Description
ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই
ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই
ভূমিকা:
মানুষ মরনশীল। শারীরিক মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু কিছু মানুষ মৃত্যুর পরও অমর থাকে তাদের কীর্তির মাধ্যমে। এই উক্তিটিই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – “কীর্তিমানের মৃত্যু নেই”।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
কীর্তিমান কারা?
- যারা মানবজাতির কল্যাণে অবদান রেখেছেন।
- যারা জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্পকলার মাধ্যমে পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করেছেন।
- যারা ত্যাগ, সাহস, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন।
- যাদের চিন্তাভাবনা, কর্মকাণ্ড আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
কীর্তিমান কীভাবে অমর থাকেন?
- কর্মের মাধ্যমে: মহাত্মা গান্ধী অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করেছেন। নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য, শিল্পকলা, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। নিউটন মহাকর্ষের সূত্র আবিষ্কার করেছেন।
- সৃষ্টির মাধ্যমে: শিল্পী, সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মনে চিরস্থায়ী স্মৃতি বেঁধে রাখেন।
- চিন্তাভাবনার মাধ্যমে: দার্শনিক, চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী তাদের চিন্তাভাবনার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান ও চিন্তাভাবনাকে সমৃদ্ধ করেন।
- অনুপ্রেরণার মাধ্যমে: কীর্তিমানদের জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করে, জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে।
উদাহরণ:
- মহাত্মা গান্ধী: অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করেছেন।
- নজরুল ইসলাম: বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সাহিত্য, শিল্পকলা, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
- আইনস্টাইন: আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।
- নিউটন: মহাকর্ষের সূত্র আবিষ্কার করেছেন।
- বিজ্ঞানী: আইনস্টাইন, নিউটন, স্টিফেন হকিং, মেরি居里
- সাহিত্যিক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, শেক্সপিয়ার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- শিল্পী: লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, মাইকেলাঞ্জেলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোৎস্না বন্দ্যোপাধ্যায়
- সঙ্গীতজ্ঞ: বেথোভেন, মোজার্ট, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
- বিপ্লবী: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- সামাজিক কর্মী: মাদার টেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা
কীর্তিমানদের গুরুত্ব:
সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে:
- জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি: বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তাবিদদের অবদানের মাধ্যমে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়। যা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: সামাজিক সংস্কারক, বিপ্লবীদের ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়।
- মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ: শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিকদের সৃষ্টি মানুষের মনে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে।
- সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি: শিল্পী, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞদের অবদানের মাধ্যমে সমাজের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়।
মানুষকে অনুপ্রাণিত করে:
- কীর্তিমানদের জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করে, জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে।
- তাদের সাহস, ত্যাগ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
- তাদের অর্জন আমাদের স্বপ্ন পূরণে উৎসাহিত করে।
সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে:
- কীর্তিমানদের জীবন ও কর্ম সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- তাদের চিন্তাভাবনা, কর্মকাণ্ড সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
- তারা সমাজে অন্যদের অনুপ্রাণিত করে ভালো কাজ করতে।
কীর্তিমানরা আশার আলো:
- কঠিন সময়ে কীর্তিমানরা আমাদের আশার আলো হয়ে ওঠে।
- তাদের অর্জন আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে।
- তারা আমাদের শেখায় যে, পরিশ্রম, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সব অসম্ভব সম্ভব।
উপসংহার:
কীর্তিমানরা সমাজের অমূল্য সম্পদ। তাদের অবদান আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। তাদের জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করে, সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। আমাদের উচিত তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাদের আদর্শ অনুসরণ করা। শারীরিক মৃত্যু সত্য। কিন্তু কীর্তিমানরা তাদের কর্মের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকেন। তাদের জ্ঞান, চিন্তাভাবনা, সৃষ্টি আমাদের অনুপ্রাণিত করে, পথ দেখায়। তাই বলা যায়, “কীর্তিমানের মৃত্যু নেই”।
আরও কিছু চিন্তা:
- কীর্তি কেবল বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্য নয়। যেকোনো মানুষ সৎ, কর্মঠ জীবনের মাধ্যমে কীর্তিমান হতে পারেন।
- আমাদের উচিত কীর্তিমানদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা, তাদের আদর্শ অনুসরণ করা।
- নিজের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করা উচিত, যাতে আমরাও একদিন মৃত্যুর পরেও স্মরণীয় হয়ে থাকি।
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ
“কীর্তিমানের মৃত্যু নেই” – এই উক্তিটি একটি গভীর অর্থবহ বাক্য যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা লাভ করে।
কীর্তিমান কে?
- যিনি তাদের কর্মের মাধ্যমে অমর হয়ে আছেন।
- যাঁদের অবদান সমাজের জন্য চিরস্মরণীয়।
- যাঁদের জ্ঞান, দক্ষতা, সাহস, এবং ভালোবাসা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
মৃত্যু কি?
- শারীরিক দেহের অবসান।
- পৃথিবী থেকে বিদায়।
- চিরতরে থেমে যাওয়া।
কীর্তিমানের মৃত্যু কেন নেই?
- তাদের কর্ম চলতে থাকে, তাদের সৃষ্টি টিকে থাকে।
- তাদের স্মৃতি মানুষের মনে অমলিন থাকে।
- তাদের অনুপ্রেরণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।
উদাহরণ:
- বীর মুক্তিযোদ্ধা: যারা তাদের জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন, তাদের মৃত্যু নেই। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলবে।
- বিজ্ঞানী: যারা নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানবজাতির জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের মৃত্যু নেই। তাদের জ্ঞান আমাদের জীবনকে উন্নত করে চলবে।
- শিল্পী: যারা তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মনকে স্পর্শ করেছেন, তাদের মৃত্যু নেই। তাদের শিল্পকর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলবে।
- সাধারণ মানুষ: যারা তাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সমাজকে আরও সুন্দর করে তুলেছেন, তাদের মৃত্যু নেই। তাদের ভালো কাজের স্মৃতি আমাদের মনে টিকে থাকবে।
উপসংহার:
“কীর্তিমানের মৃত্যু নেই” এই উক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, যদি আমরা ভালো কাজ করি, মানুষের জন্য কিছু করি, তাহলে আমরাও মৃত্যুর পরেও অমর হয়ে থাকতে পারি। আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি।
এই বাক্যটি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে:
- ভালো কাজ করার জন্য।
- অন্যদের সাহায্য করার জন্য।
- সমাজের জন্য কিছু করার জন্য।
- আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার জন্য।
মনে রাখবেন:
- শুধুমাত্র কীর্তিমানদের মৃত্যু নেই।
- যারা ভালো কাজ করে, তারা সকলেই মৃত্যুর পরেও অমর হয়ে থাকে।
- আমরা সকলেই চেষ্টা করতে পারি আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে এবং মৃত্যুর পরেও স্মরণীয় হয়ে থাকতে।পড়ুনঃ ব্রা – প্যান্টি কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের যোনি টাইট করার ক্রিম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.