ উদ্ধার করা। এটা কোনো ছোট কথা, প্রবাদ, কিংবা কবিতার একটি চরণই হোক, সেখানে লেখক কি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। কেবল শব্দগুলো পড়ালেই হবে না, বরং লেখার আড়ালে লুকানো বার্তাটা বুঝতে হবে।

উদাহরণের খাতিরে, চলুন দেখি: “শিক্ষাই জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ”। এটি একটি সহজ বাক্য, কিন্তু এর ভাবটা অনেক গভীর। এখানে শুধু ডিগ্রি অর্জনের কথা বলা হচ্ছে না, বরং জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে। শিক্ষা আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তোলে, নতুন দক্ষতা দেয়, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়। এই ব্যাখ্যাটিই মূল বাক্যের ভাবকে আরও বিস্তৃত করে।

ভাবসম্প্রসারণ

কিভাবে বিস্তার করবেন? ভাবকে ఊ(´ vegano `)و (ఊनो = grow , expand) বাড়ানো

মূল ভাব ধরা পড়লে, পরের ধাপ হলো সেই ভাবকে আরো সমৃদ্ধ করে লেখা। এ কাজটি কয়েকভাবে করা যায়:

• উদাহরণ দেওয়া: ধরা যাক, “সময়ের মূল্য বুঝুন” এই প্রবাদটির ভাবসম্প্রসারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে, আমরা সময় নষ্ট না করে কাজে লাগানোর গুরুত্ব, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে উদাহরণ দিতে পারি। একজন শিক্ষার্থী যদি ঠিক সময়ে না পড়াশোনা করে, তাহলে পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবে না। এইভাবেই উদাহরণের সাহায্যে মূল ভাবকে আরও জোরদার করা যায়।

• কারণ-কার্য সম্পর্ক স্থাপন: আরেকটি পদ্ধতি হলো কারণ ও কার্যের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা। যেমন, ” keju onek gune onek daye” (কেউ অনেক গুণে অনেক দেয়) – এই বাংলা প্রবাদটির ভাবসম্প্রসারণ করতে গেলে, আমরা দাতার গুণাবধের কথা বলতে পারি। নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করলে, তা ফিরে আসে, এই জগতে মঙ্গলের চক্র চলতে থাকে। এভাবে কার্যের কারণ খুঁজে বের করে ভাবকে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।

• বিপরীত দৃষ্টিকোণ তুলে ধরা: কখনও কখনও বিপরীত দৃষ্টিকোণ তুলে ধরলেও ভাবসম্প্রসারণে গहराয় দেখা যায়। “শুধু জ্ঞান থাকলেই চলে না, কর্মক্ষমতাও লাগে” – এই বাক্যটি “শিক্ষাই জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ” প্রবাদের ভাবের বিপরীত দিকটি তুলে ধরে। শুধু ডিগ্রি থাকলে

গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ