Description
মেয়েদের বুকের দুধ কত বছর থাকে তার উত্তর নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
মেয়েদের বুকের দুধ কত বছর থাকে
- গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে বুকে দুধ তৈরি হতে শুরু করে।
- প্রসব: প্রসবের পর, স্তন্যপান শুরু করার সাথে সাথে দুধের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
-
স্তন্যপানের প্রভাব:
- নিয়মিত স্তন্যপান করলে দুধের উৎপাদন বজায় থাকে।
- যত বেশিবার শিশু স্তন্যপান করে, তত বেশি দুধ তৈরি হয়।
- দীর্ঘক্ষণ স্তন্যপান করলে দুধের উৎপাদন বেশি সময় ধরে থাকে।
-
স্তন্যপান বন্ধের প্রভাব:
- স্তন্যপান বন্ধ করলে ধীরে ধীরে দুধের উৎপাদন কমে যায়।
- যত তাড়াতাড়ি স্তন্যপান বন্ধ করা হয়, তত তাড়াতাড়ি দুধের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
- কিছু ক্ষেত্রে, স্তন্যপান বন্ধ করার পরও কিছুদিন দুধ তৈরি হতে পারে।
কিছু উদাহরণ:
- একজন মা যদি নিয়মিতভাবে দিনে ৮-১২ বার স্তন্যপান করান, তাহলে তিনি দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে স্তন্যপান করতে পারবেন।
- অন্যদিকে, একজন মা যদি দিনে ৪-৫ বারের বেশি স্তন্যপান না করান, তাহলে তার দুধের উৎপাদন ১২-১৮ মাসের মধ্যে কমে যেতে পারে।
- কিছু মায়েরা স্তন্যপান বন্ধ করার পরও কয়েক বছর ধরে দুধ তৈরি করতে পারেন। এটি “প্রল্যাক্টিন” নামক হরমোনের কারণে ঘটে।
সাধারণত, মায়েরা দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত স্তন্যপান করতে পারেন। তবে, কিছু মায়েরা পাঁচ বছর পর্যন্তও স্তন্যপান করতে সক্ষম।
বিস্তারিত বিবরণ:
- দুধের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এমন অনেকগুলি হরমোন রয়েছে।
- প্রোল্যাক্টিন হরমোন দুধ তৈরির জন্য দায়ী।
- অক্সিটোসিন হরমোন দুধ বের করতে সাহায্য করে।
- ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন দুধের উৎপাদন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- স্তন্যপান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন মায়ের শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
কয়েকটি বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রতিটি মায়ের অভিজ্ঞতা আলাদা।
- হরমোন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, এবং চাপ স্তন্যপানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- স্তন্যপান বন্ধ করার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
- আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
কিছু সংস্থান যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
- বাংলাদেশ শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (BCSI)
- মাতৃদুগ্ধদান সমর্থন গোষ্ঠী: আপনার এলাকায় এমন অনেক গোষ্ঠী আছে যা মায়েদের স্তন্যপান সম্পর্কে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য বাজারে অনেক ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে, কোন ট্যাবলেটটি আপনার জন্য সঠিক তা নির্ধারণ করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু জনপ্রিয় বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেটের মধ্যে রয়েছে:
- ল্যাক্টোজেন: এটি একটি ওষুধ যা শরীরে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়, যা দুধ উৎপাদনের জন্য দায়ী।
- ফেনুগ্রিক: এটি একটি ভেষজ যা দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
- ব্লেসড থিসল: এটি আরেকটি ভেষজ যা দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট গ্রহণের সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
- ট্যাবলেটগুলি 100% নিরাপদ নয়। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন পেট ফোলাভাব, ডায়রিয়া এবং মাথাব্যথা।
- ট্যাবলেটগুলি সবসময় কার্যকর হয় না। কিছু মায়ের জন্য, তারা দুধের উৎপাদনে কোন উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে পায় না।
- ট্যাবলেটগুলি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। যদি আপনি আপনার বুকের দুধের সরবরাহ বাড়াতে চান তবে স্তন্যপান করা এবং আপনার শিশুকে ঘন ঘন খাওয়ানো সবচেয়ে ভাল উপায়।
আপনার বুকের দুধের সরবরাহ বাড়ানোর অন্যান্য উপায়:
- নিয়মিত স্তন্যপান করুন। যত বেশিবার আপনি স্তন্যপান করবেন, তত বেশি দুধ তৈরি হবে।
- আপনার শিশুকে দীর্ঘক্ষণ খাওয়ান। প্রতিটি স্তনে 15-20 মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে স্তন্যপান করার চেষ্টা করুন।
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। প্রতিদিন 8-10 গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং পূর্ণ শস্য খান।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। যখন আপনি বিশ্রাম নেন তখন আপনার শরীর আরও বেশি দুধ তৈরি করতে পারে।
- স্তন্যপান পরামর্শদাতার সাথে কথা বলুন। যদি আপনাকে আপনার বুকের দুধের সরবরাহ বাড়াতে সমস্যা হয় তবে একজন স্তন্যপান পরামর্শদাতা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়: ট্যাবলেট ছাড়াও
মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে আদর্শ খাবার। তবে, কিছু মায়ের ক্ষেত্রে, দুধের সরবরাহ পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ট্যাবলেটের পাশাপাশি আরও অনেক উপায় আছে:
১) নিয়মিত স্তন্যপান:
- যত বেশিবার আপনি স্তন্যপান করবেন, তত বেশি দুধ তৈরি হবে।
- শিশুকে চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ান, ঘড়ির কাঁটার সাথে নয়।
- প্রতিটি স্তনে ১৫-২০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে স্তন্যপান করার চেষ্টা করুন।
২) স্তন্যদানের অবস্থান:
- বিভিন্ন অবস্থানে স্তন্যপান করুন যাতে স্তনের সব অংশ থেকে দুধ বেরিয়ে আসে।
- “Football hold” বা “laid-back position” এর মতো অবস্থানগুলি দুধ বের করতে সহায়ক হতে পারে।
৩) স্তন্যদান উদ্দীপনা:
- স্তন্যপানের আগে স্তন ম্যাসাজ করুন বা হালকাভাবে চাপ দিন।
- গরম কম্প্রেস ব্যবহার করুন।
- স্তন্যপানের আগে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
৪) খাদ্যাভ্যাস:
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রচুর ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য এবং শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবার খান।
- লবণ, চিনি এবং ক্যাফেইনযুক্ত খাবার সীমিত করুন।
- শুকনো বাদাম, মেথি দানা, শশা, ওটমিল ইত্যাদি খাবার বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
৫) পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম।
- দিনের বেলায় বিশ্রাম নিন।
- চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
৬) মানসিক প্রস্তুতি:
- আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নিজের উপর ভরসা রাখুন।
- অন্যান্য স্তন্যদানকারী মায়েদের সাথে কথা বলুন এবং সহায়তা নিন।
- স্তন্যদান পরামর্শদাতার সাথে কথা বলুন।
মনে রাখবেন:
- প্রতিটি মা আলাদা। কিছু মায়ের অন্যদের তুলনায় বেশি দুধ তৈরি হয়।
- আপনার শিশুর জন্য যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল যে আপনি তাকে স্তন্যপান করান।
- স্তন্যপানের মাধ্যমে আপনি আপনার শিশুকে সেরা পুষ্টি দিচ্ছেন।
**কিছু সতর্কতা:
- কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন,
মনে রাখবেন, প্রতিটি মা আলাদা। কিছু মায়ের অন্যদের তুলনায় বেশি দুধ হয় ।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.