Description
নবজাতকের পায়খানা । নবজাতকের পায়খানা: রঙ, গঠন এবং বারবারতা সম্পর্কে জানুন
নবজাতকের পায়খানা
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
প্রথম পায়খানা:
- জন্মের পর প্রথম পায়খানা, যা মেকোনিয়াম নামে পরিচিত, কালচে, আঠালো এবং গন্ধহীন হয়।
- এটি মূলত amniotic তরল, শ্লেষ্মা, লোম এবং পিত্তের সমন্বয়ে গঠিত।
- বেশিরভাগ শিশুরা জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মেকোনিয়াম বের করে।
- বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুরা সাধারণত ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুদের তুলনায় দ্রুত মেকোনিয়াম বের করে।
সাধারণ পায়খানা:
- বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুদের পায়খানা হালকা হলুদ থেকে সরিষার রঙের হতে পারে।
- ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুদের পায়খানা গাঢ় বাদামী বা সবুজাভ হতে পারে।
- স্তন্যপানরত শিশুরা প্রতিদিন বেশ কয়েকবার, এমনকি প্রতি খাবারের পরেও পায়খানা করতে পারে।
- ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুরা দিনে একবার বা কয়েকদিন অন্তর অন্তর পায়খানা করতে পারে।
- নবজাতকের পায়খানার গঠন পাতলা থেকে নরম পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
কিছু বিষয় মনে রাখবেন:
- বারবারতা: কোন শিশুর পায়খানা কতবার হবে তা স্বাভাবিক। প্রতিদিন বেশ কয়েকবার থেকে কয়েকদিন অন্তর অন্তর পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক।
- রঙ: খাদ্য, ওষুধ এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে পায়খানার রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লোহার পরিপূরক গ্রহণকারী শিশুদের কালচে সবুজ পায়খানা হতে পারে।
- গঠন: পায়খানার গঠন পাতলা থেকে নরম পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে এবং এটি কোন উদ্বেগের বিষয় নয়।
- গন্ধ: বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুদের পায়খানার সাধারণত অল্প বা কোন গন্ধ থাকে না, যেখানে ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুদের পায়খানা তীব্র গন্ধযুক্ত হতে পারে।
কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন:
- যদি আপনার শিশুর পায়খানা রক্তাক্ত হয়
- যদি আপনার শিশুর পায়খানা কালচে বা সাদা হয়
- যদি আপনার শিশুর পায়খানা অস্বাভাবিকভাবে তীব্র গন্ধযুক্ত হয়
- যদি আপনার শিশুর পায়খানা করতে অসুবিধা হয়
- যদি আপনার শিশুর পায়খানা করার সাথে সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হয়
নবজাতকের গোসলের নিয়ম:
গোসলের সময়:
- জন্মের পর ৪৮-৭২ ঘন্টা পর গোসল করানো উচিত।
- নাভির ঘা শুকিয়ে যাওয়ার আগে স্পঞ্জ বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
- শীতকালে দুপুর ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে গোসল করানো ভালো।
- গ্রীষ্মকালে যেকোনো সময় গোসল করানো যায়।
প্রস্তুতি:
- একটি পরিষ্কার ও নিরাপদ জায়গায় গোসলের ব্যবস্থা করুন।
- কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন (৩৭°C / ৯৯°F)।
- নরম তোয়ালে, শিশুর সাবান ও শ্যাম্পু (যদি ব্যবহার করেন) প্রস্তুত রাখুন।
- একটি নরম কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন।
- গোসলের ঘর উষ্ণ রাখুন।
গোসলের পদ্ধতি:
- শিশুকে একটি নরম কাপড়ের উপর শুইয়ে দিন।
- ধীরে ধীরে শিশুর মাথা, মুখ ও চোখ পরিষ্কার করুন।
- চোখ পরিষ্কার করার জন্য আলাদা আলাদা নরম কাপড় ব্যবহার করুন।
- শিশুর শরীরের প্রতিটি অংশ ধীরে ধীরে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- কানের ভেতর, নাভি ও মুখের ভেতর পানি ঢোকানো এড়িয়ে চলুন।
- শিশুর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
- সাবান ও শ্যাম্পু ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- শিশুকে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।
- শিশুর পোশাক পরিয়ে দিন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- গোসল ৫-১০ মিনিটের বেশি দীর্ঘায়িত করবেন না।
- শিশুকে ঠান্ডা লাগতে দেবেন না।
- গোসলের পর শিশুকে লোশন লাগিয়ে দিতে পারেন।
- যদি শিশুর ত্বকে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কতবার গোসল করাবেন:
- গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর গোসল করানো যেতে পারে।
- শীতকালে সপ্তাহে দুই-তিনবার গোসল করানো যথেষ্ট।
- যদি শিশু ঘামে অনেক বেশি, তাহলে প্রয়োজনে বেশি গোসল করানো যেতে পারে।
গোসলের সময় সতর্কতা:
- শিশুকে কখনোই একা রেখে গোসল করাবেন না।
- শিশুকে সাবধানে ধরে রাখুন যাতে পানিতে পড়ে না যায়।
- গরম পানি থেকে সাবধান থাকুন।
- শিশুর চোখে সাবান লাগতে দেবেন না।
- গোসলের পর শিশুর কান শুকিয়ে নিন।
**নবজাতকের গোসল একটি মজার ও উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি আপনার শিশুকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকরভাবে গোসল কর
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.