পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস

পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস । পুরুষের পর্দার বিধান ও পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের আর্টিকেলটি হল পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস . এটি সবার জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ . ইসলামে ফরজ বা অবশ্যকরণীয় বিধান পর্দা। পর্দা পালনের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন অনেক কল্যাণ লাভ করা যায়। এমন একটা ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে যে- পর্দা কেবল নারীরই পালনের বিষয়। মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ মাত্র ২২০ টাকা থেকে শুরু ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন  – এখনই ঔষধ কিনুন

পার্সোনাল এবং গোপনীয় পণ্য কিনতে ভিজিট করুন gazivai.com ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি কিনতে ফোন করুন   01622913639  এই নাম্বারে

পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস

কোরআনে প্রথম পুরুষের পর্দার কথা বলা হয়েছে। সূরা নুরের ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে জানেন।’ অথচ আমাদের সমাজে পুরুষের পর্দার ব্যাপারে তেমন আলোচনা হয় না। সুস্থ সমাজের জন্য পুরুষেরও পর্দা করতে হবে। কনডম কালেকশন  মাত্র ৭৫০ টাকা থেকে শুরু কনডম কিনতে ক্লিক করুন  – এখনই  কিনুন

পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস পুরুষের পর্দার বিধান ও পদ্ধতি

মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন, এর বিশেষ তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। সমাজের বেশিরভাগ ধর্ষণ, পরকীয়ায় পুরুষকেই অগ্রগামী দেখা যায়। তাই পুরুষ তার দৃষ্টি সংযত রাখলে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে অশ্লীলতা অনেকাংশে কমে যাবে।

পুরুষের পর্দা নিয়ে হাদিস

বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার হজরত আলী (রা.)-কে বললেন, ‘হে আলী! পরনারীর দিকে চোখ পড়ে গেলে দ্বিতীয়বার আর তাকিয়ো না। প্রথমবার অনিচ্ছায় চোখ পড়ে যাওয়ার কারণে তুমি ক্ষমা পাবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার তাকানো তোমার জন্য জায়েজ নয়। (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি)। রাসূল (সা.)-এর নির্দেশ যদি আমরা মেনে চলি, তাহলে ধর্ষণ, পরকীয়া, পর্নোগ্রাফি, ইভটিজিং নামক পাপগুলো সমাজ থেকে নির্মূল হয়ে যাবে।

পুরুষের পর্দার বিধান ও পদ্ধতি

ইসলামে ফরজ বা অবশ্যকরণীয় বিধান পর্দা। পর্দা পালনের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন অনেক কল্যাণ লাভ করা যায়। আর তা লঙ্ঘনে ধর্মীয়, আত্মিক, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিপর্যয় ডেকে আনে। পর্দাহীনতার কারণে মানুষ আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর অবাধ্য হিসেবে গণ্য হয়। সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, চারিত্রিক অবক্ষয় ঘটে। পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন হয়। পরকীয়ার সৃষ্টি হয়ে ডিভোর্স বা তালাকের মতো নিকৃষ্ট ঘটনাও ঘটে।

নারীদের জন্য যেমন পর্দা পালন ফরজ, পুরুষদের জন্যও তেমনই ফরজ। ইসলামের বিধানে উভয়কেই পর্দা পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের সমাজে সবসময় নারীদের পর্দার কথা আলোচনা করা হয় এবং সেইসঙ্গে ভুলে যায় পুরুষের পর্দা পালনের কথা। অনেকে বলেন, ‘পর্দা তো শুধু নারীরা পালন করবে, পুরুষদের আবার পর্দা কিসের?’ তাদের ধারণা ভুল।

তবে নারীর পর্দা ও পুরুষের পর্দার ব্যবহারিক পার্থক্য রয়েছে। নারী বাইরে বেরুলে বোরকা-চাদর ইত্যাদির মাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা ঢেকে রেখে পর্দা করবে। আর পুরুষ কাপড়ের মাধ্যমে নিজেকে আড়াল করে পর্দা করবে না। তার পর্দা হবে নিজেকে সংযত রাখা, চোখের হেফাজত করার মাধ্যমে। পুরুষ পরনারীর দিকে তাকাবে না, হুটহাট নারীর ঘরে ঢুকবে না। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতিই পর্দা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ এ ব্যাপারে অবগত। আর ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।’ (সুরা নুর : ৩০)। এই আয়াতের শুরুতেই ঈমানদার পুরুষদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। ইচ্ছাকৃত দৃষ্টিপাত কিংবা তাকানোই হচ্ছে যৌন প্রবৃত্তির সূচনা এবং এর শেষ পরিণতি পাপ ও ফেতনাসহ জিনা-ব্যভিচার, যার পরিণাম ভয়ঙ্কর।

নারীদের তুলনায় পুরুষকে যেহেতু বাইরের ও পরিশ্রমী কাজ বেশি করতে হয়, সেজন্যই পুরুষের জন্য বোরকা কিংবা আবরণ ব্যবহার করে পর্দা করার কথা বলা হয়নি। পক্ষান্তরে নারীরা সাধারণত ঘরেই থাকে বেশি, বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন খুব একটা পড়ে না। তাই তাদেরকে বেরুনোর সময় পুরুষদের থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর  ইন্ডিয়ান ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ  লম্বা হওয়ার ঔষধ কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন