Description
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই । “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” – এই উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের এক অমর বাণী। মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বড়ু চণ্ডীদাস রচিত এই পঙক্তিটি মানবতার মহান বার্তা বহন করে।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই
কবির দৃষ্টিতে মানুষের মহত্ত্ব:
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
- সর্বোচ্চ সৃষ্টি: চণ্ডীদাস বিশ্বাস করতেন, মানুষ ঈশ্বরের সর্বোচ্চ সৃষ্টি। জ্ঞান, বুদ্ধি, ভালোবাসা, সৃজনশীলতা – এই সকল গুণাবলী মানুষকে অনন্য করে তোলে।
- নৈতিকতার ধারক: মানুষই একমাত্র প্রাণী যার মধ্যে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দের বিচারবুদ্ধি বিদ্যমান। নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ জীবনকে করে তোলে সুন্দর ও अर्थपूर्ण।
- প্রেম ও সহানুভূতির কেন্দ্র: মানুষের হৃদয়ে স্নেহ, ভালোবাসা, সহানুভূতির অমূল্য ভাণ্ডার। এই গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষ গড়ে তোলে সুন্দর মানব সমাজ।
- অসীম সম্ভাবনার অধিকারী: চণ্ডীদাস বিশ্বাস করতেন, মানুষের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা বিদ্যমান। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, আবিষ্কার – সকল ক্ষেত্রেই মানুষ অর্জন করতে পারে অভাবনীয় সাফল্য।
- সৃজনশীলতার অধার: মানুষের সৃজনশীল প্রতিভা বিশ্বকে করেছে সমৃদ্ধ। সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত – এই সকল ক্ষেত্রে মানুষের অমূল্য অবদান।
উদাহরণ:
- মহাত্মা গান্ধী: অহিংস প্রতিরোধের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্তি দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী।
- মাদার টেরেসা: নিঃস্ব, অসহায় মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন মাদার টেরেসা।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, শিক্ষা – সকল ক্ষেত্রেই অসামান্য অবদান রেখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়: বাংলা ভাষার অধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
- সত্যেন্দ্রনাথ বসু: বাংলা বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
আমাদের কর্তব্য:
চণ্ডীদাসের এই বাণী আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানুষ হিসেবে আমাদের মর্যাদা অপরিসীম। আমাদের নৈতিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে, জ্ঞান-বুদ্ধি ও ভালোবাসার মাধ্যমে পৃথিবীকে করে তুলতে হবে আরও সুন্দর বাসযোগ্য।
উল্লেখ্য:
- “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” – এই উক্তিটি চণ্ডীদাসের বিখ্যাত “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” পদাবলীর একটি অংশ।
- এই পঙক্তিটি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
- আজও এটি আমাদের জীবনবোধ ও মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে চলেছে।
সবার উপরে মানুষ সত্য
এই অমর উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বড়ু চণ্ডীদাসের। তাঁর বিখ্যাত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত এই বাণীটি শুধু সাহিত্যিক মূল্যই ধারণ করে না, বরং মানবজীবনের এক মহান সত্যকেও তুলে ধরে।
চণ্ডীদাসের এই উক্তিটির ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে।
এক দিক থেকে বলা যায়, মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেচনাশক্তি, ভালোবাসা, সৃজনশীলতা – এই সকল গুণাবলীর অধিকারী হওয়ায় মানুষ অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উঁচু স্তরে অবস্থান করে। প্রকৃতির নিয়মকে বুঝতে, নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে সক্ষম একমাত্র প্রাণী হলো মানুষ।
অন্যদিকে, এই উক্তিটি মানুষের মহান সম্ভাবনার কথাও বলে। সত্য, ন্যায়, নীতি, কর্তব্য – এই সকল মূল্যবোধকে ধারণ করে, মানুষ পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে।
তবে, চণ্ডীদাস শুধু মানুষের প্রশংসাই করেননি। বরং, মানুষের দুর্বলতা ও অসৎতার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন।
তার মতে, সত্যিকার অর্থে ‘মানুষ’ হতে হলে, কেবল জ্ঞান-বুদ্ধি ও ক্ষমতার অধিকারী হওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং,
- সত্যবাদী হতে হবে,
- ন্যায়পরায়ণ হতে হবে,
- পরোপকারী হতে হবে,
- দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
সুতরাং, চণ্ডীদাসের “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” এই উক্তিটি শুধু একটি সাহিত্যিক বাক্য নয়, বরং মানুষের জীবনযাপন ও মূল্যবোধ সম্পর্কে একটি গভীর দর্শন।
আজকের দিনে, যখন বিশ্ব নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন চণ্ডীদাসের এই বাণী আমাদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
- সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা,
- পরস্পরের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া,
- এবং পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা –
এই সকল বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া আজকের সময়ের দাবি।
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” – এই উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের এক অমর বাণী।
মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বড়ু চণ্ডীদাস রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পদাবলীর একটি গানে এই উক্তিটি পাওয়া যায়।
এই উক্তির মাধ্যমে কবি মানুষের মহত্ব ও গরিমা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সবচেয়ে সত্য ও মহৎ।
তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কিছুই নেই।
কবির এই উক্তি শুধুমাত্র মানুষের শারীরিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার কথা বলে না। বরং, তার মধ্যে নিহিত নৈতিকতা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, সৃজনশীলতা এবং আধ্যাত্মিকতার কথাও বলে।
মানুষ এই সকল গুণাবলীর মাধ্যমে নিজেকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে। সে পৃথিবীতে শুধু বেঁচে থাকে না, বরং জীবনকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তোলে।
কবির এই বাণী আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমাদের সকলেরই উচিত নিজেদের মধ্যে থাকা সত্য ও মহত্ত্বকে বিকশিত করে তোলা।
মানুষের মহত্ব ও গরিমা সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করতে পারেন:
- মানুষের নৈতিক বোধ: মানুষের মধ্যে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ সম্পর্কে বিচার করার ক্ষমতা আছে। এই নৈতিক বোধই তাকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করে তোলে।
- মানুষের ভালোবাসা ও সহানুভূতি: মানুষ অন্যদের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পারে। এই গুণাবলী তাকে সামাজিক प्राणी হিসেবে গড়ে তোলে।
- মানুষের সৃজনশীলতা: মানুষ নতুন কিছু তৈরি করতে পারে। সে শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে।
- মানুষের আধ্যাত্মিকতা: মানুষ ঈশ্বর বা পরমাত্মার প্রতি বিশ্বাস করতে পারে। এই আধ্যাত্মিকতা তাকে জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তা করতে সাহায্য করে।
মানুষের মধ্যে থাকা এই সকল গুণাবলীই তাকে সত্য ও মহৎ করে তোলে। আমাদের সকলেরই উচিত এই গুণাবলীগুলিকে
বিকশিত করে তোলা এবং পৃথিবীকে আরও ভালো জায়গা করে তোলার জন্য কাজ করা।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.