বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না উক্তিটি কার

এই উক্তিটি বইয়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। তার মতে, বই কেনা অর্থ নষ্ট নয়, বরং জ্ঞান অর্জনের এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম। বই আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে, নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করে।

পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

সৈয়দ মুজতবা আলী বিশ্বাস করতেন যে, বইয়ের চেয়ে মূল্যবান জিনিস আর কিছু নেই। তিনি বই কেনার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতেন, এমনকি যদি তাদের অর্থের অভাব থাকে। তার মতে, জ্ঞান অর্জনের জন্য অর্থের চেয়ে জ্ঞান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এই উক্তিটি আজও বহুল প্রচলিত এবং বইপ্রেমীদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়।

“বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” উক্তিটি সৈয়দ মুজতবা আলী-র। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি লেখক, সমালোচক, অনুবাদক, এবং গবেষক।

এই উক্তিটি বইয়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। বই তাকে অগণিত সম্পদ দিয়েছিল, তাই তিনি বিশ্বাস করতেন যে বই কেনার জন্য অর্থ ব্যয় করা কখনই অপচয় নয়। বরং, এটি জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ করা।

সৈয়দ মুজতবা আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলা সাহিত্যেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

তার বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে:

• “বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস”
• “শরৎচন্দ্র”
• “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
• “হুমায়ুন আহমেদ”

সৈয়দ মুজতবা আলী 2004 সালে মারা যান।

তার এই উক্তিটি আজও বহুল প্রচলিত এবং বইপ্রেমীদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

“বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” – উক্তির বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

সৈয়দ মুজতবা আলী-র বিখ্যাত এই উক্তিটি কেবল একটি সাহিত্যিক বাক্য নয়, বরং জ্ঞান ও বইয়ের প্রতি তার গভীর বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি বইয়ের অপরিসীম মূল্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

জ্ঞানের ভাণ্ডার:

বই জ্ঞানের এক অমূল্য ভাণ্ডার। ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন – প্রতিটি ক্ষেত্রেই বই আমাদের অজানা জগত উন্মোচন করে। এক জীবনে সবকিছু জানা অসম্ভব, কিন্তু বইয়ের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাবধারা ও জ্ঞানের সাথে পরিচিত হতে পারি।

মানসিক সমৃদ্ধি:

বই আমাদের মানসিকভাবে সমৃদ্ধ করে। নতুন গল্প, কবিতা, উপন্যাস আমাদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে, মনকে প্রসন্ন করে এবং জীবনে অনুপ্রেরণা জোগায়। বই আমাদের বিভিন্ন চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিক্ষা নিই এবং নিজেদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।

বিনোদন ও విశ్రాంতি:

বই আমাদের বিনোদন ও విశ্রాంতির মাধ্যমও হতে পারে। একটুক্ষণের জন্য ব্যস্ত জীবনের হাত থেকে ছুটি নিয়ে আমরা যখন বইয়ের পাতায় মগ্ন হই, তখন মন ভুলে যায় সব চিন্তা-ভাবনা। রোমাঞ্চকর গল্প, হাস্যরসাত্মক উপন্যাস, অথবা রহস্যময় কাহিনী আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে এবং थकान দূর করে।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:

বই আমাদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন সমাজের মানুষের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হই। বই আমাদের মধ্যে সহানুভূতি ও মানবিকতা বোধ জাগ্রত করে।

উদাহরণ:

• ইতিহাসের বই আমাদের অতীত সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে, যা আমাদের বর্তমানকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
• বিজ্ঞানের বই আমাদের মহাবিশ্ব ও প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়, যা আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে তোলে।
• সাহিত্যের বই আমাদের মানবজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে, আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করে এবং জীবনে অনুপ্রেরণা জোগায়।
• দর্শনের বই আমাদের জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করে।

উপসংহার:

“বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” – এই উক্তি কেবল একটি সত্যবাক্যই নয়, বরং জ্ঞান ও বইয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রকাশ।

বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না: একটি বিস্তারিত আলোচনা

সৈয়দ মুজতবা আলী-র বিখ্যাত উক্তি “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” শুধুমাত্র একটি সুন্দর বাক্য নয়,

বরং জ্ঞান ও বইয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি বইয়ের অপরিসীম মূল্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

কেন বই কেনা অর্থের অপচয় নয়?

• জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দিকে বিনিয়োগ: বই আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে, নতুন ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
• জ্ঞানই আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তোলে।
• বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তি: বই আমাদের বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির উৎস।
• একটি ভালো বই আমাদের দীর্ঘক্ষণ আনন্দিত রাখতে পারে, streস কমাতে পারে এবং মনকে প্রশান্ত করতে পারে।
• কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: বই আমাদের কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করে।
• বিভিন্ন গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করে এবং নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
• মানসিক বিকাশ ও চরিত্র গঠন: বই আমাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• নীতিবোধ, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভে বই আমাদের সাহায্য করে।
• সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধ বৃদ্ধি: বই আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সহায়তা করে।
• বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রীতিনীতি সম্পর্কে জানা আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।

উদাহরণ:

• একজন বিজ্ঞানী যদি নতুন কোন আবিষ্কার করতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই বিভিন্ন বিজ্ঞানের বই পড়তে হবে। এই বইগুলো কেনার জন্য তার অর্থ ব্যয় করলেও, সেই জ্ঞান তাকে নতুন আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে, যা তার জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।
• একজন শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই বিভিন্ন পাঠ্যবই ও

উপসংহার:

“বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” এই উক্তিটি কেবল একটি সাহিত্যিক বাক্য নয়, বরং জ্ঞান ও বইয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক। বই আমাদের জীবনকে অনেক দিক থেকে সমৃদ্ধ করে তোলে। তাই, আমাদের সকলেরই উচিত নিয়মিত বই কেনা ও পড়া।

পড়ুনঃ  ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ  ম দিয়ে ছেলেদের নাম / ম দিয়ে ছেলেদের  ইসলামিক নাম