শীতে নবজাতকের যত্ন করণীয় ও পরিচর্যা

শীতে নবজাতকের যত্ন করণীয় ও পরিচর্যা

পোশাক:

• স্তরে স্তরে পোশাক: নবজাতককে একাধিক পাতলা পোশাক পরান যাতে প্রয়োজনে কমাতে বা বাড়াতে পারেন। এতে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
• নরম, সুতির কাপড়: শিশুর ত্বক নরম ও সংবেদনশীল। তাই সুতির তৈরি নরম পোশাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অ্যালার্জি বা চুলকানির ঝুঁকি কম থাকে।
• মাথায় টুপি, হাতে মোজা ও পায়ে মোজা বা জুতা: শিশুর মাথা, হাত ও পা ঠান্ডা থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই অংশগুলো ঢেকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
• বাইরে বের হওয়ার সময়: শিশুকে একটি উষ্ণ কম্বল বা জ্যাকেট দিয়ে মুড়িয়ে নিন। কান ঢাকা টুপি এবং মুখ ঢাকা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

তাপমাত্রা:

• ঘরের তাপমাত্রা: ঘরের তাপমাত্রা ২২°C (৭২°F) এর কাছাকাছি রাখুন। শিশুকে ঠান্ডা বাতাস থেকে সরাসরি দূরে রাখুন।
• আর্দ্রতা: শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকে। তাই একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন। শুষ্ক বাতাস শিশুর ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
• একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন।

স্নান:

• নিয়মিত স্নান: নবজাতককে প্রতিদিন স্নান করানো প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার হালকা গরম পানিতে দ্রুত স্নান করানো যথেষ্ট।
• স্নানের পানি: স্নানের পানি হালকা গরম (৩৭°C / ৯৯°F) রাখুন। ঠান্ডা বা গরম পানি শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
• স্নানের পর: স্নানের পর শিশুকে দ্রুত শুকিয়ে নিন এবং উষ্ণ পোশাক পরান। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

খাবার:

• মায়ের দুধ: নবজাতকের জন্য মায়ের দুধ সবচেয়ে ভালো খাবার। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শীতের বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
• ফর্মুলা: যদি মায়ের দুধ দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ফর্মুলা দিন।
• ঘন ঘন খাওয়ানো: শিশুকে নিয়মিত ও ঘন ঘন খাওয়ান। এতে শিশুর শরীর উষ্ণ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।

সতর্কতা:

• শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• শিশুর জ্বর থাকলে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
• শিশুর ত্বক শুষ্ক হলে, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
• শিশুকে ধূমপানের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

• শিশুকে মায়ের কোলে বা স্তনে ঘুমাতে দিন। এটি শিশুকে উষ্ণ এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
• শিশুর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখুন।
• নিয়মিত শিশুর চিকিৎসকের সাথে দেখা করুন।

মনে রাখবেন, প্রতিটি শিশু আলাদা।

আপনার শিশুর জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা নির্ধারণ করতে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের  ইসলামিক নাম