Description
বাচ্চারা বমি করে কেন । বাচ্চারা বিভিন্ন কারণে বমি করতে পারে। নবজাতকের পেটে গ্যাস কেন হয়
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
বাচ্চারা বমি করে কেন
কিছু সাধারণ কারণ:
- গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল (জিআই) ইনফেকশন: এটি শিশুদের বমির সবচেয়ে সাধারণ কারণ। রোটাভাইরাস এবং নরোভাইরাসের মতো ভাইরাসের কারণে জিআই ইনফেকশন হতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- খাদ্য বিষক্রিয়া: দূষিত খাবার খাওয়ার পরে শিশুরা বমি করতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- গাড়ি অসুস্থতা: কিছু শিশু গাড়িতে চলাচলের সময় বমি করে। এটি ভেস্টিবুলার সিস্টেমের অস্বাভাবিক উদ্দীপনার কারণে হয়, যা শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
- অ্যালার্জি: খাদ্য অ্যালার্জি বা ঔষধের অ্যালার্জির কারণে শিশুরা বমি করতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে ফুসকুড়ি, চুলকানি, বমি এবং ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- অতিরিক্ত খাওয়া: কিছু শিশু যদি খুব বেশি খায় তবে তারা বমি করতে পারে।
- কফ: কফের কারণে শিশুরা বমি করতে পারে। কফিন শিশুদের পেটে অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
- মানসিক চাপ: উদ্বেগ বা চাপের কারণে কিছু শিশু বমি করতে পারে।
- অন্যান্য চিকিৎসাগত অবস্থা: অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ইন্টাসাসেপশন, মেনিনজাইটিস, মাইগ্রেন এবং মাথায় আঘাতের মতো আরও গুরুতর চিকিৎসাগত অবস্থাও বমি বমি ভাব এবং বমির কারণ হতে পারে।
লক্ষণ:
- বমি বমি ভাব: বমি করার আগে পেটে অস্বস্তি বা বমি বমি ভাব অনুভব করা।
- বমি: পেটের সামগ্রী মুখ দিয়ে বের হয়ে আসা।
- পেটে ব্যথা: তীব্র বা কোঁচকাঁচি ব্যথা যা পেটের বিভিন্ন অংশে অনুভূত হতে পারে।
- ডায়রিয়া: পাতলা, জলীয় মল।
- জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা 100.4°F (38°C) বা তার বেশি।
- ক্ষুধা হ্রাস: খাবার খেতে আগ্রহের অভাব।
- দুর্বলতা: শক্তির অভাব বা ক্লান্তি।
ঝুঁকির কারণ:
- শিশু হওয়া: শিশুদের প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ছোট পেট এবং অপরিণত প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে, যা তাদের সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুস্থতার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
- ডে কেয়ার বা স্কুলে যাওয়া: অন্যান্য শিশুদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ সংক্রামক অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- হাত না ধোয়া: হাত সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত না ধোয়া জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- দূষিত খাবার বা পানি খাওয়া: দূষিত খাবার বা পানি খাওয়া খাদ্য
কিছু গুরুতর কারণ:
- অ্যাপেন্ডিসাইটিস: এটি পেটের নিচে ডানদিকে অবস্থিত অ্যাপেন্ডিক্স নামক অঙ্গের প্রদাহ। লক্ষণগুলির মধ্যে পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি এবং ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- ইন্টাসাসেপশন: এটি যখন অন্ত্রের একটি অংশ অন্য অংশে গুঁজিয়ে যায়। লক্ষণগুলির মধ্যে তীব্র পেটে ব্যথা, বমি এবং রক্ত সহ মল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- মেনিনজাইটিস: এটি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আবরণের প্রদাহ। লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া, বমি এবং বিভ্রান্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আপনার সন্তান যদি বমি করে, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ:
- তাদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
- তাদের হালকা খাবার খাওয়ান।
- তাদের বিশ্রাম নিতে দিন।
- যদি বমি বন্ধ না হয় বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
**কিছু টিপস যা আপনার সন্তানের বমির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য
নবজাতকের পেটে গ্যাস কেন হয়
নবজাতকের পেটে গ্যাস জমার বেশ কিছু কারণ আছে।
কিছু সাধারণ কারণ:
- দুধ খাওয়ার সময় বাতাস গিলে ফেলা: এটি নবজাতকের পেটে গ্যাসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
- অসঠিক ল্যাচিং: যদি শিশু সঠিকভাবে স্তন্যদান না করে, তাহলে বাতাস স্তনের সাথে দুধের পরিবর্তে গিলে ফেলে।
- দ্রুত খাওয়া: যদি শিশু খুব দ্রুত দুধ খায়, তাহলেও বাতাস গিলে ফেলার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- বোতল দিয়ে খাওয়ানো: বোতল দিয়ে খাওয়ানোর সময়ও শিশুরা বাতাস গিলে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি নিপল খুব দ্রুত প্রবাহ হয়।
- অপুক্ত হজম: নবজাতকের হজমতন্ত্র এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি, তাই কিছু খাবার হজম করতে তাদের সমস্যা হতে পারে।
- ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: কিছু শিশুর ল্যাকটোজ হজম করতে সমস্যা হয়, যা দুধে থাকে।
- অন্যান্য খাদ্য অসহিষ্ণুতা: কিছু শিশু অন্যান্য খাবার, যেমন সয়াবিন বা গম, অসহিষ্ণু হতে পারে।
- কান্না: নবজাতকরা যখন কান্না করে তখন অনেক বাতাস গিলে ফেলে।
- কিছু খাবার: মায়ের খাদ্যে কিছু খাবার, যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ এবং রসুন, শিশুর পেটে গ্যাসের কারণ হতে পারে।
অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ:
- অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা: কিছু শিশু গরুর দুধের প্রোটিন বা অন্যান্য খাবারের অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতায় ভুগতে পারে। এর ফলে গ্যাস, পেট ফোলাভাব, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মল পেটে জমা থাকে, যার ফলে গ্যাস এবং পেট ফোলাভাব হতে পারে।
- অন্ত্রের সংক্রমণ: কিছু ক্ষেত্রে, জীবাণু বা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে।
লক্ষণ:
- পেট ফোলাভাব
- ঢেকুর তোলা
- পা যন্ত্রণা
- অস্থিরতা
- কান্না
প্রতিকার:
- দুধ খাওয়ানোর সময় সঠিক পদ্ধতি: নিশ্চিত করুন যে আপনার শিশু সঠিকভাবে ল্যাচ করেছে এবং দ্রুত খাচ্ছে না।
- ঢেকুর তোলানো: দুধ খাওয়ানোর পর এবং খাওয়ানোর সময় মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে ঢেকুর তোলান।
- পেট ম্যাসাজ: আপনার শিশুর পেটে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
- ব্যায়াম: আপনার শিশুর পা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করুন।
- খাদ্য পরিবর্তন: আপনার খাদ্য থেকে এমন খাবার বাদ দিন যা আপনার শিশুর গ্যাসের কারণ হতে পারে।
- ডাক্তারের সাথে পরামর্শ: যদি আপনার শিশুর গ্যাসের সমস্যা তীব্র হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
মনে রাখবেন: নবজাতকের পেটে গ্যাস একটি সাধারণ সমস্যা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি চিন্তার কারণ নয়। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সাধারণত সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। তবে, যদি আপনার শিশুর গ্যাসের সমস্যা তীব্র হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়,
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
Reviews
There are no reviews yet.