Description
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় । এই লাইনটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত কবিতা “হে মহাজীবন” থেকে উদ্ধৃত। এই কবিতায় কবি এক ভাব-বিপ্লব ঘোষণা করছেন, যেখানে তিনি মনে করছেন যে কবিতার স্নিগ্ধতা আর প্রয়োজন নেই, কারণ পৃথিবী এখন ক্ষুধার্ত মানুষের দুঃখ-কষ্টে ভরা।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
এই লাইনের মাধ্যমে কবি কতগুলো তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন:
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
- ক্ষুধার্ত মানুষের বেদনা: কবি এখানে ক্ষুধার্ত মানুষের অসহ্য যন্ত্রণার কথা বলেছেন। তাদের পেটে খাবার নেই, তাই তাদের জীবন হয়ে উঠেছে গদ্যময়, অর্থাৎ রুক্ষ, শুষ্ক এবং meaningless।
- সৌন্দর্যের অভাব: ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য পৃথিবীতে কোন সৌন্দর্য নেই। তাদের চোখে পৃথিবী শুধুই ক্ষুধার্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর কষ্টে ভরা।
- মানবজাতির প্রতি ক্ষোভ: কবি সম্ভবত সমাজের ধনী শ্রেণীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, যারা নিজেরা সমৃদ্ধিতে ভোগ করছে, কিন্তু দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্টের দিকে তাকাচ্ছে না।
- বাস্তবতার প্রতি মুখোমুখি: কবি এখানে বাস্তবতার কঠোর দিকটি তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন যে সাহিত্যে কেবল সৌন্দর্য আর কল্পনার জগৎ তুলে ধরা যথেষ্ট নয়, বরং বাস্তব জীবনের কঠোরতা ও তিক্ততারও চিত্র তুলে ধরা উচিত।
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়” এই লাইটি বাংলা সাহিত্যে একটি বিখ্যাত উক্তি হিসেবে স্থান পেয়েছে। এটি কেবল ক্ষুধার্ত মানুষের বেদনাই তুলে ধরে না, বরং সমাজের বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধেও একটি প্রতিবাদ।
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়” – কবিতা বিশ্লেষণ
লেখক: সুকান্ত ভট্টাচার্য
কবিতাটির মূল ভাব:
এই কবিতাটিতে কবি ক্ষুধা দ্বারা পীড়িত মানুষের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা চিত্রিত করেছেন। ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য পৃথিবী যেন এক গদ্যময় স্থানে পরিণত হয়েছে, যেখানে কোন সৌন্দর্য বা রোমান্স নেই।
কবিতাটির বিশ্লেষণ:
- প্রথম চরণ: “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়” – এই বাক্যটিতেই কবিতার মূল ভাব ফুটে উঠেছে। ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য পৃথিবী আর মনোরম বা আকর্ষণীয় স্থান নয়, বরং এক বিষণ্ণ ও একঘেয়ে জায়গা।
- দ্বিতীয় চরণ: “পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি” – এই উপমাটি ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে পূর্ণিমা চাঁদের রূপ বর্ণনা করে। তার কাছে চাঁদ আর রোমান্টিক বা মনোরম নয়, বরং ঝলসানো রুটির মত তীব্র ও কষ্টদায়ক।
- তৃতীয় চরণ: “নদীর জল যেন বিষাক্ত ঘাম” – এই উপমাটিতে কবি দেখিয়েছেন ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে নদীর জলও বিষাক্ত মনে হচ্ছে। তার তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না জল, বরং আরও কষ্ট বাড়াচ্ছে।
- চতুর্থ চরণ: “ফুলের সৌন্দর্য যেন ম্লান কঙ্কাল” – এই উপমাটিতে ক্ষুধার্ত মানুষের দৃষ্টিতে ফুলের সৌন্দর্যও বিকৃত হয়ে গেছে। তার কাছে ফুল আর রঙিন ও মনোমুগ্ধকর নয়, বরং শুষ্ক ও মৃতদেহের মত ভয়ানক।
- সর্বশেষ চরণ: “ক্ষুধার্ত মানুষের চোখে সবই বিকৃত” – এই বাক্যটিতে কবি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ক্ষুধা মানুষের চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে কতটা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
উপসংহার:
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়” কবিতাটি ক্ষুধার্ত মানুষের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার একটি শক্তিশালী চিত্রায়ণ। কবি খুব সুন্দর ও তীব্র ভাষা ব্যবহার করে ক্ষুধার্ত মানুষের মানসিক যন্ত্রণা ফুটিয়ে তুলেছেন।
কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
- এই কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের “হে মহাজীবন” কাবিতা সংগ্রহে প্রকাশিত হয়েছিল।
- এই কবিতাটি বাংলা কবিতার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
এই উক্তিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের “হে মহাজীবন” কবিতা থেকে উদ্ধৃত।
এই লাইনটিতে কবি ক্ষুধার্ত মানুষের বেদনাময় জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন।
বিশ্লেষণ:
- ক্ষুধার রাজ্য: এখানে “ক্ষুধার রাজ্য” বলতে বোঝানো হচ্ছে এমন একটি পৃথিবী যেখানে ক্ষুধাই একমাত্র শাসক।
- পৃথিবী গদ্যময়: সাধারণত কবিতা লেখার জন্য মধুর এবং সুন্দর ভাষা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষের জীবনে কোন সৌন্দর্য নেই, তাই এটিকে “গদ্যময়” বলা হচ্ছে।
- পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি: পূর্ণিমা চাঁদের আলোকে কবি ঝলসানো রুটির সাথে তুলনা করেছেন। এর কারণ হলো, ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে চাঁদও রুটির মতো দেখায়। তাদের ক্ষুধা এতটাই তীব্র যে তারা চাঁদকেও খাবার হিসেবে কল্পনা করে।
উপসংহার:
এই লাইনটির মাধ্যমে কবি ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায় অবস্থা এবং তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। এটি একটি শক্তিশালী বর্ণনা যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
- এই কবিতাটি 1930-এর দশকে লেখা হয়েছিল, যখন ভারতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।
- এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে একটি।
- এই কবিতাটি অনেক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় – এই পংক্তিটি বিখ্যাত বাঙালি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “হে মহাজীবন” কবিতা থেকে উদ্ধৃত।
এই লাইনটি ক্ষুধার্ত মানুষের বাস্তবতার তীব্র চিত্র তুলে ধরে। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য, কবিতা,
সাহিত্য – সবকিছুই অর্থহীন মনে হয়। তাদের কাছে কেবল একটিমাত্র বাস্তবতা হলো খাদ্যের অভাব।
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি – এই উপমাটি ক্ষুধার্ত মানুষের বেদনার তীব্রতা আরও তীব্র করে তোলে।
পূর্ণিমা চাঁদের রূপ-লাবণ্য তাদের কাছে অর্থহীন, বরং তারা ঝলসানো রুটির মতো আগুন দেখতে পায়।
সামগ্রিকভাবে, এই লাইনটি ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায় অবস্থা এবং তাদের চারপাশের বিশ্বের প্রতি তাদের বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী চিত্র তৈরি করে।
কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
- এই লাইনটি প্রায়শই বাংলা সাহিত্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের চিত্র তুলে ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলির মধ্যে একটি।
- এই লাইনটি অনুবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি
এই লাইনটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “হে মহাজীবন” কবিতা থেকে উদ্ধৃত। এই লাইনটিতে কবি ক্ষুধার্ত মানুষের বাস্তবতাকে তীব্রভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে:
- পৃথিবী আর সুন্দর নয়: ক্ষুধার জ্বালায় তাদের চোখের সামনে পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।
- কবিতা-সাহিত্যের কোন আবেদন নেই: তাদের কাছে কবিতার ছন্দ, লালিত্য, অলংকার সবই অর্থহীন মনে হয়।
- পূর্ণিমা চাঁদও ঝলসানো রুটির মতো: আকাশে উজ্জ্বল পূর্ণিমা চাঁদ তাদের কাছে ঝলসানো রুটির মতো দেখায়।
- কারণ তাদের কাছে এখন একমাত্র চিন্তা হলো পেট ভরার খাবার।
এই লাইনটির তাৎপর্য:
- ক্ষুধার ভয়াবহতা: ক্ষুধা কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা এই লাইনটি স্পষ্ট করে তুলেছে।
- মানবিকতার প্রতি সহানুভূতি: ক্ষুধার্ত মানুষের প্রতি কবির গভীর সহানুভূতি এই লাইনে ফুটে উঠেছে।
- বাস্তবতার চিত্রায়ণ: কবি ক্ষুধার্ত মানুষের বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন।
উপসংহার:
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়” লাইটি কেবল একটি সাহিত্যিক বাক্য নয়, বরং এটি একটি সামাজিক বাস্তবতারও তীব্র প্রতীক।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.