Description
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর কবিতা ।
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর কবিতা
কবি: কাজী নজরুল ইসলাম
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
নারী সে বিধাতার শক্তি, পুরুষ সে কর্মের ক্ষেত্র,
একত্রে মিলে যদি করে, তবে হয় সম্পূর্ণ জগৎ।
নারী সে সৃষ্টির মূল, পুরুষ সে পালনকর্তা,
একত্রে মিলে যদি করে, তবে হয় সম্পূর্ণ ধর্ত্রী।
নারী সে স্নেহের মূর্তি, পুরুষ সে সাহসের খনি,
একত্রে মিলে যদি করে, তবে হয় সম্পূর্ণ মানবজাতি।
নারী সে মায়ার রানী, পুরুষ সে কল্পনার খেলা,
একত্রে মিলে যদি করে, তবে হয় সম্পূর্ণ জীবনধারা।
নারী সে প্রেমের দেবী, পুরুষ সে কর্তব্যের পুরুষ,
একত্রে মিলে যদি করে, তবে হয় সম্পূর্ণ জগৎ সুন্দর।
বিশ্লেষণ:
এই কবিতায় কবি নারী ও পুরুষের সমান গুরুত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, তার অর্ধেক করেছে নারী এবং অর্ধেক করেছে পুরুষ। নারী সৃষ্টির মূল, পুরুষ পালনকর্তা। নারী স্নেহের মূর্তি, পুরুষ সাহসের খনি। নারী প্রেমের দেবী, পুরুষ কর্তব্যের পুরুষ।
কবির মতে, নারী ও পুরুষ পরস্পর পরিপূরক। একজনের অভাবে অন্যজনের অস্তিত্ব অসম্পূর্ণ। নারী ও পুরুষ যদি মিলে কাজ করে, তবেই সমাজ ও জগৎ সুন্দর হতে পারে।
কবিতার তাৎপর্য:
এই কবিতা নারী ও পুরুষের সমানাধিকার ও সহযোগিতার বার্তা বহন করে। নারীকে সমাজে পুরুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর কবি জোর দিয়েছেন। নারী ও পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
কবিতাটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
এই কবিতাটি রচিত হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। সেই সময়ে ভারতীয় সমাজে নারীদের অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হত। এই কবিতার মাধ্যমে কবি নারীদের অধিকার ও সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন।
কবিতাটির সমালোচনা:
এই কবিতাটি নারী ও পুরুষের সমানাধিকার ও সহযোগিতার বার্তা বহন করার জন্য সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে।
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
কবি: কাজী নজরুল ইসলাম
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
মানবজাতির মূলধন, সভ্যতার আধার,
নারী নামেতে জ্যোতির্ময়ী, কল্যাণের অধিষ্ঠান।
সৃষ্টির শোভা বর্ধিত করে, নারীর সুন্দর রূপ,
সাধনার পথে পুরুষকে করে, সাহসী ও সুদৃঢ়।
মা, বোন, পত্নী, কন্যারূপে, নারী নানা ভূমিকা,
পরিবার ও সমাজে তার, অপরিমেয় মূল্য আছে।
শিক্ষা, দীক্ষা, কর্মক্ষেত্রে, নারীর অধিকার চায়,
সমান অধিকারে পুরুষের সাথে, এগিয়ে যেতে চায়।
পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, নারী সঙ্গী ও সহকারী,
পরস্পর সহযোগিতায়, গড়ে উঠে সুন্দর জগৎ।
জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্যে, নারীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ,
সমাজের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা, অপরিহার্য ও বহুমুখী।
আসুন আমরা সকলে মিলে, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই,
তাদের অধিকার ও সম্মান রক্ষায়, সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করি।
নারীর কল্যাণে, জগতের কল্যাণ,
নারীর সম্মানে, মানবতার সম্মান।
কবিতাটির বিশ্লেষণ:
এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম নারীর গুরুত্ব ও মহত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, তার অর্ধেকের জন্য নারী দায়ী। নারী মানবজাতির মূলধন, সভ্যতার আধার। মা, বোন, পত্নী ও কন্যারূপে নারী নানা ভূমিকা পালন করে পরিবার ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। শিক্ষা, দীক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং নারী তাদের সঙ্গী ও সহকারী। নারীর জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সাহিত্যে অবদান অপরিসীম। নারীর কল্যাণেই জগতের কল্যাণ নিহিত। নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাদের অধিকার ও সম্মান রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
কবিতাটির তাৎপর্য:
এই কবিতাটি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানায়। নারীকে পুরুষের চেয়ে কম মূল্যবান মনে করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে তাদের সমান অধিকার ও সম্মান প্রদানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে কবি। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
এই বিখ্যাত কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “নারী” কবিতা থেকে উদ্ধৃত।
কবিতার পূর্ণাঙ্গ রূপ:
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
সভ্যতার আলোক-বর্তিকা হেরেছে যেখানে,
নারীর মুখ উজ্জ্বল হয়েছে সেখানে,
সেখানেই উন্নত জাতি, সেখানেই সভ্যতা,
সেখানেই সৃষ্টির মহিমা, সেখানেই সত্যতা।
যেখানে নারী অপমানিতা, সেখানে অন্ধকার,
যেখানে নারী বন্দী, সেখানেই সংসার,
নারী ক্রীতদাসী, সেখানেই নরপশু,
নারী অধিকারহীনা, সেখানেই মৃত্যু।
নারী পুরুষের সমান অধিকারী, সমান মর্যাদার,
নারী পুরুষের পরস্পরক পরিপূরক, পরস্পর সহায়ক।
নারীর মুক্তি পুরুষের মুক্তি, নারীর উন্নতি পুরুষের উন্নতি।
নারী-পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে সুন্দর বিশ্ব।
কবিতার তাৎপর্য:
- এই কবিতায় কবি নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদার কথা বলেছেন।
- তিনি মনে করেন, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি তা নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।
- নারী পুরুষের পরস্পরক পরিপূরক এবং একে অপরের সহায়ক।
- নারীর মুক্তি ছাড়া পুরুষের মুক্তি অসম্ভব এবং নারীর উন্নতি ছাড়া পুরুষের উন্নতিও অসম্ভব।
- নারী-পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টায়ই গড়ে উঠবে সুন্দর বিশ্ব।
কবিতার প্রাসঙ্গিকতা:
আজও এই কবিতাটি সমাজে সমানাধিকার ও নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। নারী এখনও সমাজে পূর্ণাঙ্গ অধিকার পায়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। এই কবিতাটি আমাদের নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদার জন্য লড়াই করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
কবি পরিচয়:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার ও দার্শনিক। তিনি বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত। নারী, সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রকৃতি, প্রেম এবং দেশপ্রেম তার কবিতার প্রধান থিম।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.