Description
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাব সম্প্রসারণ । “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” – এই উক্তিটি বাংলার মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বড়ু চণ্ডীদাসের। এটি কেবল একটি সাহিত্যিক বাক্য নয়, বরং মানবজাতির মহান মর্যাদা ও সম্ভাবনার একটি স্পষ্ট ঘোষণা।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
মানুষের মর্যাদা:
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
- চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান: মানুষ একমাত্র প্রাণী যারা চিন্তাভাবনা করতে পারে, জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং জগত সম্পর্কে জানতে পারে।
- নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অনুসরণ করতে পারে, যা তাদেরকে ভালো ও মন্দ, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
- সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি: মানুষ সৃজনশীল এবং কল্পনাশীল প্রাণী। তারা শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, নকশা এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করতে পারে।
- ভালোবাসা ও সহানুভূতি: মানুষ ভালোবাসা ও সহানুভূতি অনুভব করতে পারে, যা তাদেরকে অন্যদের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত করে।
- পরিবর্তন ও উন্নয়ন: মানুষ তাদের চারপাশের বিশ্বকে পরিবর্তন করতে এবং উন্নত করতে পারে।
মানুষের সম্ভাবনা:
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে।
- সমাজ ও সংস্কৃতি: মানুষ উন্নত সমাজ ও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে।
- বৈশ্বিক সমস্যা সমাধান: মানুষ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সমস্যা সমাধান করতে পারে।
- আত্ম-উন্নয়ন: মানুষ তাদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং চরিত্র উন্নত করতে পারে।
উপসংহার:
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” – এই উক্তিটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানুষ মহান মর্যাদা ও সম্ভাবনার অধিকারী। আমাদের উচিত আমাদের শক্তি ও প্রতিভা ব্যবহার করে বিশ্বকে আরও ভালো জায়গা করে তুলতে।
কিছু অতিরিক্ত চিন্তা:
- এই উক্তিটি কি ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
- মানুষের কি কোন দায়িত্ব আছে যা তাদের মর্যাদা ও সম্ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
- আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি যে সব মানুষ তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে?
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই
এই ভাবটির ব্যাখ্যা করার জন্য আমরা বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করতে পারি:
১. মানুষের বুদ্ধি ও বিবেচনার শক্তি:
- মানুষের চিন্তা করার, যুক্তি করার এবং সমস্যা সমাধানের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
- আমরা জ্ঞান অর্জন করতে, নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে এবং নিজেদেরকে উন্নত করতে পারি।
- এই বুদ্ধি ও বিবেচনার শক্তির মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলেছি এবং সভ্যতা গড়ে তুলেছি।
২. মানুষের সৃজনশীলতা:
- মানুষ সৃষ্টিশীল প্রাণী।
- আমরা শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করি।
- আমাদের সৃজনশীলতা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলে।
৩. মানুষের ভালোবাসার ক্ষমতা:
- মানুষ ভালোবাসতে এবং ভালোবাসা পেতে সক্ষম।
- আমরা পারিবারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি যা আমাদের জীবনে আনন্দ ও সুখ নিয়ে আসে।
- ভালোবাসা আমাদেরকে অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহায়ক হতে অনুপ্রাণিত করে।
৪. মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ:
- মানুষের মধ্যে সত্য, ন্যায়বিচার, সহানুভূতি এবং করুণার মতো নৈতিক মূল্যবোধ বিদ্যমান।
- এই মূল্যবোধ আমাদেরকে সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
- আমরা এই মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
৫. মানুষের আধ্যাত্মিকতা:
- মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার অনুভূতি বিদ্যমান।
- আমরা জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করি এবং নিজেদের থেকে বড় কিছুর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চাই।
- আধ্যাত্মিকতা আমাদেরকে জীবনে অর্থ ও উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
“সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” এই ভাব আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানুষ অনেক عظیم গুণাবলীর অধিকারী। আমাদের বুদ্ধি, সৃজনশীলতা, ভালোবাসার ক্ষমতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আধ্যাত্মিকতা আমাদেরকে অনন্য করে তোলে। এই গুণাবলী ব্যবহার করে আমরা পৃথিবীকে আরও ভালো জায়গা করে তুলতে পারি।
তবে, এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। আমরা লোভী, স্বার্থপর, হিংস্র এবং ধ্বংসাত্মক হতে পারি। আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নিজেদেরকে উন্নত করার চেষ্টা করা উচিত।
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” ভাব সম্প্রসারণ:
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
এই ভাবটি বাংলার মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বড়ু চণ্ডীদাস রচিত “লীলাবতী” গীতিকবিতা থেকে উদ্ধৃত। তৎকালীন সমাজে বর্ণবৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার প্রভাব বিরাজমান ছিল। এই ভাবনা সমাজের এই অন্ধকার দিকের বিরুদ্ধে এক প্রকার প্রতিবাদ হিসেবে কাজ করেছিল।
ভাবার্থ:
এই ভাবের মূল বার্তা হলো, মানুষ সকল সৃষ্টির মধ্যে সর্বোচ্চ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সম্পদ – এসবের ভেদাভেদ মানুষের মর্যাদাকে কমাতে পারে না।
ব্যাখ্যা:
- মানুষের মহত্ত্ব: মানুষের বুদ্ধি, বিবেচনাশক্তি, সৃজনশীলতা ও ভালোবাসার ক্ষমতা তাকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে। এই গুণাবলী মানুষকে জ্ঞান অর্জন, নতুন জিনিস আবিষ্কার এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলার ক্ষমতা প্রদান করে।
- সমতার মূল্যবোধ: এই ভাবনা সকল মানুষের সমানাধিকার ও মর্যাদার উপর জোর দেয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সম্পদ – এসবের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা অন্যায়।
- মানবতাবাদের প্রচার: এই ভাব মানবতাবাদের মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে। মানুষের প্রতি সহানুভূতি, ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রদর্শন করা উচিত।
আধুনিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিকতা:
আজকের বিশ্বেও এই ভাবনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্য, সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সকলেরই মানুষের মর্যাদা ও সমতার মূল্যবোধে বিশ্বাস করতে হবে।
উপসংহার:
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” এই ভাবনা শুধুমাত্র একটি সাহিত্যিক উক্তি নয়, বরং এটি একটি জীবন দর্শন। এই দর্শন অনুসরণ করে আমরা সকলেই একটি আরও ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.