Description
বাচ্চারা রাতে কান্না করে কেন । বাচ্চারা রাতে বিভিন্ন কারণে কাঁদতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:
ভূমিকা:
শিশুরা বিভিন্ন কারণে রাতে কাঁদতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, কান্নার কারণ স্পষ্ট এবং সমাধান করা সহজ।
অন্যান্য ক্ষেত্রে, কারণ নির্ণয় করা এবং সমাধান খুঁজে বের করা আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
বাচ্চারা রাতে কান্না করে কেন
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
শারীরিক অস্বস্তি:
-
ক্ষুধা: ছোট বাচ্চাদের, বিশেষ করে নবজাতক এবং শিশুদের, রাতে ঘুম থেকে উঠে ক্ষুধা পেতে পারে।
- উদাহরণ:
- নবজাতক প্রতি 2-3 ঘন্টা অন্তর খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
- বড় শিশুরা রাতে একবার বা দুবার ঘুম থেকে উঠে খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
- সমাধান:
- নবজাতকদের চাহিদা অনুযায়ী দুধ খাওয়ান।
- বড় শিশুদের জন্য, ঘুমের আগে একটি হালকা নাস্তা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
- উদাহরণ:
-
পেট খারাপ: কোলিক, গ্যাস, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যাগুলি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং কান্নার কারণ হতে পারে।
- উদাহরণ:
- কোলিক সাধারণত জীবনের প্রথম 6 সপ্তাহে শুরু হয় এবং 4 মাসের মধ্যে চলে যায়।
- গ্যাসের কারণে শিশুর পেট ফুলে যেতে পারে এবং ব্যথা হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে শিশুর মলত্যাগে অসুবিধা হতে পারে।
- সমাধান:
- কোলিকের জন্য, কোন কার্যকর চিকিৎসা নেই, তবে কিছু পন্থা শিশুকে আরাম করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন ম্যাসাজ, গরম স্নান, বা কোলে নেওয়া।
- গ্যাসের জন্য, বোতল দিয়ে খাওয়ানোর সময় বাতাস গিলে ফেলা রোধ করতে বোতলের টিট ভালভাবে বন্ধ করুন।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য, শিশুর খাদ্যে পর্যাপ্ত তরল এবং ফাইবার নিশ্চিত করুন।
- উদাহরণ:
-
দাঁত বের হওয়া: দাঁত বের হওয়ার সময় শিশুদের মাড়ি ব্যথা করতে পারে, বিশেষ করে রাতে যখন তারা একা থাকে।
- উদাহরণ:
- শিশুরা 4-7 মাস বয়সে দাঁত বের হতে শুরু করে।
- দাঁত বের হওয়ার সময় শিশুরা লালা বেশি করতে পারে, বিরক্ত হতে পারে, এবং ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।
- সমাধান:
- শিশুর মাড়িতে ঠান্ডা সেঁক দিন বা ঠান্ডা রাগ দিন।
- দাঁত বের হওয়ার জন্য তৈরি ওষুধ ব্যবহার করুন।
- উদাহরণ:
-
জ্বর: জ্বর বা অন্য কোনো অসুস্থতা শিশুদের অস্বস্তি বোধ করতে পারে এবং তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
- অস্বস্তি: শিশু যদি খুব গরম, ঠান্ডা, আলোতে থাকে, অথবা যদি তাদের পোশাক খুব টাইট বা খুব লুজ হয়, তাহলে তারা অস্বস্তি বোধ করতে পারে এবং ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।
আবেগীয় চাহিদা:
- একাকীত্ব বা ভয়: কিছু শিশু রাতে ঘুম থেকে উঠে একাকী বা ভয় পেতে পারে। নতুন পরিবেশ, বিচ্ছেদ, বা দিনের বেলায় কোনো বিরক্তিকর ঘটনা এই অনুভূতির কারণ হতে পারে।
- দিনের অভিজ্ঞতা: দিনের বেলায় কোনো উত্তেজনাপূর্ণ বা বিরক্তিকর ঘটনা রাতে ঘুমের সময় শিশুদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের কান্নার কারণ হতে পারে।
- নতুন পরিবেশ: নতুন বিছানা, ঘুমের জায়গা, বা যত্নকারীর পরিবর্তন শিশুদের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে এবং রাতে কান্নার কারণ হতে পারে।
অন্যান্য কারণ:
- অতিরিক্ত উদ্দীপনা: ঘুমের আগে বাচ্চাদের যদি খুব বেশি উদ্দীপিত করা হয়, যেমন টিভি দেখানো বা খেলাধুলা করানো, তাহলে তারা ঘুমাতে যেতে পারে না এবং কাঁদতে পারে।
- অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী: বাচ্চাদের যদি নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী না থাকে, তাহলে তারা রাতে ঘুমাতে যেতে পারে না এবং কাঁদতে পারে।
আপনার বাচ্চা রাতে কাঁদছে কেন তা বের করার জন্য, আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন:
- তার কান্নার ধরন শুনুন: বিভিন্ন ধরনের কান্নার বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষুধার্ত বাচ্চারা সাধারণত উচ্চস্বরে কাঁদে, যখন ব্যথা অনুভবকারী বাচ্চারা আর্তনাদ করে কাঁদতে পারে।
- তার শরীর পরীক্ষা করুন: জ্বর, পেট ফোলা বা দাঁত বের হওয়ার লক্ষণগুলির জন্য তার শরীর পরীক্ষা করুন।
- তার ঘুমের পরিবেশ পরীক্ষা করুন: নিশ্চিত করুন যে তার ঘুমের ঘর শান্ত, অন্ধকার এবং আরামদায়ক।
- তার ঘুমের রুটিন পরীক্ষা করুন: নিশ্চিত করুন যে তার নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী রয়েছে এবং প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যায়।
বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে হাসে কেন
শিশুরা ঘুমের মধ্যে হাসার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
কিছু সম্ভাব্য কারণ:
- সুখের স্মৃতি: শিশুরা দিনের বেলায় ঘটা মজার বা আনন্দের ঘটনাগুলো মনে রাখতে পারে এবং ঘুমের মধ্যে সেগুলো নিয়ে হাসতে পারে। যেমন, প্রিয় খেলনা নিয়ে খেলা, বাবা-মায়ের সাথে সময় কাটানো, নতুন কিছু শেখা ইত্যাদি।
- শারীরিক বিকাশ: শিশুদের মস্তিষ্ক দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং ঘুমের সময় এই বিকাশের অংশ হিসেবে হাসি হতে পারে। বিশেষ করে, মস্তিষ্কের এমন এলাকাগুলো যেগুলো আনন্দ ও হাসির সাথে সম্পর্কিত, সেগুলো দ্রুত বিকশিত হচ্ছে বলে মনে করা হয়।
- স্বপ্ন: শিশুরা স্বপ্ন দেখতে পারে এবং স্বপ্নে মজার কিছু দেখে হাসতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ছোট শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি স্বপ্ন দেখে এবং তাদের স্বপ্নগুলোও বেশি আবেগপূর্ণ হয়।
- বাহ্যিক উদ্দীপনা: ঘুমের পরিবেশে কোন বাইরের উদ্দীপনা, যেমন আলো, শব্দ বা তাপমাত্রার পরিবর্তন, শিশুকে হাসাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ঘরে খুব আলো থাকে বা তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে শিশু অস্বস্তি বোধ করে হাসতে পারে।
- গ্যাস বা অস্বস্তি: পেটে গ্যাস বা অন্য কোন অস্বস্তি শিশুকে ঘুমের মধ্যে হাসাতে পারে। বিশেষ করে, যদি শিশু অতিরিক্ত খেয়ে থাকে বা পেটে অ্যাসিডिटी থাকে, তাহলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উদাহরণ:
- একজন শিশু যদি দিনের বেলায় তার প্রিয় খেলনার সাথে খেলে মজা করে থাকে, তাহলে সেই রাতে সেই খেলনা নিয়ে স্বপ্ন দেখে ঘুমের মধ্যে হাসতে পারে।
- আরেকজন শিশু যদি দিনের বেলায় তার বাবা-মায়ের সাথে পার্কে গিয়ে খেলে আনন্দ পায়, তাহলে সেই আনন্দের স্মৃতি ধরে রেখে সে ঘুমের মধ্যে হাসতে পারে।
- কিছু শিশু ঘুমের মধ্যে হাসতে হাসতে কথাও বলতে পারে। এটি সাধারণত তাদের স্বপ্নের সাথে সম্পর্কিত থাকে।
মনে রাখবেন:
- শিশুরা ঘুমের মধ্যে হাসা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এর কোন কারণ খুঁজে বের করার দরকার নেই।
- যদি আপনার শিশু ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিকভাবে হাসে, এবং এর সাথে অন্য কোন উপসর্গ থাকে, যেমন ক্লান্তি, বিরক্তি বা খাওয়ার সমস্যা, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.