সিরাপ এলভাসিন ( এযাজ ) এর কাজ কি

পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের আর্টিকেলটি হল পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ . এটি সবার জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ . মলের সঙ্গে তাজা রক্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাইলসের লক্ষণ। মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ মাত্র ২২০ টাকা থেকে শুরু ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন  – এখনই ঔষধ কিনুন

অস্ত্রোপচারে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব। তবে রক্তের রং পরিবর্তিত হয়ে গেলে, কালচে, আমযুক্ত রক্ত, সঙ্গে পেটে মোচড় দিয়ে পায়খানা ক্যানসারের লক্ষণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কালো দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হলেও অনেকে আমলে নেন না। কনডম কালেকশন  মাত্র ৭৫০ টাকা থেকে শুরু কনডম কিনতে ক্লিক করুন  – এখনই  কিনুন

পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ

পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ

পায়ুপথে রক্ত পড়া কখনোই স্বাভাবিক নয়। তবে পায়ুপথে রক্ত যাওয়া নিজে কোনো রোগ নয়, বরং অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র। যেহেতু পায়ুপথে রক্ত যাওয়া একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার, তাই পায়ুপথে রক্ত গেলে তা যেকোনো বয়সেই হোক না কেন, অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ব্যবস্থা নিতে হবে। রক্ত পড়ার কারণে সাধারণ রোগ থেকে শুরু করে মারাত্মক ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

লক্ষণগুলো

আগেই বলা হয়েছে, পায়ুপথেরক্ত যাওয়া নিজে কোনো রোগ নয়, বরং অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র। তাই রোগীর পায়ুপথে রক্ত পড়ার সাথে ওই রোগের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।

রেক্টাল পলিপ:

এ রোগ হলে পায়ুপথে টাটকা রক্ত যায়, মলদ্বার দিয়ে গেলে গোটার মতো বের হতে পারে, যা পায়খানার পরে এমনি এমনিই ভেতরে চলে যেতে পারে বা আঙুল দিয়ে ধাক্কা দেয়া লাগতে পারে। এ রোগ যেকোনো বয়সেই হতে পারে তবে সাধারণত শিশু বয়সেই বেশি হয়।

পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ

য়ুপথে রক্ত পড়ার সাধারণ কারণ

রেক্টাল পলিপ,
ইন্টাস সাসসেপশন,
পাইলস বা হেমরয়োড়,
এনালফিয়সার,
ফিস্টুলা ইন এনো,
পায়ুপথ, রেক্টাম বা কলোনে ক্যাপার,
রেক্টাল আলসার,
আঘাতজনিত,
ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ,
এনজিও ডিস্লাসি

ইন্টাস সাসসেপশা

শিশুদের হয়। সাধারণত ৫-১০ মাস বয়সে এ রোগ দেখা যায়, যখন শিশুকে বুকের দুধের সাথে অন্য খাবার শুরু করা হয়। এ রোগে শিশু ব্যথায় কান্না করে। ব্যথা অনেকক্ষণ পর পর হয়। দুই ব্যথার মাঝে শিশু সুস্থ বোধ করে। শিশু রক্ত ও আমমিশ্রিত মলত্যাগ করে একে ‘রেড বরেন্ট জেলি’ বলে। পরে শিশুর পেট ফোলা, বমি ইত্যাদি হতে পারে।

পাইলস বা হেমরয়েড

মধ্য বয়সে পায়ুপথে টাটকা রক্ত যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে পাইলস বা হেমরয়েভ অন্যতম। এ ক্ষেত্রে প্রথম নিকে পায়খানার পরে টাটকা রক্ত ফোটায় ফোটায় বা ফিনকি দিয়ে পড়তে পারে, কিছুদিন পর মালদার দিয়ে গোল গোটা বা মাংসপিণ্ডের মতো বের হতে পারে, যা প্রথম দিকে পায়খানার পরে এমনি এমনিই ভেতরে চলে যেতে পারে বা আঙুল দিয়ে ধাক্কা দেয়া লাগতে পারে। উপযুক্ত চিকিৎসা না করালে পরবর্তী সময়ে গোটা বা মাংসপিণ্ডগুলো ভেতরে ঢোকে না, তখন নানারকম জটিলতা দেখা দেয় এবং অপারেশন জরুরি হয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলো বিনা অপারেশনেই চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে।

এনাল ফিসার

এসব ক্ষেত্রে রক্ত পড়া ছাড়াও মলত্যাগের সময় ও পরে ব্যথা হতে পারে।

পায়ুপথ বা রেক্টামে ক্যান্সার

এ রোগ সাধারণত ৪০ বছর বা তার পরে বেশি দেখা গেলেও আগেও হতে পারে। এ রোগ পায়ুপথে রক্ত যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রে পাইলস মনে করে ঝাড়ফুঁক ও অন্যান্য টোটকা চিকিৎসা নিয়ে রোগ জটিল করে ফেলে। পায়ুপথ বা রেক্টামে ক্যান্সার হলে পায়ুপথে টাটকা রক্ত, আম যাওয়া ছাড়াও মলত্যাগের পর আরো মলত্যাগের ইচ্ছা থেকে যায়।

মাঝে মাঝে ডায়রিয়া ও মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পরবর্তী সময়ে মলদ্বারে ব্যথা, মল এলে ধরে রাখতে না পারা, পায়ুপথ বা রেক্টাম বন্ধ হয়ে পেট ফোলা, বমি ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়া রোগী অত্যধিক দুর্বল বোধ করতে পারে। অনেক সময় রেক্টামে ক্যান্সারের কারণে পাইলস হতে পারে। তাই পায়ুপথে রক্ত গেলে বা পাইলাস মনে হলে কখনোই একে হালকাভাবে নেয়া ঠিক হবে না।

অন্যান্য

উপরি উক্ত কারণ ছাড়াও ক্রনেস ডিজিজ, আলসারেটিভ কলাইটিস, ডাইভারটিকুলাইটিস ইত্যাদি রোগ, যদিও আমাদের দেশে কম। তবুও পায়ুপথে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে এসব রোগের কথা মাথায় রাখতে হবে।

উপসংহার

দেখা যায়, পায়ুপথে রক্ত পড়ার অনেক কারণ, যা সাধারণ সমস্যা থেকে শুরু করে জটিল দুরারোগ্য ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে পরামর্শ ও ওষুধই চিকিৎসার জনা যথেষ্ট। তবে চিকিৎসার ধরন ও ফলাফল নির্ভর করে রোগীর রোগের কারণ বা কোন পর্যায়ে আছে তার ওপরে।

রোগ যত তাড়াতাড়ি বা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যাবে, তার চিকিৎসা তত সহজ হবে এবং ফলাফলও হবে ততটাই ভালো। মনে রাখতে হবে, অপারেশনের ক্ষেত্রেও অপারেশন রোগের যত প্রাথমিক পর্যায়ে করা যাবে তার সফলতা ততটাই বেশি। তাই পায়ুপথে রক্ত দেখা গেলে অযথা অবৈজ্ঞানিক ও ভুল চিকিৎসা করে সময় নষ্ট না করে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

আরো পড়ুনঃ ব্রণের দাগ, কালো দাগ, কাটা দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ কালো ও হলদে দাত ফর্সা করার ঔষধ কিনতে – এখনই কিনুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *