Description
৪ মাসের শিশুর যত্ন । ৪ মাসের শিশুর ওজন
৪ মাসের শিশুর যত্ন:
শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ:
- ওজন বৃদ্ধি: ৪ মাস বয়সে, আপনার শিশুর জন্মের সময়ের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ হওয়া উচিত। এর মানে হল যে যদি আপনার শিশুর জন্মের সময় ওজন 3 কেজি (6.6 পাউন্ড) হয়ে থাকে, তাহলে 4 মাস বয়সে তাদের ওজন প্রায় 6 কেজি (13.2 পাউন্ড) হওয়া উচিত।
- দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: এই সময়ে, আপনার শিশুর প্রতি মাসে প্রায় 2.5 সেমি (1 ইঞ্চি) লম্বা হওয়া উচিত।
- মোটর দক্ষতা: ৪ মাস বয়সে, আপনার শিশু তাদের মাথা স্থির রাখতে সক্ষম হবে, তাদের হাত তাদের মুখের কাছে নিয়ে যেতে পারবে এবং খেলনা ধরতে শুরু করবে। তারা ঘুরতে এবং লুফানো শুরু করতে পারে, এবং কিছু শিশু এমনকি বসতেও সক্ষম হতে পারে।
- ইন্দ্রিয় বিকাশ: আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে এবং তারা তাদের চারপাশের জিনিসগুলি আরও ভালভাবে দেখতে সক্ষম হবে। তারা বিভিন্ন শব্দ এবং মুখের অভিব্যক্তি চিনতে শুরু করবে।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
খাদ্য:
- মায়ের দুধ বা ফর্মুলা: বেশিরভাগ ৪ মাসের শিশু এখনও তাদের প্রাথমিক খাদ্য হিসাবে শুধুমাত্র মায়ের দুধ বা ফর্মুলা খায়।
- সলিড খাবার: আপনি আপনার শিশুর খাদ্যে ধীরে ধীরে পাতলা, মসৃণ খাবার পরিচয় করিয়ে দিতে শুরু করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে শস্য, ফল এবং শাকসবজি। প্রতিটি নতুন খাবার পরিচয় করানোর আগে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- খাওয়ানোর সময়সূচী: বেশিরভাগ ৪ মাসের শিশু প্রতি ৪-৫ ঘন্টা অন্তর খায়। আপনার শিশুর ক্ষুধা এবং খাওয়ার ইঙ্গিতগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- খাওয়ানোর পদ্ধতি: আপনি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, বোতল দিয়ে খাওয়াতে পারেন বা শিশুর খাবার চামচ দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
ঘুম:
- ঘুমের সময়কাল: বেশিরভাগ ৪ মাসের শিশু রাতে 6-8 ঘন্টা ঘুমায়। তারা দিনের বেলায় আরও দু’বার বা তিনবার ঘুমাতে পারে।
- ঘুমের রুটিন: একটি নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার শিশু ঘুমাতে এবং জেগে থাকতে শিখতে পারে।
- ঘুমের পরিবেশ: শিশুর ঘুমের জন্য একটি শান্ত, অন্ধকার এবং ঠান্ডা পরিবেশ তৈরি করুন।
সমাজিক ও আবেগিক বিকাশ:
- ৪ মাসের শিশুরা তাদের পরিচিতদের সাথে সুখী এবং হাসিখুশি হতে শুরু করে।
- তারা অন্যদের সাথে আবেগ ভাগ করতে শুরু করে, যেমন হাসি, কান্না এবং রাগ।
- তারা বিভিন্ন শব্দ এবং মুখের অভিব্যক্তি তৈরি করতে শুরু করে।
- আপনার শিশুর সাথে কথা বলা, গান গাওয়া এবং খেলা গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য:
- আপনার শিশুর নিয়মিত চেকআপ করার জন্য ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার শিশুর সমস্ত টিকা দেওয়া নিশ্চিত করুন।
- আপনার শিশুর স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
কিছু টিপস:
- আপনার শিশুর সাথে যতটা সম্ভব সময় কাটান।
- তাদের কথা বলুন, গান গান এবং তাদের সাথে খেলুন।
- তাদের একটি নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী এবং খাওয়ার সময়সূচী তৈরি করুন।
- তাদের একটি নিরাপদ এবং উদ্দীপক পরিবেশ প্রদান করুন।
- আপনার শিশুর বিকাশ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৪ মাসের শিশুর ওজন
গড় ওজন:
- ছেলে: 6.1 কেজি (13.5 পাউন্ড)
- মেয়ে: 5.8 কেজি (12.8 পাউন্ড)
ওজনের পরিসর:
- ছেলে: 5.0 কেজি (11 পাউন্ড) থেকে 7.2 কেজি (15.9 পাউন্ড)
- মেয়ে: 4.6 কেজি (10.1 পাউন্ড) থেকে 6.8 কেজি (15 পাউন্ড)
মনে রাখবেন:
- উপরের ওজনের পরিসরগুলি শুধুমাত্র একটি নির্দেশিকা। প্রতিটি শিশু আলাদা এবং তাদের নিজস্ব বৃদ্ধির হার থাকে।
- আপনার শিশুর ওজন যদি উপরের পরিসরের বাইরে থাকে তবে এটি অবশ্যই চিন্তার কারণ নয়।
- আপনার শিশুর ওজন নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে তবে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
আপনার শিশুর ওজন পর্যবেক্ষণ করার জন্য টিপস:
- আপনার শিশুকে নিয়মিতভাবে ওজন করুন, বিশেষ করে প্রথম বছরের মধ্যে।
- একই ওজনের স্কেলে এবং একই সময়ে ওজন করুন।
- আপনার শিশুর ওজনের একটি রেকর্ড রাখুন।
- আপনার শিশুর ওজনের গ্রাফ তৈরি করুন।
আপনার শিশুর সুস্থ ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য টিপস:
- আপনার শিশুকে মায়ের দুধ বা ফর্মুলা খাওয়ান। মায়ের দুধ বা ফর্মুলা শিশুদের জন্য সেরা খাবার এবং তাদের সুস্থ ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- আপনার শিশুর খাদ্যে ধীরে ধীরে পাতলা, মসৃণ খাবার পরিচয় করিয়ে দিন। এর মধ্যে রয়েছে শস্য, ফল এবং শাকসবজি। প্রতিটি নতুন খাবার পরিচয় করানোর আগে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- আপনার শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান। প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য খাওয়ান।
- আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করুন।
- আপনার শিশুকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন।
মনে রাখবেন: প্রতিটি শিশু আলাদা এবং তাদের নিজস্ব বৃদ্ধির হার থাকে। আপনার শিশুর ওজন নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে তবে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৪ মাসের শিশুর যত্ন: একটি বিস্তারিত গাইড (প্রসারিত)
শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ:
- ওজন বৃদ্ধি: ৪ মাস বয়সে, আপনার শিশুর জন্মের সময়ের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ হওয়া উচিত। এর মানে হল যে যদি আপনার শিশুর জন্মের সময় ওজন 3 কেজি (6.6 পাউন্ড) হয়ে থাকে, তাহলে 4 মাস বয়সে তাদের ওজন প্রায় 6 কেজি (13.2 পাউন্ড) হওয়া উচিত।
- মনে রাখবেন, এটি কেবল একটি গড়। কিছু সুস্থ শিশু এই পরিসরের বাইরে থাকতে পারে।
- আপনার শিশুর ওজন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের বৃদ্ধির হার ট্র্যাক করা গুরুত্বপূর্ণ।
- দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: এই সময়ে, আপনার শিশুর প্রতি মাসে প্রায় 2.5 সেমি (1 ইঞ্চি) লম্বা হওয়া উচিত।
- আপনার শিশুর দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে, একটি শিশুর উচ্চতা মাপক ব্যবহার করুন।
- মোটর দক্ষতা:
- মাথার নিয়ন্ত্রণ: ৪ মাস বয়সে, আপনার শিশু তাদের মাথা স্থির রাখতে সক্ষম হবে যখন তাদের পেটে থাকে।
- হাতের নিয়ন্ত্রণ: তারা তাদের হাত তাদের মুখের কাছে নিয়ে যেতে পারবে এবং খেলনা ধরতে শুরু করবে।
- ঘূর্ণন: কিছু শিশু এই সময়ে ঘুরতে এবং লুফানো শুরু করতে পারে।
- বসা: কিছু শিশু এমনকি সহায়তার সাথে বসতেও সক্ষম হতে পারে।
- ইন্দ্রিয় বিকাশ:
- দৃষ্টি: আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে এবং তারা তাদের চারপাশের জিনিসগুলি আরও ভালভাবে দেখতে সক্ষম হবে। তারা আপনার মুখ এবং পরিচিত বস্তুগুলির দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবে।
- শ্রবণ: তারা বিভিন্ন শব্দ এবং মুখের অভিব্যক্তি চিনতে শুরু করবে। তারা আপনার কণ্ঠস্বরের প্রতি সাড়া দিবে এবং জোরে শব্দ শুনলে চমকে উঠতে পারে।
- স্পর্শ: তারা তাদের ত্বকে স্পর্শ অনুভব করতে সক্ষম হবে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র অন্বেষণ করতে উপভোগ করবে।
খাদ্য:
- মায়ের দুধ বা ফর্মুলা: বেশিরভাগ ৪ মাসের শিশু এখনও তাদের প্রাথমিক খাদ্য হিসাবে শুধুমাত্র মায়ের দুধ বা ফর্মুলা খায়।
- মায়ের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি, আপনি আপনার শিশুর খাদ্যে ধীরে ধীরে পাতলা, মসৃণ খাবার পরিচয় করিয়ে দিতে শুরু করতে পারেন।
- আপনার শিশুর জন্য কোন খাবারগুলি উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
-
৪ মাস বয়সী শিশুর জন্য উপযুক্ত কিছু সলিড খাবারের উদাহরণ:
-
ফল:
- মসৃণ করা বা পাতলা করা আপেল, নাশপাতি, পেঁপে, কলা, মিষ্টি আলু এবং বাদাম।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে ফলের পিউরি বা রসও যোগ করতে পারেন।
-
সবজি:
- মসৃণ করা বা পাতলা করা গাজর, মটরশুঁটি, শসা, স্কোয়াশ এবং মিষ্টি আলু।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে সবজি পিউরি বা রসও যোগ করতে পারেন।
-
শস্য:
- চাল, ওটস এবং বার্লির মতো শস্যের মসৃণ বা পাতলা করা সিরিয়াল।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে ফলের পিউরি বা রসও যোগ করতে পারেন।
-
মাংস:
- মসৃণ করা বা পাতলা করা মুরগির মাংস, গরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংস।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে শাকসবজি বা ফলের পিউরিও যোগ করতে পারেন।
-
ডাল:
- মসুর ডাল, মুগ ডাল এবং ছোলা ডালের মতো ডালের মসৃণ বা পাতলা করা।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে শাকসবজি বা ফলের পিউরিও যোগ করতে পারেন।
-
দই:
- সম্পূর্ণ চর্বিযুক্ত, সাধারণ দই।
- আপনি আপনার শিশুর খাবারে ফলের পিউরিও যোগ করতে পারেন।
খাবার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার টিপস:
- একবারে একটি নতুন খাবার পরিচয় করিয়ে দিন: এটি আপনাকে আপনার শিশুর কোন খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয় তা ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
- ছোট্ট পরিমাণে শুরু করুন: এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।
- পাতলা করে শুরু করুন: এবং ধীরে ধীরে ঘন করুন
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
-
Reviews
There are no reviews yet.