আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে গুগোল আমরা এধরণের বিচিত্র প্রশ্ন অনেক সময় করে থাকে আমরা মনে করি গুগোল সবজান্তা বিষয়টি এমন নয় অনেকেই অনেক কিছু লিখে থাকেন বা অনেকের অনেক কিছু গুগলের মাধ্যমে খুঁজে থাকেন তাই আমরা গুগলের সহজে প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পারি।

আপনি হয়তো গুগলের এই ধরনের একটি প্রশ্ন করেছেন তবে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি গুগোল দিতে পারবে এমন নয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি গুগলের মাধ্যমে বের করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয় কারণ আপনি এমন একটি প্রশ্ন করেছেন যেটার উত্তর সঠিকভাবে বলা একেবারে অসম্ভব।

তবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা দ্রুত বিয়ে হওয়ার কয়েকটি আমল সম্পর্কে জানব যে আপনি আমল করার মাধ্যমে দ্রুত বিয়ে হতে পারে তো চলুন আঙুলগুলো সম্পর্কে এবং দ্রুত বিয়ে হওয়ার উপায় গুলি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে

সামর্থ্য ও সময় হলে দ্রুত বিয়ে করা ইবাদত । নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সামর্থ্য ও সময় হওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত বিয়ের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন । যারা বিয়ে করার চেষ্টা করছেন কিন্তু উত্তম ও কল্যাণময় বিয়ে করতে পারছেন না, তারা দ্রুত বিয়ের জন্য নিয়মিত কয়েকটি আমল করতে পারেন । কী সেসব আমল?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ নারীর চারটি দিক দেখে বিয়ে করা হয় । তাহলো- বংশ মর্যাদা, সৌন্দর্য্য, অর্থ- সম্পদ এবং দ্বীনদারি । অতএব তুমি দ্বীনদার নারীকে বিয়ে করে সফল হয়ে যাও । ’( বুখারি ও মুসলিম)

কল্যাণময় বিয়ের জন্য দ্বীনদার নারীর বিকল্প নেই । নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বীনদার নারীকে বিয়ের জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছেন । তাই উপযুক্ত ছেলে- মেয়েদের দ্রুত কল্যাণময় বিয়ের জন্য এ আমলগুলো করা যেতে পারে-

আমার বিয়ে কবে হবে

গুগল আমার বিয়ে কবে হবে

১. ইসতেগফার

যথাসম্ভব সবসময় বেশি বেশি ইস্তেগফার করা । উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা । এ ইসতেগফারেগুলো পড়া-

أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ ‘ আস্তাগফিরুল্লাহ । ’

অর্থ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ।

নিয়ম প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন ।'( মিশকাত)

أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ ‘ আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি । ‘

অর্থ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি ।

নিয়ম এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন৭০/১০০ বার পড়া । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন ।'( বুখারি)

আমার বিয়ে কবে হবে

আচ্ছা গুগল আমার বিয়ে কবে হবে

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ( أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ’ রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা( আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম ।’

অর্থ’ হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন । নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময় ।’

নিয়ম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন ।'( আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ’ আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি ।’

অর্থ’ আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই( তাওবাহ করে) ফিরে আসি ।’

নিয়ম দিনের যে কোনো ইবাদত- বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ- ইসতেগফার করা । হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ- ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয় ।'( আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ ‘ আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা- ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা ।’

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা

অর্থ’ হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক । তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই । তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ । আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি । আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই । তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি । আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি । তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও । কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না ।’

নিয়ম সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা । ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা । কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে ।'( বুখারি)

আমার বিয়ে কবে হবে গুগল

২. ফরজ নামাজের পর দোয়া

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কোরআনের একটি আয়াত পড়া । এটি একটি দোয়া । সম্ভব হলে দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে সব সময় পড়তে থাকা । তাহলো-

رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا

উচ্চারণ ‘ রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইউনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাকিনা ইমামা । ’

অর্থ ‘ হে আমাদের প্রভু! আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে । আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন । ’( সুরা ফুরকান আয়াত ৭৪)

৩. যথা সময় ও স্থানে দোয়া করা

দোয়া কবুলের সময় ও স্থানগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা । যেসব সময়ে দোয়া কবুল হয় এবং যেসব স্থানে দোয়া কবুল হয়; এর একটি সময় ও স্থানও যেন দোয়া থেকে বাদ না যায় ।

আরও পড়ুন:  সানি লিওনের এক্সপ্রেস ভিডিও

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ

৪. হালাল পন্থায় পাত্র/ পাত্রী খোঁজা
আমল ও দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় কাঙ্ক্ষিত পাত্র/ পাত্রী খোঁজ করাও জরুরি ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর উপযুক্ত ছেলে- মেয়েদের দ্রুত বিয়ের জন্য উল্লেখিত আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন । আমিন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *