Description
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই কবিতা ।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই কবিতা
কবি: বড়ু চণ্ডীদাস
পদ:
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
রাম কৃষ্ণের চেয়ে বড় মানুষ, জগতে নাই।
ঈশ্বরের চেয়ে বড় মানুষ, জগতে নাই।
মানুষের চেয়ে বড় গোরুর শিং, জগতে নাই।
গোরুর শিংয়ের চেয়ে বড় কাঠের খোঁটা, জগতে নাই।
কাঠের খোঁটার চেয়ে বড় পাথরের গোলা, জগতে নাই।
পাথরের গোলার চেয়ে বড় পাহাড়ের চূড়া, জগতে নাই।
পাহাড়ের চূড়ার চেয়ে বড় মেঘের ঘটা, জগতে নাই।
মেঘের ঘটার চেয়ে বড় আকাশের কিনারা, জগতে নাই।
আকাশের কিনারার চেয়ে বড় কেবল মন, জগতে নাই।
মনের চেয়ে বড় আর কিছু নাই, জগতে নাই।
মনের ভাবই সত্য, মনের ভাবই মিথ্যা।
অর্থ:
এই পদে বড়ু চণ্ডীদাস বলেছেন, সকল সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সর্বোচ্চ। রাম, কৃষ্ণ, ঈশ্বর এমনকি গরুর শিংও মানুষের চেয়ে বড় নয়। মানুষের মনই সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী। মনের ভাবই সত্য এবং মনের ভাবই মিথ্যা।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
এই পদটি মানুষের মহত্ব ও মনের শক্তির উপর জোর দেয়।
বিশ্লেষণ:
- এই পদটিতে বড়ু চণ্ডীদাস তুলনামূলক ভাষা ব্যবহার করে মানুষের মহত্ব তুলে ধরেছেন।
- তিনি বিভিন্ন জিনিসের সাথে মানুষের তুলনা করে দেখিয়েছেন যে, মানুষ তাদের সকলকে ছাড়িয়ে যায়।
- শেষ পর্যন্ত তিনি বলেছেন যে, মনের চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং মনের ভাবই সবকিছু নির্ধারণ করে।
- এই পদটির মাধ্যমে বড়ু চণ্ডীদাস মানুষকে তাদের নিজস্ব মূল্য সম্পর্কে সচেতন হতে বলেছেন।
উপসংহার:
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” পদটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমর রচনা। এই পদটির মাধ্যমে বড়ু চণ্ডীদাস মানুষের মহত্ব ও মনের শক্তির উপর জোর দিয়েছেন।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই
কবি: বড়ু চণ্ডীদাস
পদ:
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
জ্ঞানে শূন্য জগৎ মোরা, কিছুই জানি না ঈ।
ইন্দ্রিয়ের দ্বারা দেখি, শুনি, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ।
মনে হয় সত্য সব, মিথ্যা কিছুই নয়।
কিন্তু ভাবনা যখন আসে, মন হয় অস্থির।
কে আমি, কোথায় এসেছি, কি হবে আমার ভবিষ্যৎ?
তখন বুঝতে পারি, জ্ঞান আমার অল্প।
সত্য জানতে হলে, ঈশ্বরের কাছে যেতে হবে।
ঈশ্বরই সকলের সত্য, তাঁর চেয়ে বড়ো কেউ নেই।
তাঁর জ্ঞান অসীম, তাঁর কাছেই সব সত্যের সমাধান।
তাই আমাদের উচিত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা।
তাঁর জ্ঞান চেয়ে তাঁর কাছে সত্যের পথ দেখানোর জন্য।
অর্থ:
এই পদে কবি বড়ু চণ্ডীদাস বলেছেন যে, মানুষ সকলের চেয়ে সত্য। কারণ মানুষের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা আছে, প্রশ্ন করার ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতার মাধ্যমেই মানুষ সত্যের সন্ধান করতে পারে। কিন্তু মানুষের জ্ঞান অসীম নয়। অনেক কিছুই মানুষ জানে না। তাই সত্য জানতে হলে ঈশ্বরের কাছে যেতে হবে। ঈশ্বরই সকলের সত্য, তাঁর চেয়ে বড়ো কেউ নেই। তাঁর জ্ঞান অসীম, তাঁর কাছেই সব সত্যের সমাধান। তাই আমাদের উচিত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা। তাঁর জ্ঞান চেয়ে তাঁর কাছে সত্যের পথ দেখানোর জন্য।
গুরুত্ব:
এই পদটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা সকলেই ঈশ্বরের সৃষ্টি। ঈশ্বরই আমাদের সকলের সত্য। তাঁর জ্ঞান অসীম, তাঁর কাছেই সব সত্যের সমাধান। তাই আমাদের উচিত ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করা। তাঁর জ্ঞান চেয়ে তাঁর কাছে সত্যের পথ দেখানোর জন্য।
বিশ্লেষণ:
এই পদটি দার্শনিক চিন্তাভাবনায় ভরা। কবি এখানে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এবং ঈশ্বরের জ্ঞানের অসীমতার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, সত্য জানতে হলে ঈশ্বরের কাছে যেতে হবে। ঈশ্বরই সকলের সত্য, তাঁর চেয়ে বড়ো কেউ নেই।
সমালোচনা:
কিছু সমালোচক বলেছেন যে, এই পদটিতে ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলেছেন যে, সত্য জানার জন্য ঈশ্বরের কাছে যেতে হবে এমন ধারণাটি সকলের কাছে
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
কবি: বড়ু চণ্ডীদাস
পদ:
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
রাম কৃষ্ণ শিব ব্রহ্মা বিষ্ণু সকলের ঐ।
জ্ঞান ইন্দ্রিয় বুদ্ধি মতি সকলের ঐ।
ছয় রস সাত সুর সকলের ঐ।
সুখ দুঃখ ভয় লজ্জা সকলের ঐ।
জন্ম মৃত্যু জরা রোগ সকলের ঐ।
পাপ পুণ্য ধর্ম অধর্ম সকলের ঐ।
স্বর্গ নরক মোক্ষ সকলের ঐ।
ঈশ্বরের অধীন সকলেই, তবে মানুষ উত্তম।
মানুষের মত ঈশ্বর নাই, তবে ঈশ্বরের মত মানুষ নাই।
অর্থ:
এই পদে বড়ু চণ্ডীদাস বলেছেন, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সবচেয়ে সত্য। রাম, কৃষ্ণ, শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু সকলেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। জ্ঞান, ইন্দ্রিয়, বুদ্ধি, মতি, ছয় রস, সাত সুর, সুখ, দুঃখ, ভয়, লজ্জা, জন্ম, মৃত্যু, জরা, রোগ, পাপ, পুণ্য, ধর্ম, অধর্ম, স্বর্গ, নরক, মোক্ষ – সবকিছুই মানুষের মধ্যে আছে। ঈশ্বর ছাড়া অন্য সবকিছুর উপরে মানুষের অধিকার আছে। ঈশ্বরের অধীনে সকলেই থাকলেও, মানুষ ঈশ্বরের চেয়েও উত্তম। ঈশ্বরের মত মানুষ নেই, আবার মানুষের মত ঈশ্বরও নেই।
ব্যাখ্যা:
এই পদে বড়ু চণ্ডীদাস মানুষের মহত্ত্ব ও মর্যাদা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে সকল সৃষ্টির সারবস্তু বিদ্যমান। মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, মতি, ইন্দ্রিয়, রস, সুর, আবেগ, সকলই বিশ্বের অন্যান্য সৃষ্টির চেয়ে উন্নত। মানুষের পাপ, পুণ্য, ধর্ম, অধর্ম, স্বর্গ, নরক, মোক্ষ – এই সকল বিষয়ের উপরেও মানুষের নিয়ন্ত্রণ আছে। ঈশ্বর ছাড়া অন্য সবকিছুর উপরে মানুষের অধিকার আছে। তবে, ঈশ্বরের অধীনে সকলেই থাকে।
বড়ু চণ্ডীদাসের মতে, মানুষ ঈশ্বরের চেয়েও উত্তম। কারণ, ঈশ্বরের মত মানুষ নেই। মানুষের মধ্যে আছে আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, সহানুভূতি, সৃজনশীলতা – এই সকল গুণাবলী ঈশ্বরে নেই।
এই পদটি মানুষের মহত্ত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। মানুষ যদি তার মধ্যে থাকা সকল শক্তির সঠিক ব্যবহার করে, তাহলে সে পৃথিবীতে অনেক কিছুই অর্জন করতে পারে।
পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.